Tips and Tricks: তেতো শসা খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন? চিন্তা নেই! এবার বলে বলে সুস্বাদু হবে, করুন এই 'ট্রিক'!

গরমের দিনে ঠান্ডা-ঠান্ডা শসা খাওয়ার মজাই আলাদা। স্যালাড, রায়তা কিংবা ভাতের সঙ্গে—সবেতেই শসা একদম পারফেক্ট। কিন্তু সমস্যা তখনই হয়, যখন বাজার থেকে আনা শসা মুখে দিতেই তেতো স্বাদে সব আনন্দ নষ্ট হয়ে যায়।

 অনেকেই তখন সেটা ফেলে দেন। আসলে শসার বীজ, আঁশ আর খোসার কারণেই আসে এই তেতো স্বাদ। তবে চিন্তার কিছু নেই, ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়ে এই তেতোভাব কমিয়ে শসাকে করা যায় সুস্বাদু আর একেবারে খাওয়ার উপযোগী। 

শশা একটি সতেজ ও শীতলকারী ফল, তবে অনেক সময় বাজার থেকে আনা শশা তেতো বেরোয়, যা সালাদ বা রায়তার স্বাদ নষ্ট করে দেয়। শশার এই তেতোভাব মূলত এর বীজ, শাঁস ও খোসা থেকে আসে। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে শশার তেতোভাব অনেকটা কমানো যায়।

শশার তেতোভাবের প্রধান কারণ এর ভেতরের বীজ এবং বীজের চারপাশের শাঁস। তাই শশাকে লম্বা করে কেটে চামচের সাহায্যে ভেতরের বীজ ও শাঁস ফেলে দিলে স্বাদ অনেকটা মিষ্টি ও মোলায়েম হয়।

শশার খোসাতেও অনেক সময় তেতোভাব থাকে। যদি খোসা খুব শক্ত হয় বা টাটকা না হয়, তবে শশা ছাড়িয়ে খাওয়া ভালো। এতে তেতোভাব কমে যায় এবং খেতেও আরাম লাগে।

শশার টুকরোগুলোর উপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিলে তেতোভাব অনেকটাই চলে যায়। এরপর শশা ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।

শশার টুকরোর উপর লেবুর রস বা অল্প ভিনেগার ছিটিয়ে খেলেও তেতোভাব কমে যায় এবং স্বাদ বেড়ে যায়। সালাদ বা রায়তায় এইভাবে খেলে শশা হয় আরও সুস্বাদু।

যদি শশা খুব বেশি তেতো হয়, তবে কাঁচা না খেয়ে রান্না করে খাওয়া উচিত। রান্না করলে শশার তেতোভাব অনেকটাই হ্রাস পায়। শাকসবজির সঙ্গে ভেজে, স্যুপে, তরকারি বা স্টার-ফ্রাইয়েও শশা ব্যবহার করা যায়।