বাঙালির একান্ত নিজস্ব পদ চচ্চড়ি ও ছেঁচকি খেয়েছেন নিশ্চয়ই, জানেন কি এদের মধ্যে পার্থক্য কী কী
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Bengali Cuisine: বাড়ির রীতি ও পরিবারের সদস্যদের স্বাদ বুঝে ফোড়ন ও অন্যান্য মশলাপাতি ছেঁচকি ও চচ্চড়িতে দেন রাঁধুনিরা
advertisement
1/6

বাঙালি হেঁসেল মানেই রসনার বাহার। আমিষের পাশাপাশি নিরামিষ খাবারেও বাঙালি রন্ধনপটিয়সীদের টেক্কা দেওয়া কঠিন। ফেলে দেওয়া টুকরো টাকরা তরকারি, আনাজের খোসা দিয়েও যে রকমারি পদ রাঁধা যায়, তা বাঙালি রসুইঘর ছাড়া বোঝা মুশকিল।
advertisement
2/6
সেই বাঙালি রসনাতৃপ্তির অন্যতম দুই পদ হল ছেঁচকি ও চচ্চড়ি। সাধারণত অবেলায় সব রান্নার শেষে এই পদ উনুনে চাপাতেন গৃহিণী। এখন রান্নার সেই ব্যাকরণ নতুন করে লেখা হয়েছে অনেক দিন। ফ্ল্যাটের মডিউলার কিচেনে দেশ বিদেশের রেসিপি হাজির। কিন্তু ছেঁচকি ও চচ্চড়ির জায়গা আজও অটুট।
advertisement
3/6
লীলা মজুমদারের রান্নার বই হোক বা আকাশাবাণীতে বেলা দে-এর সাবেক মহিলা মহল, রান্নাবান্না প্রসঙ্গে বার বার উঠে এসেছে এই দুই পদের কথা। ঠাকুরবাড়িতেও বিশেষ ছোঁয়ায় রেসিপি হয়ে উঠত অসামান্য। কিন্তু এত চর্চিত হলেও দু’টি পদের মধ্যে পার্থক্য কি আমরা জানি।
advertisement
4/6
ছেঁচকি ও চচ্চড়ির মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। ছেঁচকির জন্য তরকারি মিহি করে কাটা হয়। চচ্চড়ির কুটনো হবে লম্বালম্বি ভাবে কাটা। তাছাড়া চচ্চড়ির সব্জি হবে তাজা। বাসি তরকারিতে স্বাদ খুলবে না। ছেঁচকির আনাজের জন্য বেছে নিতে হয় পাকা তরিতরকারি।
advertisement
5/6
ছেঁচকিতে সাধারণত পাঁচফোড়ন দেওয়া হয়। চচ্চড়ির জন্যও পাঁচফোড়ন ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যোগ করা যেতে পারে সর্ষেবাটাও। তবে এছাড়াও বাড়ির রীতি ও পরিবারের সদস্যদের স্বাদ বুঝে ফোড়ন ও অন্যান্য মশলাপাতি ছেঁচকি ও চচ্চড়িতে দেন রাঁধুনিরা।
advertisement
6/6
মূলত নিরামিষ পদ হলেও এই দুই পদই রান্না করা যায় আমিষ উপকরণ দিয়েও। বাঙাল বাড়িতে আমিষ চচ্চড়ি ও ছেঁচকির স্বাদ একবার খেলে আর ভোলা কঠিন। তবে উপকরণ যা-ই হোক না কেন, স্বাদ খোলতাই হয় রন্ধনশিল্পীর হাতের গুণ আর মনের ভালবাসায়।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
বাঙালির একান্ত নিজস্ব পদ চচ্চড়ি ও ছেঁচকি খেয়েছেন নিশ্চয়ই, জানেন কি এদের মধ্যে পার্থক্য কী কী