Premature Grey Hair Problem: চুলে অকালেই পাক ধরেছে, এই অভ্যাসগুলো দায়ী নয় তো?

চুলে একবার পাক ধরতে শুরু করলে সেটা আর থামানো সম্ভব হয় না। তবে চুল পাকার একটা নির্দিষ্ট বয়স আছে। সময়ের আগে চুল পেকে যাওয়ার নানা কারণ আছে। এটা মানসিক চাপের জন্য হতে পারে, বংশগত কারণে হতে পারে, আবার অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানের জন্যও হতে পারে। আবার অনেক সময়ে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি কুঅভ্যাসের জন্য সময়ের আগেই চুলে পাক ধরছে।

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ছোটখাটো নানা কারণে দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সর্ব বিষয়ে অহেতুক স্ট্রেস করেন। অতিরিক্ত স্ট্রেসের জন্য এঁদের খাবার হজম হয় না এবং অনিদ্রা দেখা দেয়। আর এর থেকেই চুলে পাক ধরতে শুরু করে। সমাধান হিসাবে ধ্যান বা মেডিটেশন শুরু করা উচিত। এমন কাজে নিজেকে নিযুক্ত করা উচিত যা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।

চুলে তেল মালিশ না করা তেল দিলে চুল চিটচিটে হয়ে যাবে বলে অনেকেই এটা এড়িয়ে চলেন। অথচ চুলে তেল মালিশ করলে সেবাম উৎপাদন ঠিক থাকে। ফলে স্কাল্পে চুলকানি হয় না ও স্কাল্প শুষ্ক হয় না। অল্প গরম তেল চুলে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ও চুল ভালো থাকে। যদি নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করা যায় তাহলে সময়ের আগে চুল পাকা বন্ধ করা সম্ভব।

সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকা সূর্যের আলো যেমন ত্বকের ক্ষতি করে তেমনই চুলেরও ক্ষতি করে। বেশিক্ষণ কড়া রোদে থাকলেও দ্রুত চুলে পাক ধরে। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি চুলের ক্ষতি করে এবং স্কাল্প শুষ্ক করে দেয়। এর থেকেও চুল পাকতে পারে। তাই রোদে বেরোনোর সময় মাথায় স্কার্ফ বা টুপি পরা উচিত, ছাতা ব্যবহার কড়া উচিত।

ধূমপান শুরুতেই বলা হয়েছে যে চুলের অকালপক্কতার একটি কারণ হতে পারে মাত্রাছাড়া ধূমপান। সিগারেটে যে ক্ষতিকর উপাদান থাকে তা ফুসফুসের যেমন ক্ষতি করে, তেমনই চুলও সময়ের আগে পাকিয়ে দেয়।

রাসায়নিক দেওয়া হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট চুলে নানা রকমের স্টাইল করতে আমরা সবাই ভালোবাসি। হেয়ার কালার করা হোক বা পার্মিং, এগুলো আমরা হামেশাই করে থাকি। কিন্তু এগুলো করতে যে প্রোডাক্ট ব্যবহার হয় তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে ও চুল পাকিয়ে দেয়।

ভুল ডায়েট নির্বাচন শরীরে যদি ঠিকমতো ভিটামিন ও খনিজ না যায়, তাহলেও চুল পেকে যেতে পারে। এর জন্য সুষম খাবার খেতে হবে এবং প্রচুর জল পান করতে হবে।