সকালেই স্নান করে শুদ্ধ হন ভারতীয়রা, অথচ জাপান আর কোরিয়ায় রয়েছে রাতে স্নান করার চল, কিন্তু কোনটা ঠিক? বিজ্ঞান কী বলছে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Bathing Habits : কোরিয়ায় সারা দিনের কাজকর্মের পর রাতেই স্নান করার চল দেখা যায়। কারণ সেখানকার মানুষের বিশ্বাস, রাতে স্নান করলে তাঁদের শরীর তরতাজা রাখে এবং ঘুমের মানও ভাল হয়। অন্যদিকে আমেরিকা, ইউরোপ এবং কানাডার মতো পশ্চিমী দেশগুলিতে মানুষ সকালে স্নান করতেই পছন্দ করেন।
advertisement
1/10

ভারতীয়রা সাধারণত সকালের দিকেই স্নান করে শুদ্ধ হয়ে নেন। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণ কিংবা শুভ দিনে এই চিত্রটা তো দেখা যায়ই। আবার গরমের মরশুমে বহু মানুষ আবার বাইরে থেকে ফিরে সন্ধ্যাতেই স্নান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এশিয়ার বেশ কিছু দেশে মানুষ সাধারণত রাতেই স্নান করেন। কারণ তাঁদের বিশ্বাস, সকালের স্নানের তুলনায় রাতে স্নান করাই বেশি উপযোগী। (Representative Image)
advertisement
2/10
কোরিয়ায় সারা দিনের কাজকর্মের পর রাতেই স্নান করার চল দেখা যায়। কারণ সেখানকার মানুষের বিশ্বাস, রাতে স্নান করলে তাঁদের শরীর তরতাজা রাখে এবং ঘুমের মানও ভাল হয়। অন্যদিকে আমেরিকা, ইউরোপ এবং কানাডার মতো পশ্চিমী দেশগুলিতে মানুষ সকালে স্নান করতেই পছন্দ করেন। (Representative Image)
advertisement
3/10
আবার চিনে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য রাতের স্নানকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ চিনের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, এটা শুধুমাত্র মানসিক চাপ দূরে করে না, তার সঙ্গে সারা দিন ধরে জমা হওয়া নেতিবাচক এনার্জিও দূর করে। শরীর সতেজ করে আর তাতে ঘুমটাও বেশ ভাল হয়। (Representative Image)
advertisement
4/10
আসলে চিনে আর্দ্র এবং ক্রান্তীয় জলবায়ু দেখা যায়। যার জেরে অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। এর থেকে কিন্তু ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই রাতে স্নান করলে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমে। বহু চিনা মানুষের বিশ্বাস, রাতে স্নান করলে ঘুম ভাল হয়, ফলে স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। আর উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। (Representative Image)
advertisement
5/10
জাপানিদের দৃষ্টিভঙ্গি: সারা দিনের কাজের ধকলের পর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করলে শরীরে সতেজতা আসে। এমনটাই বিশ্বাস জাপানের মানুষের। তাঁরা মনে করেন, ঘুমোনোর আগে স্নান করলে দেহ ও মন শুদ্ধ হয়। আর ঘুমও ভাল হয়। জাপানি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে স্নানের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। (Representative Image)
advertisement
6/10
এই অভ্যাসের যোগ রয়েছে তাঁদের কর্ম সংস্কৃতির সঙ্গেও। বেশিরভাগ জাপানি চাকরিজীবী সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। এমনকী গভীর রাত পর্যন্তও কাজ করতে হয়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করলে শরীরের কাছে এই সিগন্যাল পৌঁছয় যে, কাজ শেষ। এবার বিশ্রামের সময়। এতে মানসিক চাপ তো কমেই, বিশ্রামও হয় ভাল। আর চট করে ঘুম এসে যায়। (Representative Image)
advertisement
7/10
রাতে স্নান করার উপকারিতা: ১. দেহ এবং মন শিথিল করতে সহায়ক। দ্রুত ঘুম এসে যায়। ২. ঈষদুষ্ণ জল পেশিকে আরাম দেয় এবং মনের দুশ্চিন্তা দূর করে। ৩. সারা দিন ধরে শরীরে জমা হওয়া নোংরা-ময়লা আর ঘাম দূর করে। ফলে স্বাস্থ্যবিধিও বজায় থাকে। ৪. যাঁদের দূষণের মধ্যে বেরোতে হয়, কিংবা রোজ বাইরে যাতায়াত করতে হয়, তাঁদের জন্য উপযোগী। ৫. এতে দেহ থেকে তেল-ময়লা বিছানার চাদরে গিয়ে মিশতে পারে না। ৬. ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। (Representative Image)
advertisement
8/10
সকালে স্নান করার উপকারিতা: ১. এনার্জি বৃদ্ধি করে। ফলে দিনের শুরুটা হয় সুন্দর। ২. সারা রাত ধরে হওয়া ঘাম দূর করে এবং শরীরকে সতেজ করে। ৩. মনোযোগ এবং তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ৪. যাঁরা রাতে প্রচুর ঘামেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয়। (Representative Image)
advertisement
9/10
বিজ্ঞান কী বলছে? বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতের স্নান করার পক্ষে। কারণ সারা দিন কাজ আর ব্যস্ততার পর স্নান করলে শরীর সতেজ হয়। ক্লান্তি দূর হয় আর ঘুমও ভাল হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে ঘুমের মান উন্নত হয়। যদিও উভয় সময়ের স্নানেরই নিজস্ব উপযোগিতা রয়েছে। (Representative Image)
advertisement
10/10
(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
সকালেই স্নান করে শুদ্ধ হন ভারতীয়রা, অথচ জাপান আর কোরিয়ায় রয়েছে রাতে স্নান করার চল, কিন্তু কোনটা ঠিক? বিজ্ঞান কী বলছে?