IVF-এর মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চাইছেন? প্রক্রিয়া শুরুর আগে হবু মা-বাবা অবশ্যই জানুন 'এই' বিষয়গুলি, পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- Published by:Shubhagata Dey
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
IVF Child Birth: যেসব মহিলার বয়স ৩৫ বছরের কম, প্রতি আইভিএফ চক্রে তাঁদের গড় সাফল্যের হার থাকে ৪০-৪৫ শতাংশের আশপাশে। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে এই হার। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনও কোনও দম্পতিকে একাধিক আইভিএফ চক্রের প্রয়োজন হয়।
advertisement
1/12

*বিবাহিত দম্পতিদের সন্তানলাভের স্বপ্নের যাত্রাপথে কখনও কখনও ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর এটাই হয় সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে অন্যতম। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন Abha Surgy Centre-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ কনসালট্যান্ট ডা. বাণী কুমার মিত্র।
advertisement
2/12

*তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমি এমন মা-বাবাদের দেখেছি, যাঁরা অনেক আশা, চোখের জল এবং মনে একাধিক প্রশ্ন নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। আইভিএফ শুধু একটা চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি কিন্তু একটি গভীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও বটে! যার জন্য স্বচ্ছতা বা স্পষ্টতা, প্রস্তুতি এবং নমনীয়তার প্রযোজন হয়। তাই প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে কিছু জরুরি সত্য রয়েছে, যা প্রত্যেক দম্পতিরই জানা আবশ্যক।”
advertisement
3/12
*আইভিএফ কিন্তু সব সময় সহজ পন্থা হয় না: আইভিএফ-এর বিষয়ে সবথেকে সাধারণ ভুল ধারণা হল, এই পন্থা অবলম্বন করলে সন্তানধারণ নিশ্চিত হবে। যদিও মেডিক্যাল পদ্ধতিতে উন্নতি উল্লেখযোগ্য ভাবে এর সাফল্যের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই সাফল্যের হার কিন্তু রোগীর বয়স, তাঁর ফার্টিলিটির অবস্থা এবং নিজস্ব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
advertisement
4/12
*যেসব মহিলার বয়স ৩৫ বছরের কম, প্রতি আইভিএফ চক্রে তাঁদের গড় সাফল্যের হার থাকে ৪০-৪৫ শতাংশের আশপাশে। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে এই হার। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনও কোনও দম্পতিকে একাধিক আইভিএফ চক্রের প্রয়োজন হয়। আর প্রত্যেক চক্রেরই নিজস্ব আবেগগত এবং শারীরিক চ্যালেঞ্জ থাকে। আইভিএফ হল একটা প্রক্রিয়া। এটা কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি নয়। বাস্তবসম্মত প্রত্যাশার দিকে এগিয়ে চললে হতাশা অনেকাংশে কমে যাবে। আর মানসিক নমনীয়তা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
advertisement
5/12
*সময়, পরিকল্পনা এবং ধৈর্যের প্রয়োজন: প্রচলিত বিশ্বাসের বিপরীতে আইভিএফ শুধু একটা একদিনের বিষয় নয়। সাধারণ একটি আইভিএফ সাইকেল চলে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। এই সাইকেলের মধ্যে থাকে একাধিক পর্যায়। ওভারিয়ান স্টিম্যুলেশন, ডিম্বাণু সংগ্রহ এবং ভ্রূণ প্রতিস্থাপন। পাশাপাশি হরমোন প্রোফাইলিং, শুক্রাণুর অ্যানালিসিস, আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান এবং সংক্রামক রোগের স্ত্রিনিংয়ের মতো প্রি-আইভিএফ ইভ্যালুয়েশনের জন্যও সময় লাগে।
advertisement
6/12
*যদি এম্ব্রায়ো ফ্রিজিং অথবা জেনেটিক টেস্টিংয়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে আরও বেশি সময় কিন্তু লাগতে পারে। আর সেই অনুযায়ী নিজেদের কাজের রুটিন, কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা এবং ব্যক্তিগত কাজের প্ল্যান রাখতে হবে। কারণ আইভিএফ-এর জন্য আবেগগত এবং শারীরিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়ার জন্য চিকিৎসা, শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক প্রস্তুতি জরুরি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সময়ের প্রয়োজন হয়।
advertisement
7/12
*আর্থির প্রভাব: আইভিএফ-এর জন্য একাধিক খরচ: আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সবথেকে জটিল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম খরচের দিকটাও মনে রাখতে হবে। ভারতে আইভিএফ-এর একটি সিঙ্গেল সাইকেল প্রাথমিক মূল্য হয় ১.২ লক্ষ টাকা থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার আশপাশে। এর পাশাপাশি ওষুধপত্র, এম্ব্রায়ো ফ্রিজিং, প্রিইমপ্ল্যান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং (পিজিটি) ইত্যাদির জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। যা সামগ্রিক খরচকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
advertisement
8/12
*একাধিক ক্লিনিক প্যাকেজ অথবা আর্থিক বিকল্পও প্রদান করে থাকে। কিন্তু হিসাবটা একেবারে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্যাকেজের মধ্যে কোনটা অন্তর্ভুক্ত আর কোনটা নয়, সেটা বুঝতে হবে। কিছু কিছু দম্পতিদের একাধিক আইভিএফ সাইকেলের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে যাঁরা ছোট শহর থেকে আইভিএফ করাতে আসেন, তাঁদের যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার খরচের দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
advertisement
9/12
*মানসিক প্রস্তুতি জরুরি: আইভিএফ মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে: আইভিএফ প্রক্রিয়াটি কিন্তু শরীরের দিক থেকে কঠিন হতে পারে। কিন্তু মানসিক দিকটাকে অনেক সময়ই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। হরমোনজনিত ওষুধের কারণে মুড স্যুইং, উত্তেজনা অথবা অবসন্ন ভাব দেখা দিতে পারে। এম্ব্রায়ো ট্রান্সফার এবং প্রেগন্যান্সি টেস্টের মধ্যবর্তী সময়ের যে অপেক্ষা, তা কিন্তু কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সাধারণত ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।
advertisement
10/12
*ব্যর্থ প্রচেষ্টার সঙ্গে মোকাবিলা করার বিষয়টা আরও কঠিন হতে পারে। সেই কারণে মানসিক কাউন্সেলিং এবং মানসিক সাপোর্ট কিন্তু চিকিৎসা পরিকল্পনার একটা অঙ্গ হতে পারে। যেসব ক্লিনিকে কাউন্সেলিং পরিষেবা, সাপোর্ট গ্রুপ এবং মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল পাওয়া যায়, তারা দম্পতির অভিজ্ঞতায় এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।
advertisement
11/12
*আলাপ-আলোচনা জরুরি: সঙ্গীর সঙ্গে কথাবার্তা এবং চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা: সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি এবং সৎ ভাবে কথাবার্তা বলতে হবে। এতে প্রতিকূলতা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ-আলোচনা কিন্তু সমান ভাবে জরুরি। প্রোটোকল, রিস্ক, বিকল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে তাঁদের প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে দ্বিধা করলে চলবে না। সুচিন্তিত আলোচনার মাধ্যমেই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসে।
advertisement
12/12
*আইভিএফ এমন একটা সফর, যা জীবন বদলে দিতে পারে। আসলে বিজ্ঞানের সঙ্গে অনুভূতি, ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের এক অপূর্ব মেলবন্ধন গড়ে উঠেছে এই প্রক্রিয়ায়। সঠিক জ্ঞান, সাহায্য এবং প্রত্যাশা থাকলে দম্পতিরা স্বচ্ছতা এবং শক্তিকে সঙ্গী করে এগোতে পারবেন। ডা. বাণী কুমার মিত্র আরও বলেন যে, “একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার ভূমিকা কিন্তু শুধু ওষুধ প্রেসক্রাইব করা নয়। আমার ভূমিকার মধ্যে অন্যতম হল-এই সফরের জন্য রোগীকে প্রস্তুত করা এবং চলার পথের প্রত্যেক পদক্ষেপে তাঁকে সাহায্য করা। আর আইভিএফ-এর মাধ্যমে মা-বাবা হওয়ার সফর শুধু সন্তানধারণই নয়। এর পাশাপাশি এই প্রক্রিয়াকে গ্রহণ করতে হবে, বিজ্ঞানের উপর ভরসা রাখতে হবে এবং নতুন সূচনার সম্ভাবনার উপরেও বিশ্বাস রাখতে হবে।"
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
IVF-এর মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চাইছেন? প্রক্রিয়া শুরুর আগে হবু মা-বাবা অবশ্যই জানুন 'এই' বিষয়গুলি, পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক