Fridge Hacks: ১০ ভুলের একটিতেও 'টাইম বোমা' আপনার সাধের ফ্রিজ! বিস্ফোরণে মুহূর্তে পুড়ে ছাই গোটা বাড়ি! অবিলম্বে নিজেই পরীক্ষা করুন

*How to use refrigerator to avoid short circuit:  ১০ ভুল যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে! কয়েক মিনিটেই গোটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বিস্ফোরণে। গরমের মরশুমে এয়ার কন্ডিশনার, শর্ট সার্কিট বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগার খবর প্রায়ই সামনে আসে। কিন্তু আপনার ঘরে রাখা ফ্রিজও ফেটে যেতে পারে, আগুন ধরে যেতে পারে। হ্যাঁ, আজকাল ফ্রিজ বিস্ফোরণের খবরও মেলে হামেশাই।

*ফ্রিজ যদি নতুন হয় তাহলে খুব বেশি ঝুঁকি থাকে না, কিন্তু আপনি যদি ১০-১৫ বছরের পুরোনো ফ্রিজ ব্যবহার করেন তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কখনও কখনও রেফ্রিজারেটরটি ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়, তাতে তা থেকে আগুন লাগতে পারতে বা বিস্ফোরণ হতে পারে। ফ্রিজ ব্যবহারের সময় কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত, এতে বিস্ফোরণ এড়ানো যায়।

*ফ্রিজে অগ্নিকাণ্ড, জ্বালাপোড়া ও ফেটে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ অসাবধানতাবশত ফ্রিজ ব্যবহার করেন। ফ্রিজটি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় প্রচণ্ড গরমও হয়ে যায়। ফ্রিজ পুরনো হলে কম্প্রেসারের ওপর চাপ পড়ে এবং তা পুড়ে বা ফেটে যেতে পারে।

*কেউ কেউ ফ্রিজে জিনিসপত্র রাখে, যাতে বাতাস সর্বত্র সঞ্চালিত না হয়, এটি ফ্রিজও গরম করে এবং জিনিসপত্র নষ্ট করতে পারে। ফ্রিজে বেশি জিনিস থাকলে বিস্ফোরণ হতে পারে। কারণ তখন তাকে ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। লোডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিলও বেশি হয়। বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে গেলে শর্ট সার্কিটও হতে পারে।

*কেউ কেউ নিম্নমানের ফ্রিজের সকেট, প্লাগ, তার ব্যবহার করেন, এটাও শর্ট সার্কিটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে না থাকলে ঘরে থাকা ফ্রিজ পুড়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় ভোল্টেজের ওঠানামা খুব বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্টেবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে অন্যথায় ফ্রিজের কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয়ে ফেটে যেতে পারে।

*ফ্রিজে ব্যবহৃত কুলিং গ্যাস (রেফ্রিজারেন্ট ) লিক হয়ে গেলে তা খুবই বিপদজনক, কারণ গ্যাস যদি স্পার্ক বা আগুনের লেলিহান শিখা স্পর্শ করে তাহলে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হতে বাধ্য। কিছু লোক ফ্রিজের ভিতরে ভিজিয়ে দেয় বা কিছু পরিবর্তন করে। এতে অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

*ফ্রিজে ওভারলোড করবেন না। এতে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখুন। ফ্রিজ সবসময় পরিষ্কার রাখুন। প্রতি ছয় মাস অন্তর সার্ভিসিং করান। সঠিক বায়ু চলাচলের জন্য ফ্রিজের পিছনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা উচিত।

*কেবল ভাল মানের প্লাগ এবং তারগুলি কিনুন। ফ্রিজ অনেক পুরাতন হয়ে গেছে, গ্যাস লিক হতে থাকে, ঠিকমতো ঠান্ডা না হলে তা পরিবর্তন করে নতুন কিনে ফেলাই ভালো। যদি ভোল্টেজের ওঠানামা বেশি হয় তবে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন।

*আপনি যদি ফ্রিজ থেকে কোনও স্পার্ক, গন্ধ, ধোঁয়া বা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান বা দেখতে পান তবে অবিলম্বে একজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিকে কল করুন এবং এটি পরীক্ষা করুন। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে, আপনি যে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধ করতে পারেন।