Alzheimers Dementia Risk: অ্যালজাইমার্স রোগ ঠেকাতে সতর্ক হতে হবে গোড়াতেই, হাঁটলে নাকি দারুণ উপকার! জানুন হার্ভার্ডের নয়া রিপোর্ট

দশটি জিনিসের নাম আওড়াতে আওড়াতে বাজারের থলি হাতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ঢুকলেন পাঁচটি জিনিস নিয়ে। বাকি পাঁচটি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন! খুব স্বাভাবিক মনে হলেও, এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক মারাত্মক রোগের উপসর্গ।

বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ পাওয়া গেলেও গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ যুবকই এই রোগে আক্রান্ত। অনেক তরুণরাও এই সমস্যার সমাধান পেতে সাইকোলজিস্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

বর্তমানে মাত্র ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি যুবকদের মধ্যেও মারাত্মক আলজ্যাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার সমস্যা সামনে আসছে। এই সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি বাতলে দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

এই রোগের ওষুধ বা নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি যেহেতু নেই, তাই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ এনেই অ্যালঝাইমার্স বা স্মৃতিনাশের মতো মানসিক সমস্যাকে বশে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকেরা এই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।

বয়স ৪০ থেকে ৭৯ এমন ৭৮ হাজার মানুষজনকে নিয়ে হার্ভার্ডের গবেষকেরা একটি সমীক্ষা চালান। প্রত্যেককে পরিয়ে দেওয়া হয় ফিটনেস ট্র্যাকার।

প্রতি দিন নিয়ম করে তাঁদের ৩,৮০০ থেকে ৫,০০০ পা হাঁটতে বলা হয়।

সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে পাঁচ দিন এই অভ্যাস চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মাসখানেক পরে দেখা যায়, যাঁরা নিয়ম মেনে হেঁটেছিলেন তাঁদের মস্তিষ্কের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে।

হাঁটলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়, মস্তিষ্কের পেশির সক্রিয়তা বাড়ে, অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং স্মৃতিলোপের ঝুঁকি কমে।

হাঁটলে এন্ডরফিন ও সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ হয় যা মনকে খুশি রাখে, অনিদ্রার সমস্যা দূর করে। এতে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়। 'জামা নিউরোলজি' জার্নালে এই গবেষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)