Bangladeshi Food: পান্তা-ইলিশ, বোরহানি, ভর্তা... বাংলাদেশের খাবারে জিভে জল! এই ১১টি ডিশ চেখে দেখতেই হবে

বাঙাল মানেই খাদ্যরসিক। কেবল নিজের খাওয়া নয়, পাত পেড়ে বসিয়ে খাওয়ানোতেও মহা আনন্দ। বাংলাদেশের এমন কয়েকটি রান্নার সন্ধান দেওয়া হল, যা বাঙাল-ঘটি নির্বিশেষে জিভে জল আনবেই।

কাচ্চি বিরিয়ানি- সুগন্ধি চালের সঙ্গে কাঁচা মাংস সরাসরি রান্না করা হয়, তাই এর নাম হয়েছে কাচ্চি। মাটির পাত্রে রান্না হয়। কবাব আর চাটনি দিয়ে খেলে এর স্বাদ অতুলনীয়।

ভুনা খিচুড়ি- ভুনা খিচুড়ি অন্যান্য খিচুড়ির থেকে খানিক আলাদা। একাধিক সব্জি বা মাংসকে কড়াইতে ভাজা ভাজা করে নিয়ে বানানো হয় ঝুরঝুরে খিচুড়ি।

মোরগ পোলাও- চাল, মাংস, মশলা, দই এবং ঘি দিয়ে বানানো হয় এই পোলাও। চিকেন পিলাফ নামেও পরিচিত এই সুস্বাদু পোলাও।

পান্তা ইলিশ- পান্তা ভাতের তো কোনও জুড়ি নেই। তবে তার সঙ্গে যদি থাকে ইলিশ মাছ ভাজা, তাহলে তো কথাই হয় না। পান্তা ভাতের সঙ্গে ডালের বড়া, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, আর লেবুর রস দিয়ে খেলে শরীরও ভাল থাকে, মনও।

ফুচকা- ঢাকার ফুচকা কলকাতার থেকে খানিক আলাদা। ময়দার খোলের মধ্যে আলু, মটর, মসলার মিশ্রণ দিয়ে পরিবেশিত। একটি বাটিতে অনেকগুলি ছোট ছোট ফুচকা রেখে তেঁতুলের ঝাল-মিষ্টি-টক দিয়ে খাওয়া হয়।

ইলিশ ভাপা- সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ মাছ ম্যারিনেট করে রান্না হয়। কলাপাতায় মুড়ে অল্প আঁচে ভাপা হয় সেই মাছ। গরম ভাতের সঙ্গে এই রেসিপি যেন অমৃত।

দই চিড়া- খানিক চিড়ে জলে ভিজিয়ে নিয়ে তাতে টক দই মিশিয়ে, সঙ্গে একাধিক ফল কেটে কেটে দিয়ে দেওয়া হয়। ইচ্ছে চিনিও মেশাতে পারেন কেউ। এভাবেই স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু জলখাবার তৈরি হয়ে যায়।

বোরহানি- বিরিয়ানির পর এই পানীয় কেবল অমৃত নয়, হজমেও কাজ করে। টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা, নুন, জিরা, অল্প চিনি দিয়ে ফেটিয়ে তৈরি হয়।

দই পটল- দইয়ে মাখা পটলের তরকারি বড়ই সুস্বাদু। গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল-ঝাল দই পটল খেলে মন জুড়িয়ে যাবে।

তেহারি- ছোট ছোট মাংসের টুকরো, গোল গোল আলু দিয়ে পোলাও তৈরি হয়। সকালে জলখাবার হিসেবে বাংলাদেশে খাওয়া হয় এই খাবার।

ভর্তা- বাংলাদেশে যেকোনও উপাদানেরই ভর্তা তৈরি হয়। তা সে পেঁয়াজ হোক, কালো জিরে হোক, মাছ হোক বা আলু, সবই যদি শুকনো লঙ্কা দিয়ে মেখে বা বেটে নেওয়া যায়, সেটিই গরম ভাত দিয়ে খেলে দারুণ সুস্বাদু হয়ে যায়।