Cyclone Ashani: বড় খবর! অশনির সতর্কতা নিয়ে চমকে দেওয়া আপডেট আবহাওয়া দফতরের, দেখুন
- Published by:Uddalak B
- news18 bangla
Last Updated:
Cyclone Update: সরাসরি বা প্রত্যক্ষ প্রভাব না হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
advertisement
1/7

#কলকাতা: শেষ পর্যন্ত সমুদ্রেই কি বিলীন হবে অশনি! আপাতত ল্যান্ডফলের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে গতিপথ পরিবর্তন করছে অশনি। সমুদ্রে থেকে গতিপথ পরিবর্তন করার পরও শক্তি বাড়ছে না অশনির। উল্টে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই কারণেই উপকূলে আছড়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। বরং শক্তি হারিয়ে সমুদ্রেই বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে। (তথ্য - বিশ্বজিৎ সাহা)
advertisement
2/7
ক্রমশই রহস্যময়ী হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। ৪ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল সেটাই রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। আপাতত গভীর নিম্নচাপ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে সিস্টেমটির সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগ রয়েছে।
advertisement
3/7
আগামীকাল রবিবার সকালে এটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ছুঁয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। তখন এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।
advertisement
4/7
রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। সোমবার বিকেলে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার সকালে এটি অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িষ্যা উপকূল বরাবর এর প্রভাব থাকবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এই সময়ে সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। সমুদ্রের ভেতর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকলেও অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িষ্যা উপকূলের স্থলভাগে সেই সময় ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ বড়জোর ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে।
advertisement
5/7
মঙ্গলবার পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গতিপথ পরিবর্তন করবে। উত্তর-পশ্চিম গতিপথের বদলে এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোতে থাকবে। অর্থাৎ উত্তর অন্ধ্র-দক্ষিণ ওড়িষ্যা উপকূল ছেড়ে ক্রমশ উত্তর ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগতে থাকবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ছেড়ে ঘূর্ণিঝড় এগোবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে। গতিপথ পরিবর্তন করে যতই এগোবে এই ঘূর্ণিঝড় , ততই এর শক্তি ক্ষয় হবে। এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। বুধবার এর গতিবেগ নব্বই কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হয়ে যেতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড় অশনি কোন পথে এগোয়? সেদিকেই তাকিয়ে আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা।
advertisement
6/7
আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বুধবারের পর অশনি ক্রমশ সমুদ্রের গভীরে শক্তি ক্ষয় করতে পারে। অথবা শক্তি হারাতে হারাতে এটি বাংলা ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসতে পারে। আবার সমুদ্রেই শক্তি সঞ্চয় করে নতুনভাবে গতিপথ তৈরি করে কিনা সেদিকেও নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে বুধবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগের আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা।
advertisement
7/7
সরাসরি বা প্রত্যক্ষ প্রভাব না হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। মূলত বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সোমবার আংশিক মেঘলা আকাশ, মঙ্গলবার থেকে মেঘলা আকাশের পরিমাণ বাড়বে। কলকাতাতেও মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার এর মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হলেও বাকি জেলাগুলিতে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।