advertisement
1/6

সালটা ছিল ১৯০৫ । দেশভাগ হয়নি তখনও । অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সনমান্দি গ্রামে শুরু হয়েছিল গাঙ্গুলী বাড়ির কালীপুজো । নিষ্ঠার সঙ্গে আচার-আচরণ মেনে চলত সেই পুজো ।
advertisement
2/6
তন্ত্রমতে চলত এই কালীপুজো । পশুবলিরও রীতি ছিল । তবে, শৈলন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী পশুবলির এই নিষ্ঠুরতাকে বর্জন করেন । তার পর থেকেই চালু হয় এই নয়া নিয়ম । গাঙ্গুলী পরিবারের একজন সদস্যকে নিজের বুক চিরে সামান্য রক্ত দিতে হত । এভাবেই চলত মা কালীর পুজো ।
advertisement
3/6
এরপর স্বাধীন হল দেশ । এপার বাংলা আর ওপার বাংলা । দেশভাগের জেরে ছেদ পড়ে পুজোয় । আপামর বাঙালি যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল । গাঙ্গুলী বাড়ির সদস্যরাও সেই আঁচে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় । ফরিদপুরের পর গাঙ্গুলী বাড়ির ঠিকানা হয় সোজা কলকাতার একটি ছোট্ট ভাড়াবাড়ি । যেখানে পুজো হওয়া তো দূরস্ত । দিন গুজরান করাটাই দায় হয়ে পড়ে ।
advertisement
4/6
এরপর হঠাৎ-ই একদিন গাঙ্গুলি বাড়ির আড্ডায় ওঠে কালীপুজোর কথা । সকলেই একমত হন । অবশেষে ১৯৯৬ সালে ফের শুরু হয় পুজো । শ্রীমতী মণিকা গাঙ্গুলী(বর্তমান প্রজন্মের বধূমাতা)-র তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় পুজো । মণিকা গাঙ্গুলী এবং পান্নালাল গাঙ্গুলীর উদ্যোগে শুরু হয় পুজো ।
advertisement
5/6
দুর্গাপুজো নয় । কালীপুজোয় সোদপুরের দীপঙ্কর গাঙ্গুলীর বাড়িই যেন হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র । চারদিন অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে । পাড়া-পড়শি তো রয়েছেই । দূর দূরান্তের আত্মীয়স্বজন, যাদের সঙ্গে সারা বছর হয়তো যোগাযোগ থাকে না । তারাও পুজোর এই চারটে দিন সমস্ত কাজ ফেলে ছুটে আসেন এই পুজোয় ।
advertisement
6/6
যে যেমন পারেন, তেমন ভাবেই আর্থিক সাহায্য করেন পুজোতে । পরিবারের এক সদস্যের কথায়, বাধা-বিঘ্ন আসে অনেক, সমস্ত কাটিয়ে আমাদের এই পুজো চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে ।