TRENDING:

'হাঁটলেই বিয়ে হয় না...'! দাম্পত্যের ইনিংস সামলে ২৬-এর ভোট, পারবেন? রাত পেরোতেই ইকোপার্কে এসে যা বললেন দিলীপ!

Last Updated:
Dilip Ghosh After Marriage: বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন। চিরাচরিত রূপেই ধরা দিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ, শুভেচ্ছা বিনিময় আর সাদামাটা উদযাপনেই কেটে গেল এই বিশেষ সকাল। রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে এসে ব্যক্তিগত পরিসরে এমন জন্মদিন উদযাপন নিঃসন্দেহে দিল এক ভিন্ন বার্তা।
advertisement
1/12
'হাঁটলেই বিয়ে হয় না...'! রাত পেরোতেই ইকোপার্কে এসে যা বললেন দিলীপ! ২৬ ভোটে থাকছেন কি?
১৮ এপ্রিল, শুক্রবার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বিয়ের শুভ মুহূর্তের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার সকালে ছিল আর এক বিশেষ দিন—তাঁর জন্মদিন। আর সেই দিনটি বিজেপি নেতা কাটালেন তাঁর প্রিয় জায়গা, নিউটাউনের ইকো পার্কে।
advertisement
2/12
সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ইকো পার্কের সবুজের মাঝে ঘাম ঝরালেন দিলীপ ঘোষ। এরপর সঙ্গীদের সঙ্গে উদযাপিত হল জন্মদিন। পার্কের এক কোণে ঘিরে ধরা হল ছোট্ট আসর, যেখানে কেক কাটা হল জমিয়ে। মিষ্টির তালিকায় ছিল পায়েসও—জন্মদিনে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া যেন অনিবার্য! উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন ঘনিষ্ঠ অনুগামী, রাজনৈতিক সহযাত্রী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
advertisement
3/12
বিয়ে দিয়ে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দলেরই কর্মী রিঙ্কু মজুমদারকে। শুধুই রাজনীতিক নন, প্রেমিক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করলেন দিলীপ। বিয়ের পরদিনই তাঁর জন্মদিন। আর সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে হাজির হলেন ইকো পার্কে—যে পার্কেই রিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। প্রেম থেকে পরিণয়ে পৌঁছনোর গল্পে জড়িয়ে রয়েছে এই পার্কের নাম। তাই জন্মদিনের দিনেও পছন্দের ঠিকানাতেই এলেন দিলীপ ঘোষ।
advertisement
4/12
সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে অনুগামীদের সঙ্গে কেক কাটলেন, খেলেন পায়েস, হাসিমুখে গ্রহণ করলেন শুভেচ্ছা। গোটা ইকো পার্ক জুড়ে যেন তৈরি হল এক উৎসবের আবহ। উদ্যোক্তা অবশ্য তাঁর অনুগামীরাই। তাঁরা জানান, এদিন দিলীপদার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন চলবে সারাদিন।
advertisement
5/12
দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, যাঁরা ভাবছেন ইকো পার্কে হাঁটলেই প্রেম এবং পরে বিয়ে হবে, তাঁদের উদ্দেশে বলি—তিনি মর্নিং ওয়াক করতে আসেন না, এই মানুষটি আগে থেকেই তাঁর পরিচিত, এমনকি বহু পুরনো দলীয় কর্মী এবং তাঁর বাড়িতেও এসেছেন আগেই। পরিস্থিতির কারণেই হঠাৎ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দিলীপের কথায়, “সারা জীবন হাঁটলেও বিয়ে হবে না, যখন হওয়ার তখনই হবে।”
advertisement
6/12
তাঁর দাবি, পরিস্থিতি যতই পাল্টাক না কেন, দিলীপ ঘোষের মিশন কখনও পাল্টাবে না। রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা বরাবরই সক্রিয়। রামনবমীর মিছিল থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি হারানোদের পাশে দাঁড়ানো—সবক্ষেত্রেই তিনি মাঠে ছিলেন। শুধুমাত্র দু’দিন ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে ছিলেন, আজ থেকে আবার পুরোদমে কাজে ফিরছেন। তাঁর ভাষায়, “লোকজন যখন রাতে কেক কাটে, আমি সকাল ছ’টায় কেক কাটি। এটা বুঝতে হবে যে দিলীপ ঘোষ মানে দিলীপ ঘোষ।”
advertisement
7/12
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এতদিন কাশ্মীর থেকে হিন্দুরা উদ্বাস্তু হয়ে অন্যত্র যেতেন, এখন এই রাজ্যেই হিন্দুদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পালাতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ইমামদের সঙ্গে দেখা করার সময় পান, কিন্তু আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান না। এমনকি মিডিয়াকেও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ত্রাণও পৌঁছাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, এই ঘটনায় সরকারের কোনও সমবেদনা নেই।
advertisement
8/12
দিলীপ ঘোষ জানান, রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কিন্তু রাজ্যের শাসকের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তিনি আরও বলেন, ১১ তারিখ মালদা থেকে ফেরার পথে তাঁকে গেস্ট হাউসে বসিয়ে রাখা হয়, অথচ বিভিন্ন হিংসার জায়গা থেকে তাঁর কাছে ফোনে বিএসএফ পাঠানোর অনুরোধ আসে। বিকেল ৬টার পর বিএসএফ ঢোকে। ফেরার পথে তিনি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখতে পান। দিলীপের মন্তব্য, যদি বিএসএফ-ই পুলিশের কাজ করে, তাহলে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক।
advertisement
9/12
দাম্পত্য জীবনের সূচনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রথম প্রস্তাব এসেছিল রিঙ্কুর কাছ থেকেই। তবে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হননি তিনি। শেষে মায়ের ইচ্ছেতেই এই বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রিঙ্কুর ছেলে যদিও বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে মায়ের সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করেছেন।
advertisement
10/12
দিলীপের ইকো পার্কে জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে লেখেন, “যেহেতু মর্নিং ওয়াকে নিয়মিত যেতেন ইকো পার্কে, যেহেতু ওখানেই পরিচয় থেকে আজ পরিণয়, এবং যেহেতু ওই অপূর্ব ইকো পার্কটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি, তাই এই মিলনের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য।”
advertisement
11/12
প্রসঙ্গত, বিয়ের দিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে একটি শুভেচ্ছা বার্তা ও বিরাট ফুলের তোড়া পৌঁছে যায় দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। নতুন জীবনে তাঁর জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রাজনৈতিক সহকর্মীরাও। এখন দেখার, ব্যক্তিগত জীবনের এই নতুন পর্বে রাজনীতির ময়দানে কী ভাবে ফেরেন দিলীপ।
advertisement
12/12
দিলীপ ঘোষের বিয়ের পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এমন সময় দলীয় কাজে আগের মতো সক্রিয়ভাবে তাঁকে আদৌ দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সঙ্ঘজীবন থেকে রাজনীতির ময়দান—প্রতিটি দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে। আগামীতেও সেই নীতিতেই অটল থাকবেন বলে জানান তিনি।
বাংলা খবর/ছবি/কলকাতা/
'হাঁটলেই বিয়ে হয় না...'! দাম্পত্যের ইনিংস সামলে ২৬-এর ভোট, পারবেন? রাত পেরোতেই ইকোপার্কে এসে যা বললেন দিলীপ!
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল