Cyclone Michaung Update: বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ‘মিগজাউম’! ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি, জেনে নিন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
- Written by:BISWAJIT SAHA
Last Updated:
আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত। ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে অতি-গভীর নিম্নচাপ। ২ ডিসেম্বর, শনিবার বঙ্গোপসাগরেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্নচাপ।
advertisement
1/7

শীতের পথে বাধা ঘূর্ণিঝড়। বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। আংশিক মেঘলা আকাশ। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে। পশ্চিমের জেলাতেও তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। আগামী পাঁচ-সাত দিনে শীতের আমেজ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷
advertisement
2/7
আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে অতি-গভীর নিম্নচাপ। ২ ডিসেম্বর শনিবার বঙ্গোপসাগরেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্নচাপ। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক। এরপর ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে সরাসরি। এরপরেও গতিপথ পরিবর্তন করার সম্ভাবনা এবং শক্তি বাড়াতে পারে এই সিস্টেম।
advertisement
3/7
অতি গভীর নিম্নচাপ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে শনিবার ২ ডিসেম্বর। ডিসেম্বরে এই ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে ‘মিগজউম’ (Michaung pronunciation- Migjaum)। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণিঝড় কোন পথে বা কোথায় ল্যান্ডফল করবে সে বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। তবে বিভিন্ন আবহাওয়ার মডেল জানিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূলের যে কোনও জায়গাতেই আঘাত আনতে পারে। আপাতত মডেলগুলোর ইঙ্গিত ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকেই বেশি।
advertisement
4/7
অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে বিজয়ওয়াড়া অথবা ওড়িশা উপকূলের ভুবনেশ্বরের মাঝামাঝি কোথাও ল্যান্ডফল হতে পারে। অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নভেম্বরের শেষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে বৃহস্পতিবার। ঝঞ্ঝার প্রভাবে নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, রাজস্থান এবং আরব সাগরের মহারাষ্ট্র উপকূলে।
advertisement
5/7
দক্ষিণবঙ্গে শীতের পথে বাধা ঘূর্ণিঝড়। শীতের আমেজ থমকে রয়েছে। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বদল হবে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। পুরোপুরি মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কিছু জেলাতে। আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে। শুধুমাত্র সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের আমেজ বজায় থাকবে। কলকাতায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠবে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলায় শীতের আমেজ একটু বেশি থাকবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নীচে নেমেছিল। সেই তাপমাত্রা আবার ১৫ ডিগ্রির উপরে উঠবে। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকা ছাড়া আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উইকেন্ডে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী তিন-চার দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে।
advertisement
6/7
ডিসেম্বরের শুরুতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকায়। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে একই রকম পরিবেশ শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও চার-পাঁচ দিন। উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয়া জেলাগুলি এবং পার্বত্য এলাকায় কুয়াশার সম্ভাবনা। কলকাতায় ২০ ডিগ্রির ওপরে উঠল পারদ। আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের তাপমাত্রা বাড়বে; কমবে দিনের তাপমাত্রা। সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে সামান্য উষ্ণতা। উইকেন্ডে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।
advertisement
7/7
শীতের আমেজ কমে বাড়বে উষ্ণতা। কলকাতায় আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। গতকাল, বুধবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯৩ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ৷