Calcutta High Court: 'আমরা কিছু করতে পারব না!' এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট কাণ্ড! বহাল অযোগ্য তালিকা, কাজ হল না কল্যাণের অনুরোধেও
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
Calcutta High Court: মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে কেন যাচ্ছে না? এপ্রিল মাসে রায় শীর্ষ আদালতের। এত দীর্ঘ সময় কী করেছিল তারা? প্রশ্ন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর।
advertisement
1/10

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল দাগি তালিকা। ১৮০৬ দাগি তালিকা বহাল রাখল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। পরীক্ষায় বসার অনুমতি অযোগ্যদের দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি-র ১৮০৬ দাগি তালিকা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।
advertisement
2/10

মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে কেন যাচ্ছে না? এপ্রিল মাসে রায় শীর্ষ আদালতের। এত দীর্ঘ সময় কী করেছিল তারা? প্রশ্ন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর।
advertisement
3/10
মামলাকারীদের আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, ''আমাদের হাতে এমন অযোগ্য তালিকা ছিল না। তালিকা এসএসসি'র অভ্যন্তরে (ইন্টারনাল) ছিল। আমাদের পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়। এখন অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে আমাদের নাম রয়েছে।''
advertisement
4/10
এদিকে, কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মূল তিন অংশের অযোগ্য ছাড়াও রয়েছে OMR মিসম্যাচ, রাঙ্ক জাম্প, সাদা খাতা, প্যানেলের বাইরে, প্যানেল মেয়াদ শেষে চাকরি৷'' এরপরই বিচারপতিরা বলেন, ''প্যানেলের বাইরের চাকরি ভুল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে সেই অংশকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হল কেন?''
advertisement
5/10
এর প্রত্যুত্তরে কল্যাণ জবাব দেন, ''১৮৪ জনকে অযোগ্য তালিকায় দেখানো হয়নি বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। তাদের চাকরি কন্টিনিউ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসএসসি বিবেচনায় তারা অযোগ্য বা দাগি নয়। মামলাকারীরাই দাগি বলে বিবেচিত হয়েছে।''
advertisement
6/10
কবে মামলাকারীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়? ৩০ অগাস্টের আগে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়ে থাকলে হঠাৎ তা বাতিল করা হয় কেন? প্রশ্ন ডিভিশন বেঞ্চের। কল্যাণের জবাব, ''পরীক্ষায় বসতে চেয়ে ৫ লক্ষ আবেদন আসে৷ সেই সময় সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখা যায়নি। ৩-৪ দিনের মধ্যে এগুলি বাতিল করা হয়েছে।" তাঁর সংযোজন, ''একক বেঞ্চ বলে অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাই। আমাদের আবেদন বাতিল করে ডিভিশন বেঞ্চ।''
advertisement
7/10
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'সম্ভবত যোগ্যরা' সুপ্রিম কোর্টে যায়। তাদের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ২৯ অগাস্ট বলে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে আরও বলে অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না।'' কেন কমিশন অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করল? এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কমিশন এইরকম ক্যাজুয়াল পদক্ষেপ করবে? কমিশনের আধিকারিকরা চাকরি হারায়নি। কিন্তু এই মামলাকারীরা তাদের চাকরি হারিয়েছে। এমনই পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের।
advertisement
8/10
কল্যাণ পাল্টা বলেন, ''আদালত যদি মনে করে অযোগ্য দের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিক৷ কমিশন একটা ভুল করেছে, কিন্তু তার মানে সব সময়ই কমিশনের আধিকারিকদের চাপের মধ্যে রাখবেন না দয়া করে। কমিশন সবাইকে প্রভিশনার অ্যাডমিট কার্ড দিয়েছে। যদি কোনও ভুল করে থাকি, পরে তা শুধরে নেবে কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের এমন অবস্থানকে মান্যতা দিয়েছে৷
advertisement
9/10
কল্যাণের আরও মন্তব্য, ''আদালতের চোখে সকলেই সমান। কমিশন যখন অ্যাডমিট কার্ড দিয়েছে তখন তাদের মনে চাকরির আশা উঁকি দিয়েছে। আমরা কি পারিনা মামলাকারীদেরও পরীক্ষায় বসার সুযোগ টুকু দিতে। যেহেতু ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা কেউ চাকরি কন্টিনিউ করছে না, তারা প্রত্যেকেই দাগি।''
advertisement
10/10
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চ এরপর জানিয়ে দেয়, ''সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনায় এখন পুরো বিষয়টি। আমরা কি শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ওপর কিছু করতে পারি? অযোগ্যদেরে আবেদন গ্রহণের মতো কোনও আইনি সংস্থান কি দেখাতে পারবে মামলাকারীরা? সুপ্রিম কোর্টে যাক মামলাকারীরা। আমরা কিছু করতে পারছি না।''