বর্জ্য প্লাসটিকের স্তূপের উপর শুয়ে রয়েছেন 'মৎস্যকন্যা'! প্রতিবাদের অভিনব পন্থা দেখে মুগ্ধ নেটদুনিয়া
- Published by:Somosree Das
- news18 bangla
Last Updated:
প্লাসটিক বর্জ্যের বিশাল স্তূপের উপর 'মৎস্যকন্যা' বেশে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে এক তরুণীকে। প্রতিবাদের এই ভঙ্গিমা সকলকে তাক লাগিয়েছে সকলকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি।
advertisement
1/7

নতুন বছরের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্লাসটিক বর্জন নিয়ে পরিবেশবিদরা বার বার সতর্ক করেছেন। তবে সম্প্রতি এক তরুনীর প্লাসটিক বর্জন নিয়ে প্রতিবাদের ভঙ্গিমা সকলকে তাক লাগিয়েছে। প্লাসটিক বর্জ্যের বিশাল স্তূপের উপর ‘মৎস্যকন্যা’ বেশে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে এক তরুণীকে। তারপরেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে নেতিজেনরাও শেয়ার করেছেন ছবিগুলো।
advertisement
2/7
ইন্দোনেশিয়ার বালির কুটা সৈকতের চেহারা কেমন? তা সকলের কাছে তুলে ধরতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন ফ্রিল্যান্স চিত্রগ্রাহক Wayan Suyadnya। তিনি একটি ড্রোনের সাহায্যে ৩৫ বছরের Laura-এর ছবি তুলেছেন। Laura একজন ocean advocate। তিনি বেলজিয়ামের বাসিন্দা। বালির কুটা সৈকতের এই দুর্দশা দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। তারপরে সকলকে সচেতন করার জন্য তিনি ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নেন। ছবি গুলি শেয়ার করা হয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে। তবে তিনি খুশি হয়েছিলেন যে, তাঁকে নোংরা আবর্জনার মধ্যে শুয়ে থাকতে দেখে অনেকেই এগিয়ে আসেন এবং জায়গাটিকে পরিষ্কার করার জন্য হাতে হাত লাগান।
advertisement
3/7
স্বেচ্ছাসেবীদের আহ্বান জানিয়ে Laura তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, আমাদের পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়াও তিনি কয়েকটি বড় পণ্য ব্যবসায়ী সংস্থা যেমন, কোকা কোলা, পেপ্সিকো, ইউনিলিভার, নেসলে-কে উদ্দেশ্য করে লেখেন, প্লাসটিকের পুনর্ব্যবহার এবং পরিষ্কার করা এক মাত্র স্থায়ী সমাধান নয়। প্লাসটিকের ব্যবহার করাটাই সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কথা তিনি বলেন।
advertisement
4/7
নারকন্টস বালির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে Laura জানিয়েছিলেন, তিনি এই ভিজ্যুয়ালটি প্লাস্টিকের বর্জ্য এবং তা ব্যবহারের বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেটিকে ভাইরাল করার জন্য মারমেইড অর্থাৎ মৎস্যকন্যা পোশাক ছিল এক্কেবারে দুর্দান্ত একটি উপায়।
advertisement
5/7
স্থানীয় এনজিও এবং পরিবেশ সংস্থা গুলি সমুদ্র সৈকত দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য চেয়েছে। তাঁদেরকে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।
advertisement
6/7
সামুদ্রিক দূষণ ইন্দোনেশিয়ার একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোনালী তীরভূমিটি প্লাস্টিকের বর্জ্যের পাহাড়ের মধ্যে ডুবে রয়েছে। প্রতি বছর, এই সৈকতগুলি বর্জ্য পদার্থের জন্য বিশ্বব্যাপী শিরোনামে উঠে আসে। ২০১৮ সালে একটি মৃত তিমি ওয়াকাটোবি ন্যাশনাল পার্কে কপোটা দ্বীপের কাছে পাওয়া গিয়েছিল। ওই মৃত তিমির ভিতর থেকে ১৩২ পাউন্ড প্লাসটিকের বর্জ্য পদার্থ বের করা হয়েছে।
advertisement
7/7
এপ্রিল মাসে ইন্দোনেশিয়ান সরকার দেশে প্লাস্টিকের বর্জ্য নাটকীয়ভাবে হ্রাস করার পরিকল্পনা চালু করেছিল। সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সমুদ্রের প্লাস্টিকের বর্জ্য ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরির করার পরিকল্পনা রয়েছে।