আমেরিকার রাজনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করছেন ডেমোক্র্যাট বঙ্গযুবক সৈকত চক্রবর্তী, জেনে নিন তাঁর পরিচয় এক ঝলকে
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Who is Saikat Chakrabarti: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথের কাঁটা হিসেবে মার্কিন রাজনীতিতে মামদানির আবির্ভাবের পর এবার নজরে আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈকত চক্রবর্তী।
advertisement
1/5

গত সপ্তাহের কথা, তার বেশি নয়। এখনও সেই নিয়ে আলোচনা মুখে মুখে। নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছেন। আর ঠিক তার পর পরই, এই ঘটনার সূত্র ধরে মার্কিন রাজনীতিতে একটি মাইলফলক অর্জনের জন্য যিনি আপাতত অপেক্ষা করছেন, তেমন আরেক দক্ষিণ এশীয় ডেমোক্র্যাটকে নিয়ে অনেকের মনেই আশার সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে উত্তেজনায় প্রহর গুনছেন বাঙালিরা। ন্যান্সি পেলোসি অবসর ঘোষণা করার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈকত চক্রবর্তীকে এখন সেই পদে দেখার আশা পূর্ণ হতে চলেছে। এর ফলে মার্কিন কংগ্রেসে সান ফ্রান্সিসকো আসনের জন্য ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার দরজা খুলে গিয়েছে বলাই যায়। (Photo: X)
advertisement
2/5
মামদানির মতোই ৩৯ বছর বয়সের সৈকত চক্রবর্তীও ডেমোক্র্যাটদের দীর্ঘস্থায়ী আদর্শকে নাড়া দিতে চাওয়া প্রগতিশীল নেতাদের নতুন প্রজন্মের একজন। মামদানির বিশাল জয়ের পর চক্রবর্তী কেন সেই জয় অনুপ্রেরণামূলক ছিল তা ব্যাখ্যা করার জন্য X সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন। জোহরান প্রমাণ করেছেন যে তারা আপনার দিকে কত টাকা ছুঁড়ে মারে তাতে কিছু যায় আসে না। যদি আপনি প্রকৃত পরিবর্তনের পক্ষে দাঁড়ান, তাহলে সংগঠিত লোকেরা সংগঠিত অর্থকে হারিয়ে দেয়," হার্ভার্ড থেকে পড়াশোনা করা চক্রবর্তী এ হেন বার্তা পোস্ট করেছিলেন। অনেকেই চক্রবর্তীকে মামদানির সঙ্গে তুলনা করছেন, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের প্রচারণার ধরন একই রকম হওয়ায়। মামদানির মতো তিনিও সাশ্রয়ী মূল্য এবং কাঠামোগত সংস্কারকে নিজের প্রচারণার মূল নীতি হিসেবে রেখেছেন। (Photo: AP)
advertisement
3/5
‘‘শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে আন্দোলনের জন্য আমাদের কাছে এটি সত্যিই সুযোগ,’’ পেলোসির বিরুদ্ধে এপ্রিলে তাঁর প্রচারণা শুরু করার সময় চক্রবর্তী এ কথা বলেছিলেন। অন্য দিকে এখন পেলোসি ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগামী বছর আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এটি এমন একটি আসনের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে যা ১৯৮৭ সাল থেকে অপ্রতিরোধ্য ছিল। রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাটরা দীর্ঘ দিন ধরে ধনীদের উপর কর আরোপের ক্ষেত্রে সতর্ক ছিলেন, কিন্তু চক্রবর্তী সম্পদ করের মতো প্রস্তাব সমর্থন করতে দ্বিধা করেন না, এমনকি যদি এর অর্থ নিজেকে কর আরোপ করা হয়, তাহলেও তিনি সিদ্ধান্তে অটল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে তাঁর লক্ষ্য হল ডেমোক্র্যাটিক দলের ব্র্যান্ড সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করা। তাঁর স্পষ্টবাদী মতামত মাঝে মাঝেই ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে।
advertisement
4/5
দু’বছর পর তিনি জাস্টিস ডেমোক্র্যাটস নামে একটি রাজনৈতিক দল সহ-প্রতিষ্ঠা করেন, যার লক্ষ্য ছিল তরুণ এবং নতুন প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সহায়তা করা। তবে, চক্রবর্তী প্রগতিশীল মহলে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন যখন তিনি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের প্রচারণা সফলভাবে পরিচালনা করেন, যিনি ২০১৮ সালে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিউ ইয়র্ক আসন জয়ের জন্য সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছিলেন। চক্রবর্তীকে তাঁর চিফ অফ স্টাফ করা হয়। এই বিস্ময়কর জয় চক্রবর্তীকে জাতীয় স্তরে আলোচিত করে তোলে এবং তার পর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
advertisement
5/5
তবে, ২০১৯ সালে তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, যখন তাকে স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি দেওয়া একটি টি-শার্ট পরে থাকতে দেখা যায়। যদিও এটি চক্রবর্তীর জন্য সাংস্কৃতিক গর্বের একটি নিদর্শন ছিল, তবুও কিছু দক্ষিণপন্থী সংবাদমাধ্যম তাঁকে নাৎজ্জিদের সঙ্গে সহযোগিতাকারী একজনকে সমর্থন করার জন্য সমালোচনা করে। এখন কংগ্রেসে পাঁচজন ভারতীয়-আমেরিকান সদস্য এবং রাজ্য আইনসভায় প্রায় ৪০ জন ভারতীয়-আমেরিকান রয়েছেন, যা এশিয়ান-বংশোদ্ভূত যে কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে সর্বোচ্চ। সবার মনে তাই একটাই প্রশ্ন- চক্রবর্তী কি মার্কিন কংগ্রেসে ষষ্ঠ ভারতীয়-আমেরিকান হয়ে উঠতে পারবেন? আগামী বছরের জুনে এর উত্তর পাওয়া যাবে!