USA China: ‘ট্রাম্প ঠিক করবে নাকি আমরা কী করব’- তেল-তেল করে লাফাচ্ছিল আমেরিকা, চিন মুখে ঝামা ঘষে যা জানিয়ে দিল

চিনের উপর মার্কিন শুল্ক: রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে বিরোধ ক্রমশ বাড়ছে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সমস্যাটি এখন আরও বড় আকার নিয়েছে। আমেরিকা যখন রাশিয়ার কাছে নিজেদের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করছে, তখন রাশিয়া ও চিন যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। এদিকে, চিন আমেরিকাকে স্পষ্ট জবাব দিয়েছে যে তারা শুল্ক আরোপের বা ট্যারিফ ওয়ারের হুমকিতে ভীত হবে না। Photo- Representative

চিন মার্কিন চাপ সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা তার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষা করবে। স্টকহোমে দুই দিনের বাণিজ্য আলোচনার পর, চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রফতানির বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে - 'চিন সর্বদা তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে, এমনভাবে যা নিজেদর জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়' Photo- Representative (Collected)

চিন জোর দিয়ে বলেছে যে জবরদস্তি, চাপ বা ব্ল্যাকমেইল কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তারা আরও বলেছে যে ট্যারিফ ওয়ারে কোনও জয় হয় না এবং তারা তাদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা করবে। এই বিবৃতি আমেরিকার দাবির প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ, যে চিনকে রাশিয়া এবং ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। চিন বলেছে যে তারা কী করতে চায় তা তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে, ট্রাম্প এবং আমেরিকা নয়।

চিনের সঙ্গে চুক্তি করতে অক্ষম আমেরিকাএর আগে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসান্তও বলেছিলেন যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে চিন তার সার্বভৌমত্বকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের উপর ১০০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, তবে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারেও আশাবাদী বলে জানিয়েছে।

রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করলে তারা চিনকে ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য প্রলুব্ধ করছে। প্রকৃতপক্ষে, ইরান ও রাশিয়ার অর্থনীতির একটি প্রধান উৎস হল তেল বাণিজ্য, যা আমেরিকা বন্ধ করতে চায় যাতে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-ইরানের মধ্যে লড়াই বন্ধ হয়।

আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশ প্রভাবিত হয়েছে। চিন সর্বদা আমেরিকার কাছে তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। রাশিয়ার সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারিত্ব হ্রাস করতে চায় না। চিন রাশিয়া এবং ইরান থেকে সস্তা তেল কিনে তার জ্বালানি চাহিদা পূরণ করে এবং আমেরিকান চাপ সত্ত্বেও পিছু হটছে না।