ইরানের পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে ট্রাম্প! সবচেয়ে বড় 'আঘাত' দিল বন্ধু দেশই! আমেরিকা কি এবার একা?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকায়। আমেরিকার এই হামলার জেরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক আলোড়ন। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কড়া ভাষায় মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা করেছে এবং সংলাপ ও শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।
advertisement
1/11

যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য, কাঁপছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। শনিবার রাতের এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন সামরিক বাহিনী সফলভাবে আঘাত হেনেছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
2/11
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প এই অভিযানে "অসাধারণ সামরিক সাফল্য" বলে দাবি করেন এবং জানান, “এই কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
3/11
এটি এই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হল। ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের আবহেই মার্কিন হস্তক্ষেপ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। এর আগেই ইসরায়েল দাবি করেছিল, ইরানের অভিজাত কুদস বাহিনীর দুই কমান্ডারকে তারা হত্যা করেছে এবং ইরানের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
4/11
উল্টোদিকে, ইরানও ইজরায়েলি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দুই ড্রোন পাঠায়, যা দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক ফোকর সামনে আনে। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকায়। আমেরিকার এই হামলার জেরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক আলোড়ন। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
5/11
বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কড়া ভাষায় মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা করেছে এবং সংলাপ ও শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “এই বোমাবর্ষণ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও জটিল করে তুলবে। এটি জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
6/11
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচ লেখেন, “আমরা শান্তি চাই, এই মুহূর্তে শান্তিই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।” ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘সরাসরি সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
7/11
কলম্বিয়া ও মেক্সিকো দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে। মেক্সিকো স্পষ্ট জানিয়েছে, “এই অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পুনরুদ্ধারই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
8/11
আমেরিকার অভ্যন্তরেও ক্ষোভ হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন আমেরিকার ভেতরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার প্রশ্ন তুলেছেন, “এত বড় পদক্ষেপ কংগ্রেসকে না জানিয়ে কীভাবে নেওয়া হল?” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
9/11
তিনি আরও বলেন, “আমরা 'ওয়ার পাওয়ার্স অ্যাক্ট' প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট unilateral সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারেন না।” শুমারের কথায়, “ইরানের সন্ত্রাস, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও আঞ্চলিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে ঠিকই, কিন্তু তা যেন কৌশলগত পরিষ্কার পরিকল্পনায় হয়। এখনকার হামলা যুদ্ধের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
10/11
সিনেটর জ্যাক রিড, আর্মড সার্ভিসেস কমিটির ডেমোক্র্যাট চেয়ারম্যান, বলেন, “পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে এখনই সংযম, কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথে হাঁটতে হবে। কংগ্রেসকে ক্লাসিফায়েড ব্রিফিং দেওয়া হোক এবং জনগণকে পুরো ঘটনা জানানো হোক।” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
11/11
যুক্তরাষ্ট্র কি এবার একা? যখন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরাসরি হামলা চালাল, তখন তাদের ঐতিহাসিক বন্ধু দেশগুলো পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলে, একা দাঁড়িয়ে পড়তে পারে ট্রাম্পের আমেরিকা। আর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে। (Representative Image: AI Generated)