পিরামিড নাকি প্রাচীন বিদ্যুৎকেন্দ্র? র্যাডার স্ক্যানে গিজার নীচে বিশাল ভূগর্ভস্থ কাঠামোর সন্ধান
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Pyramids Or Ancient Power Grids: খাফরে পিরামিড (Khafre Pyramid) গিজার দ্বিতীয় বৃহত্তম। গবেষকদের স্ক্যানে পিরামিডের ভিতের কাছে পাঁচটি একই রকম কাঠামোর সন্ধান মিলেছে। এই কাঠামোগুলিতে আবার একাধিক স্তর রয়েছে। সেগুলো জ্যামিতিক পথের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তবে আরও অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় হল, এই পথগুলোর নিচে আটটি উল্লম্ব গোলাকার কূপ রয়েছে, যা সর্পিল পথ দিয়ে ঘেরা।
advertisement
1/6

পিরামিড নিয়ে রহস্য আর বিতর্কের শেষ নেই। সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার সেই রহস্যকে আরও বাড়িয়ে দিল। ইন্ধন যোগাল বিতর্কেও। পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের করাডো মালাঙ্গা এবং স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিপ্পো বিয়োনদি সিন্থেটিক অ্যাপারচার র‍্যাডার টমোগ্রাফির (Scientists Corrado Malanga from the University of Pisa and Filippo Biondi from the University of Strathclyde used Synthetic Aperture Radar (SAR) tomography) সাহায্যে খাফরে পিরামিড স্ক্যান করেন। ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো। তিনটি পিরামিডের নীচে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ কাঠামোর হদিশ মেলে। (Photo: Reuters)
advertisement
2/6
খাফরে পিরামিড (Khafre Pyramid) গিজার দ্বিতীয় বৃহত্তম। গবেষকদের স্ক্যানে পিরামিডের ভিতের কাছে পাঁচটি একই রকম কাঠামোর সন্ধান মিলেছে। এই কাঠামোগুলিতে আবার একাধিক স্তর রয়েছে। সেগুলো জ্যামিতিক পথের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তবে আরও অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় হল, এই পথগুলোর নিচে আটটি উল্লম্ব গোলাকার কূপ রয়েছে, যা সর্পিল পথ দিয়ে ঘেরা। এই পথগুলো ৬৪৮ মিটার গভীরে নেমে গিয়ে দুটি বিশাল ঘনক-আকৃতির কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ঘনকের দৈর্ঘ্য ৮০ মিটার। (Photo: Siddhartha Sarkar)
advertisement
3/6
রিস রিপোর্ট (Reese Report) প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, পিরামিড নিয়ে প্রচলিত ধ্যানধারণা বদলে যেতে পারে। এগুলোকে নিছক রাজকীয় সমাধি ভাবলে বড় ভুল হবে। গবেষকরা মনে করছেন, ভূগর্ভস্থ কাঠামো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এটা যন্ত্র বা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল হতে পারে। (Photo: Siddhartha Sarkar)
advertisement
4/6
এই আবিষ্কার নিকোলা টেসলা এবং ক্রিস্টোফার ডানের মতো গবেষকদের তত্ত্বের সঙ্গে মিলে যায়। টেসলা বিদ্যুৎ এবং ওয়্যারলেস এনার্জি নিয়ে কাজ করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, পিরামিড পৃথিবীর প্রাকৃতিক এনার্জি সংগ্রহ এবং ব্যবহার করতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার এবং লেখক ক্রিস্টোফার ডান তাঁর ‘দ্য গিজা পাওয়ার প্ল্যান্ট’ বইতে লিখেছিলেন, পিরামিডগুলো শক্তি উৎপাদনের যন্ত্র যা কম্পনকে শক্তিতে রূপান্তর করতে পারত। (Photo: Siddhartha Sarkar)
advertisement
5/6
প্রাচীন মিশর বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরামিডগুলো প্রায় ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রচলিত নির্মাণ কৌশল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু নতুনভাবে আবিষ্কৃত এই ভূগর্ভস্থ কাঠামো এবং পিরামিডের গঠনে পাওয়া কিছু গাণিতিক অসঙ্গতি প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে বিজ্ঞানীদের। (Photo: Siddhartha Sarkar)
advertisement
6/6
খাফরে প্রকল্প দল এই রহস্য আরও খতিয়ে দেখতে চায়। সে জন্য খনন কাজ চালানোর আবেদনও জানিয়েছে তারা। তবে এই ধরনের অনুমতি পাওয়া যাবে কি না সেটা বড় প্রশ্ন। কারণ মিশর বরাবরই এমন প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে আসছে, যা প্রচলিত পিরামিড সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। (Photo: Siddhartha Sarkar)