আশ্চর্য! মহারাজা ভূপিন্দরের চুরি যাওয়া হিরের হার মার্কিন যুবতীর গলায়
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
ভারতীয় রাজার হার এতবছর পর কীভাবে পৌঁছে গেল মার্কিন তরুণীর কাছে? উঠেছে প্রশ্ন
advertisement
1/5

নিউ ইয়র্ক বিখ্যাত ফ্যাশন শো মেট গালা ২০২২-তে সামনে এল হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় ঐতিহ্য৷ পাতিয়ালার মহারাজ ভূপিন্দর সিং-এর গলার হার দেখা গেল মার্কিন ইউটিউবার এমা চ্যাম্বারলিনের গলায়! কীভাবে এই রাজকীয় হার উঠল মার্কিন সুন্দরীর গলায়, তা নিয়েই সন্দেহ সব মহলের৷
advertisement
2/5
পাতিয়ালার রাজার হীরে-জহরত খচিত হার দেখা যায় ২০ বছর বয়সী যুবতীর গলায়৷ ইউটিউবার এমা চেম্বারলিনকে এই হার পরিয়েছে বিখ্যাত ফরাসি গহনা কার্টার৷ এই বিশেষ ধরনের হারকে বলা হয় চোকার৷ ফ্যাশন শোয়ে যুবতীর গলায় এই চোকার দেখেই চিনে ফেলেন জহুরীরা৷ তারা জানিয়েছেন, এই চোকার আসলে পাতিয়ালার মহারাজ ভূপিন্দর সিং-এর যা তৈরি হয়েছিল ১৯২৮ সালে৷ এই চোকার তৈরির পিছনে রয়েছে এক গল্প৷ পঞ্জাবের রাজার কাছে ছিল বিশ্বখ্যাত হিরে প্রস্ততকারক সংস্থা ডি বিয়ার্সের একটি হিরে৷ সেই হিরেটি তিনি চোকারের মাঝে বসানোর নির্দেশ দেন৷ এটি তিনি তাঁর উত্তরাধিকারিকদের জন্য রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন৷
advertisement
3/5
কেমন দেখতে ছিল গলার এই হার? প্ল্যাটিনামের পাঁচ লহরি হার, ২৯৩০টি হিরে এবং বার্মিজ রুবি দিয়ে তৈরি ছিল রাজকীয় হার৷ এই সব দামী পাথর কার্টিয়ার সংস্থার কাছে নিজে নিয়ে গিয়েছিলেন মহারাজ৷ নিজের মনের মতো করে হার তৈরি করার ইচ্ছে ছিল তাঁর৷ কয়েক হাজার ক্যারেট ওজনের এই হারের মাঝে গাঁথা ছিল ২৩৪.৬ ক্যারেটের ডি-বিয়ার্স হিরে৷ একটি গল্ফ বলের সমান, বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এই হিরেটি!
advertisement
4/5
তবে রাজার প্রস্তাব গ্রহণে প্রথমে সম্মতি দিতে পারেনি কার্টিয়ার সংস্থা৷ কারণ মজুরি বাবাদ সেভাবে লাভ করতে পারত না তারা৷ তবে পাশ্চাত্যে এতে তাঁদের সম্মান বেড়ে যায় কয়েকগুণ৷ প্যারিসের একটি প্রদর্শনীতে মহারাজের হার নিয়ে উপস্থিত হয় কার্টিয়ার৷ সকলের চক্ষু ছানা বড়া হয়ে যায়৷
advertisement
5/5
যদিও ১৯৪৮ থেকে রাজ কোষাগার থেকে উধাও হয়ে যায় এই দামী হার৷ ৩৪ বছর পর রহস্যজনক ভাবে তা আবার সকলের সামনে আসে৷ তবে প্রথমে সামনে আসে বিশালাকার হিরেটি৷ ১৯৮২ তে সথবি-র অকশনে দেখা যায় এই হিরের৷ তখনই এর মূল্য রাখা হয় তিন মিলিয়ান মার্কিন ডলার৷ ১৬ বছর পর আলাদা দেখা মেলে প্ল্যাটিনামের চোকার, যদিও তাতে হিরে, রুবি কিছুই ছিল না৷ কার্টিয়ার সংস্থা সেই হারটি কিনে নিয়ে পুনরায় আগের মতো করে সাজিয়ে নেয় সেটি৷ অটুট থাকলে, রাজকীয় এই হারের দাম প্রায় ৩ কোটি মার্কিন ডলারের সমান হত বলেনই অনুমান৷