Mystery Airport in Pakistan: চিন ঢেলেছে কয়েকশো কোটি ডলার, পাকিস্তানের ঝাঁ চকচকে এয়ারপোর্টে নেই একজনও যাত্রী, ওড়ে না কোনও প্লেন, কেসটা ঠিক কী
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Pakistan China: রানওয়ে ফাঁকা, লাউঞ্জ শূন্য, কয়েকশো কোটি টাকার বিমান বন্দর তাহলে চিনের থেকে টাকা নিয়ে কেন করেছে পাকিস্তান...
advertisement
1/9

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের সবচেয়ে নতুন এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমানবন্দর, ২৪০ মিলিয়ন ডলার খরচে তৈরি, নিউ গ্বদারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷ যাতে ঝাঁ চকচকে লাউঞ্জ, থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সব থাকলেও এখানে না আসে কোনও বিমান, না আসে কোনও যাত্রী৷ দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বালুচিস্তান এই অত্যাধুনিক দামি এই বিমান বন্দরের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলে৷
advertisement
2/9
উদ্বোধন হওয়ার পর ৬ মাস কেটে গেছে , গত বছর অক্টোবরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে শাহবাজ় শরিফ সরকার। এর নির্মাণে যাবতীয় খরচ করেছে চিন। সেই অঙ্ক ২৪ কোটি ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৩৫ কোটি টাকারও বেশি৷
advertisement
3/9
বেলুচিস্তানে পাকিস্তানের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল এবং স্থিতিশীলতা প্রায় নেই বললেই চলে৷ বিমানবন্দরটি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর- China-Pakistan Economic Corridor (CPEC) -র আওতায় তৈরি৷ চিনের এত বড় আকারের বিনিয়োগ অবশ্য গ্বদারের ৯০,০০০ বাসিন্দাদের রোজকার লড়াকু জীবনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেনি৷
advertisement
4/9
ইসলামাবাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্বদার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি এত বড় আকৃতির যে এতে ৪ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন৷ বালুচিস্তানের আরব সাগর লাগোয়া ওই শহরে রয়েছে বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের মারাত্মক সমস্যা। বিমানবন্দরে আলো জ্বালাতে তাই ভরসা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরানের পাওয়ার গ্রিড বা সৌর প্যানেল।
advertisement
5/9
বালুচিস্তানের এই অংশের জনসংখ্যা আনুমানিক ৯০ হাজার। আর্থিকভাবে এই অংশ এতটাই দরিদ্র যে বিমানের টিকিট কেটে কোথাও যেতে পারেন না । উল্টে বালুচিস্তানে সক্রিয় রয়েছে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত পাকিস্তানে অস্থিরতার পরিস্থিতি তৈরি করে৷ এর জেরে বিদেশিরাও কেউ পাকিস্তানের এই অংশে ঘুরতে আসে না৷ চিনের অনুদানে এত কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট কেন হয়েছে তার জেরে পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
advertisement
6/9
যদিও চিন CPEC কে তার জিনজিয়াং প্রদেশ এবং আরব সাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক হিসাবে দেখছে৷ কিন্তু দেশের মানুষ এই মুহূর্তে বিমান বন্দরের কোনও প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করছে না৷ মৌলিক প্রয়োজনীয়তার অভাবের কারণে ভুগছে - এমনকি শহরটি পাকিস্তানের জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গেও সংযুক্ত নয়, পরিবর্তে ইরানের বিদ্যুৎ এবং সৌর প্যানেলের উপর নির্ভর করে।
advertisement
7/9
গ্বদারের চিনা বিনিয়োগ রক্ষা করতে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। বন্দর শহরে বসেছে চেকপয়েন্ট, কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেড এবং ওয়াচ টাওয়ার। পাশাপাশি বিপুল সৈনিক মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।
advertisement
8/9
সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ গোয়াদর বিচ্ছিন্ন রয়ে গেছে। এর অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরটি শুধুমাত্র সপ্তাহে তিনবার করাচির জন্য ফ্লাইট অফার করে, ইসলামাবাদ বা কোয়েটার মতো বড় শহরগুলিতে সরাসরি কোনো রুট নেই৷ এদিকে, নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন বিলম্বিত হয়েছে, আশঙ্কা রয়েছে যে আশেপাশের পাহাড়গুলি জঙ্গি হামলার জন্য কৌশলগত পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
9/9
এমনকি বিমানবন্দরের উদ্বোধনটি নিঃশব্দ করা হয়েছিল - কার্যত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং চীনের লি কিয়াং দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কোনও মিডিয়া বা জনসাধারণের অনুমতি ছিল না। বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির আব্দুল গফুর হোথের মতো স্থানীয় নেতারা বিমানবন্দরে বেলুচ বাসিন্দাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেছেন। "গোয়াদার থেকে একজনকেও নিয়োগ করা হয়নি - এমনকি একজন প্রহরী হিসাবেও নয়," হোথ দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন