মহিলা ওরাংওটাংকে শিকলে বেঁধে পতিতালয়ে গণধর্ষণ, সুস্থ হতে লাগল ১৫ বছর!
Last Updated:
advertisement
1/5

• নরকীয়, ঘৃণ্য, বর্বর বললেও যেন কম বলা হয় ৷ মহিলা ওরাংওটাংকে শিকলে বেঁধে নিয়মিত ধর্ষণ করা হত ৷ প্রত্যেকদিন, একাধিকবার বিকারগ্রস্থ একাধিক মানুষের বিকৃত কাম-লালসার শিকার হতে হয়েছিল তাকে ৷ অবশেষে উদ্ধার করা হল ওরাংওটাং পনিকে ৷
advertisement
2/5
• দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের জঙ্গলে তার জন্ম। কিন্তু শিশু অবস্থাতেই মায়ের কোল থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কিছু দুর্বৃত্ত। পতিতালয়ে নিয়ে গিয়ে যৌনদাসীতে পরিণত করে। এরপর থেকে পনি হয়ে উঠেছিল ওই পতিতালয়ের ‘লক্ষ্মী’ ৷ পনির আকর্ষণে রোজই ভিড় জমতে শুরু করে ৷
advertisement
3/5
• পনির যখন ২-৩ বছর বয়স, তখন থেকে তাকে নামানো হয় দেহব্যবসায় ৷ প্রতিদিন শরীরের সমস্ত লোম কামিয়ে দেওয়া হত তার ৷ গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হতো দামি সব অলঙ্কার। দুর্গন্ধ এড়াতে দেয়া হত পারফিউম। পাশের তেল কারখানার শ্রমিকদের টাকার বিনিময়ে তার কুঁড়েঘরে ঢুকিয়ে দিত দালালরা। শিকলে বেঁধে ইচ্ছেমতো নিজেদের লালসা মিটিয়ে যেতো শ্রমিকরা। সেই অবস্থাতেই দিন কাটছিল তার। পরে পশু সেবায় নিয়োজিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পনিকে উদ্ধার করে।
advertisement
4/5
• ২০০৩ সালে উদ্ধার করা হয়েছিল পনিকে ৷ সে সময় অবশ্য পনির শারীরিক অবস্থা ছিল শোচনীয় ৷ প্রতিনিয়ত শরীরের রোম তুলে দেওয়ায় মশা-মাছি এবং পোকামাকড়ের কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল তার শরীর। তাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল ৩৫ জনের সশস্ত্র পুলিশ সদস্যের একটি দলকে। খবর পেয়ে উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ সদস্যরা। প্রথমে ওই পতিতালয়ে পুলিশকে ঢুকতেই দেননি স্থানীয়রা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পতিতালয়ের নারী ও পুরুষরা। একপর্যায়ে পিছু হটলে পনিকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি ৷
advertisement
5/5
• প্রথমে মানুষ দেখলেই ভয়ে গুটিয়ে যেত পনি ৷ ১৫ বছর ধরে অনেক চেষ্টা, চিকিৎসা ও সেবা পাওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছে পনি নামের ওই ওরাংওটাং। প্রতীকী ছবি ৷