Nobel Prize 2025: রবীন্দ্রনাথের পর ফের সাহিত্যে নোবেল পাবেন এক বাঙালি? জল্পনা চরমে, কে সেই ভারতীয় সাহিত্যিক জানেন? নামটা শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Nobel Prize 2025: ভোটিংও করছে অনেক ওয়েবসাইট। এই সমীক্ষাগুলিতে দেখা যায়, কোনও বছর কোনও প্রতিষ্ঠানের জরিপের ফলাফল মিলে যায়। কোনও বছর আবার মেলে না।
advertisement
1/11

নোবেল পুরস্কার নিয়ে ‘বাজি’ ধরা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। মূলত সম্ভাব্য বিজয়ীদের নিয়ে বাজি ধরা, যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত হয়। কে কী কারণে এ পুরস্কার পেতে পারেন, এসব নিয়ে চলে হিসাব নিকাশ। এ বছরও সাহিত্যে কে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন, এ নিয়ে চলছে অঙ্ক কষাকষি।
advertisement
2/11
ভোটিংও করছে অনেক ওয়েবসাইট। এই সমীক্ষাগুলিতে দেখা যায়, কোনও বছর কোনও প্রতিষ্ঠানের জরিপের ফলাফল মিলে যায়। কোনও বছর আবার মেলে না।
advertisement
3/11
এ বছর এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে THE BERLINER-এ ম্যাথিল্ড মন্টপেটিটের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখায় বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তিনি জানান, চার বছর ধরে তাঁর বুক ক্লাব প্রতিবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার কে জিতবেন, তা অনুমান করার জন্য একটি পোল পরিচালনা করছে।
advertisement
4/11
গত তিনবারই তাঁর অনুমান সত্য হয়েছে। ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট বলেন, ‘আমরা সাধারণত সবাই পাঁচজন লেখকের নাম পাই এবং বিজয়ী হন একজনই। আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিই। তবে সাহিত্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে কে সন্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামানো কখনোই উচিত নয়।’
advertisement
5/11
সাত বছর ধরে, ২০১৮ সালে, যখন পোলিশ ঔপন্যাসিক ওলগা টোকারচুক জিতেছিলেন, তখন থেকে দেখা যাচ্ছে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন এ বছর একজন পুরুষ লেখক তো পরের বছর নারী লেখক। ২০১৯ সালে পিটার হান্ডকে তো ২০২০ সালে লুইস গ্লুক। পরের বছর ২০২১ সালে আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালে অ্যানি আর্নো। মানে একবার পুরুষ সাহিত্যিক তো অন্যবার নারী সাহিত্যিক। কোরিয়ার হান কাং গত বছর জিতেছিলেন, তাই এ বছরের বিজয়ী হবেন একজন পুরুষ।
advertisement
6/11
এদিক বিবেচনা করলে যেন নোবেল কমিটি সাহিত্যের ব্যাপারে বসেই আছে নারী-পুরুষের লিঙ্গবৈষম্য কমানোর জন্য। এবারের পুরুষ লেখক তবে কে? এ বিষয়ে ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, বিজয়ী লেখক হতে পারেন ভারতীয় লেখক অমিতাভ ঘোষ।
advertisement
7/11
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল বিজয়ী হওয়ার পর আর কোনও ভারতীয় এই পুরস্কার পাননি। তিনি মজা করে বলছেন, অরুন্ধতী রায় ও সালমান রুশদি হতে যাচ্ছেন না, দুঃখিত। কারণ, একজন অ্যাকটিভিস্ট, অন্যজন বেশি খ্যাত।
advertisement
8/11
সেদিক থেকে অমিতাভ ঘোষ কল্পকাহিনি ও অকল্পকাহিনি উভয়ই লেখেন। আরও অনেক বড় পুরস্কার জিতেছেন। তবে খুব বেশি নয়। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি উপনিবেশবাদ, আফিম যুদ্ধ ও সমসাময়িক প্রভাব সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন, সেটি নোবেল কমিটি পছন্দ করে।
advertisement
9/11
ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট এরপরই ভারতীয়দের হতাশ করেছেন এই বলে, তিনি এত কিছুর পরও অমিতাভকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তিনি সে জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বাদ দেওয়ার কারণ কী? নোবেল কমিটি তাঁদেরই পুরস্কার দেয়, যাঁদের খুব কম পাঠক চেনেন। তারা ‘চমক’ দিতে পছন্দ করে, এটা মনে রাখতে হবে।
advertisement
10/11
অন্য়দিকে, ল্যাডব্রক্সের বাজির তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন চিনের কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক ক্যান জুয়ে এবং হাঙ্গেরির কথাসাহিত্যিক ও চিত্রনাট্যকার লাজলো ক্রাজনাহরকাই। জাপানের সমসাময়িক কালের প্রভাবশালী নারী লেখকদের অন্যতম হিরোমি ইতো। তিনিও রয়েছেন এ তালিকায়।
advertisement
11/11
আবার সিরিয়ার এক সাহিত্যিক রয়েছেন তালিকায়। অনেক দিন ধরেই আলোচনায় আছেন সিরিয়ার কবি আলী সাইদ অ্যাডোনিস। এ সময়ের আরব সাহিত্যের প্রধান কবিদের অন্যতম তিনি। আরব সাহিত্য বহু বছর থেকে সমাদৃত হচ্ছে না নোবেল কমিটির বিবেচনায়, সে জন্য এবার তার নামও রয়েছে আলোচনায়। আফ্রিকা বাদ যাবে কেন? তাই রয়েছে সোমালিয়ার ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন ফারাহের নাম। ইউক্রেনীয় লেখক ও বুদ্ধিজীবী আঁদ্রে কুরকভের নাম রয়েছে ল্যাডব্রক্সের তালিকায়। ফলে কে পেতে চলেছেন সাহিত্যে নোবেল, তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে রয়েছে।