Nepal Protest: মাথা নত করতেই হল! খারাপের দিকে যাচ্ছিল নেপালের পরিস্থিতি...১৯ জনের মৃত্যু, অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ওলি জানালেন...

1. আরও খারাপ দিকে এগোচ্ছিল নেপালের পরিস্থিতি৷ কাঠমাণ্ডুতে দিনভর বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর পরে অবশেষে মাথানত করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ওলি৷ তুলে নেওয়া হল সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা৷ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমরা দেখছি সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টা৷’’

নেপালের তথ্য ও সংযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা গুরুঙ জানান, সোমবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে৷ কারণ, এই অজুহাত দেখিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷

নেপাল সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা জানি আমাদের তরুণ প্রজন্ম এবং বাচ্চারা শান্তিপূর্ণ ভাবে তাঁদের দাবি জানিয়েছেন, কিন্তু, বিভিন্ন অশুভ কেন্দ্রের ইন্ধনে দেশে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ Zen-G generation যে দাবি করছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ছিল না প্রশাসন৷ আমরা তাঁদেরই দাবির কথা শুনেছি৷’’

দিনভর বিক্ষোভ এবং জনতা পুলিশ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে কাঠমাণ্ডুর সংসদ ভবন এলাকা, প্রেসিডেন্টের বাসভবন এবং সিংহ দুর্বার অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নিকটবর্তী এলাকায় জারি হয়েছিল কার্ফু৷

এসব সত্ত্বেও অবশ্য তরুণ সমাজের দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নেপাল প্রশাসন সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলছে না৷

সোমবার সকাল থেকে নেপালের বিক্ষোভ পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করার পর পরই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ওলি৷ সূত্রের খবর, সেখানে নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী প্রদীপ পওডেল৷ কিন্তু, নেপাল সরকারের সিদ্ধান্ত বদল হবে না বলে তাঁকে নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওলি৷

এমনকি, সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে জোর দিয়েছেন আরও অনেক মন্ত্রীও৷ ওলির দলের তরফেও কিন্তু, কারও আর্জিই গৃহীত হয়নি৷ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘটনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক৷

নেপাল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর ডেউবা দেখা করতে যান ওলির সঙ্গে৷ দলের তরফেও চাপ আসে ওলর উপরে৷ গোটা হিংসার বিষয়টিতে দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷