Nepal America Relation: ভয়ঙ্কর নেপাল! এই ভয়াবহ অবস্থার পিছনে আসলে কে জানেন? সেই একই প্যাটার্ন! শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Nepal America Relation: সোমবার ও মঙ্গলবারে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে নেপালে। মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সূত্রের খবর, পদত্যাগের পরেই সেনার কপ্টারে দেশও ছেড়েছেন তিনি।
advertisement
1/8

অশান্ত নেপাল। ফের ফিরতে চলেছে রাজতন্ত্র। সাম্প্রতিক বছর গুলিতে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির রাজনৈতিক পট পরিবর্তন বিশেষ ভাবে চোখে পড়ার মতো। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট, পাকিস্তানে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতি থেকে শুরু করে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসন ক্ষমতার পতন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রায় একই চিত্রনাট্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে জেন জ়ি-র মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভের পরে নেপালও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
advertisement
2/8
সোমবার ও মঙ্গলবারে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে নেপালে। মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সূত্রের খবর, পদত্যাগের পরেই সেনার কপ্টারে দেশও ছেড়েছেন তিনি।
advertisement
3/8
গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র ‘বিপ্লব’ হয়। ক্ষমতা হারান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দাবি করেছেন, সেন্ট মার্টিন না পেয়ে আমেরিকাই নাকি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তা ছাড়া, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছিলেন হাসিনা। দেদার চিনা অস্ত্রও কিনেছিলেন তিনি। তাঁর আমলে বাংলাদেশে চিনা সংস্থাগুলি ব্যাপক বিনিয়োগ করে।
advertisement
4/8
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবন দখল করে নিয়েছে জনতা। দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে চিনপন্থী ওই নেতাকে। নিজের শাসনকালে লক্ষ লক্ষ ডলার মূল্যের বিদেশি রাসায়নিক সার আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। রপ্তানিকারীদের তালিকায় ছিল চিন, ভিয়েতনাম, নরওয়ে, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো।
advertisement
5/8
এবার নেপাল। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের কাছে রেজিস্ট্রেশন ফি চেয়ে গদি খোয়ালেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদ থেকেই কেপি শর্মা ওলি নেপালকে চিনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঐতিহ্যবাহী মিত্র শক্তি ভারত থেকে সরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করেছেন। সাধারণত নেপালি রাষ্ট্রনেতারা ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে আসেন। গত জুলাই মাসে চতুর্থ মেয়াদে শপথ নেওয়ার পরে ওলি গিয়েছিলেন চিনে।
advertisement
6/8
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে চিন যে প্রভাব বাড়াচ্ছে, তা অজানা নয় আমেরিকার। বরাবরই এই নিয়ে সতর্ক থেকেছে ওয়াশিংটন। চলতি বছরের শুরুতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ‘মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ নেপাল কম্প্যাক্ট’ ফিরিয়ে এনেছিল। এটি আদতে একটি জ্বালানি ও সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্যাকেজ। এর মাধ্যমে আমেরিকার কাঠমান্ডুকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। কিন্তু অতি সম্প্রতি চিনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন ওলি। স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আমেরিকার বিরোধী শিবিরেই আছে নেপাল।
advertisement
7/8
গত কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনার আঁচ বাড়ছিল নেপালে। ২০০৮ সালে গণতন্ত্র কায়েম হওয়ার পর থেকে, ১৭ বছরে ১৪টি সরকার দেখেছে নেপাল। বেশিরভাগই ছিল জোট সরকার। ক্ষমতা ঘোরাফেরা করেছে মূলত তিনজনের মধ্যে — চিনঘনিষ্ঠ ওলি, মাওবাদী সেন্টারের পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’ এবং পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। তিন জনের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির বড় অভিযোগ রয়েছে।
advertisement
8/8
নেপালে এই অস্থিরতার সময় যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হচ্ছে আমেরিকার ভূমিকায়। ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক এখন তলানিতে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের শেষেই ভারত সফরে আসার কথা চলছিল ওলির। ঠিক সেই সময়েই এই রাজনৈতিক পালাবদল ঘটল। গত বছর আমেরিকার সঙ্গে হাসিনা বিরোধ কোনও গোপন বিষয় ছিল না। ২০২৪-এর জানুয়ারিতে বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আমেরিকা। এরপরই হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এবার নেপাল। সেখানেও কি আমেরিকারই হাত? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ঘটনাপ্রবাহ।