Myanmar Earthquake: সর্বনাশ! মায়ানমারের মাটির নীচে এ কী রয়েছে! সেই কারণেই ভয়ঙ্কর এই ভূমিকম্প! কয়েক লাখ মানুষ মারা যেতে পারে এরপর
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Myanmar Earthquake: ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মায়ানমারের প্রাচীন রাজধানী মান্দালয়ে। সেখানে অসংখ্য বাড়ি ধসে পড়েছে এবং অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে।
advertisement
1/7

গত শুক্রবার দুপুরে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল মায়ানমারে। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চিন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। শুধু মায়ানমারেই এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে।
advertisement
2/7
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মায়ানমারের প্রাচীন রাজধানী মান্দালয়ে। সেখানে অসংখ্য বাড়ি ধসে পড়েছে এবং অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। মান্দালয়ের অবস্থান ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সাগাইংয়ের কাছাকাছি ছিল বলেই সেখানে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি।
advertisement
3/7
জাতিসংঘের হিসেবে, ১৯৩০ সালে মায়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বাগো ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয়েছিল। ৭.৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর থেকে দেশটিতে বেশ কয়েকবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
advertisement
4/7
কিন্তু কেন মায়ানমারেই এত বেশি ভূমিকম্প ঘটছে? ভূমিকম্পের একাধিক কার্যকারণ রয়েছে। মাটির নীচে চলমান পাতগুলির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে কেঁপে ওঠে মাটি। আবার অগ্ন্যুৎপাতের ফলেও কম্পনের সৃষ্টি হয়। মায়ানমারে ভূমিকম্পের নেপথ্যে ভূগর্ভস্থ পাতগুলিকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
5/7
ভারতীয় ও ইউরেশীয় পাতের সংযোগস্থলে অবস্থিত মায়ানমার পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত। মায়ানমারের মাটির নীচে ভারতীয় ও ইউরেশী পাতের যে সংযোগস্থল, তাকে বলা হয় সাইগং ফল্ট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাইগং ফল্ট আকারে অতি দীর্ঘ, উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার। মান্দালয়, ইয়াংগংয়ের নীচ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে সাইগং ফল্টটি। অর্থাৎ মায়ানমারের ভূখণ্ডের নীচে, একেবারে মাঝ বরাবর অবস্থান। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ওই সাইগং ফল্টে 'Strike Slip' ঘটার কারণেই শুক্রবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার।
advertisement
6/7
দুটি টেকটোনিক প্লেট, ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মায়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে। এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে সাইগং ফল্ট বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
advertisement
7/7
ইউএসজিএসের মতে, ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে মিয়ানমারে ভূমিকম্প হয়েছিল, যাকে ‘স্ট্রাইক-স্লিপ ফল্টিং’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। শুক্রবার মায়ানমারে অনুভূত ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পকে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে ধরা হচ্ছে। মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।