Kim Jong Un: আমেরিকার 'যম', কিন্তু কিম জং উন দেশের মানুষের সঙ্গে কী করে জানেন? বিয়ে, সানগ্লাস, গান শোনা-মৃত্যু কখন দেবেন কিম, ভয়ে কাঁপছে দেশবাসী
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Kim Jong Un: উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাদা রঙের বিয়ের পোশাক। সাধারণত, সেখানে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে সাদা গাউন পরতে দেখা যেত।
advertisement
1/11

কিম জং উন-উত্তর কোরিয়ার একনায়কের নানান কীর্তি সামনে আসে। তাঁর দেশের আইনকানুন যেন আরও সর্বনেশে হয়ে উঠছে। বাইরের জগতের জন্য দরজা একেবারেই বন্ধ করে দিতে চাইছেন কিম। তাঁর সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তে সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
advertisement
2/11
বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় পর পর বেশ কিছু জিনিস নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি কোনও জিনিসই সেখানকার মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না। এমনকি, বিদেশি গান শোনাও সেখানে অপরাধ।
advertisement
3/11
আসলে কিম মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাবই দেশ থেকে মুছে ফেলতে চাইছেন। গত কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনে সেই চেষ্টা চোখে পড়ছে ভীষণ ভাবে। নাগরিকদের সাধারণ চলাফেরাতেও হস্তক্ষেপ করছে দেশের সরকার।
advertisement
4/11
ওই প্রতিবেদন আরও দাবি করা হয়, উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাদা রঙের বিয়ের পোশাক। সাধারণত, সেখানে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে সাদা গাউন পরতে দেখা যেত। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে ফেললেন উত্তর কোরিয়ার শাসক।
advertisement
5/11
কিম সরকারের দাবি, বিয়েতে কনের সাদা পোশাকের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্কৃতির প্রভাব। বিদেশি প্রভাব ঠেকাতে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে নিজস্ব সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
advertisement
6/11
শুধু বিয়ের পোশাকেই নয়, বিয়ের রীতিতেও আসছে বদল, তাও আবার সরকারি নির্দেশে। আগে নিয়ম ছিল, বিয়ের দিন কনেকে কাঁধে তুলে নেন বর। এই রীতিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সব ধরনের আড়ম্বর নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন কিম। বিয়ে নামক অনুষ্ঠানটিতে আনন্দের কোনও কারণ নেই বলে মনে করেন তিনি। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি সামাজিক রীতি।
advertisement
7/11
২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় ২২ বছরের এক যুবককে বিদেশি গান শোনার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেন কিম। সকলের সামনে প্রকাশ্যে সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
advertisement
8/11
২০২০ সালে কিমের দেশে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও বিনোদনমূলক উপাদান দেখা অথবা প্রচার করা উত্তর কোরিয়ায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। ওই আইনের ভিত্তিতেই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর একই অপরাধে উত্তর কোরিয়ার আরও দুই কিশোরকে কঠোর শ্রমের শাস্তিও দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
9/11
বিদেশি গালিগালাজও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিমের দেশে। কেউ যদি প্রকাশ্যে এমন কোনও গালি দেন, যার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যোগ রয়েছে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।
advertisement
10/11
জানা গিয়েছে, কিমের দেশে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা স্বীকার করা হয় না। প্রশাসনের তরফে যখন তখন যে কারও বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়। উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোনেও সরকারি নজরদারি চালানো হয় বলে অভিযোগ। সরকার মানুষের ব্যক্তিগত মেসেজ পড়ে, ফোনে আড়ি পাতে।
advertisement
11/11
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় সানগ্লাস পরা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সানগ্লাসকে দেশের সংস্কৃতির বিরোধী বলে দেগে দিয়েছেন কিম। যদিও তাঁকে সানগ্লাস পরতে দেখা গিয়েছে একাধিক বার।