Israel Mossad Chief: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুরধার মাথা, বলে-বলে বোকা বানালেন ইরানকে! মোসাদের 'আত্মা' তিনি, এই মানুষটি কে জানেন? ইজরায়েলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কি ইনিই!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Israel Mossad Chief: ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে তার সমর্থিত অন্যান্য শক্তিগুলোর সঙ্গে সরাসরি এবং পরোক্ষ সংঘাতে বার্নিয়া সুনাম অর্জন করেন।
advertisement
1/12

গত সপ্তাহে ইরান আক্রমণের জন্য ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নাটকীয় সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ছিলেন দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব, পরমাণুবিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
advertisement
2/12
কোন দুজন ব্যক্তি সরাসরি ইরানে আঘাত হানতে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে 'সাহস' দিয়েছিলেন জানেন? সেই দুই ব্যক্তি হলেন ইজরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমার বার।
advertisement
3/12
ইজরায়েলের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘মোসাদের স্থলভাগের কার্যক্রম এবং বিমানবাহিনীর আকাশপথে হামলার নিখুঁত সমন্বয়ে এক মিলিমিটারও এদিক-সেদিক হয়নি। তারা একটি অবিশ্বাস্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে এবং আমরা এখনও এর সবকিছু দেখিনি। সে পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে তা ড্রোন ও বিপারের অপারেশনকেও ম্লান করে দেবে।’
advertisement
4/12
২০০৭ সাল থেকে গাবি আশকেনাজি, বেনি গানৎজ, গাদি আইজেনকোটসহ যাঁরাই আইডিএফের প্রধান ছিলেন, সবাই ইরান আক্রমণের বিরোধিতা করেছিলেন। ২০১৫ সালে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তির পর ইরানে হামলার প্ল্যানও বাতিল হয়ে যায়।
advertisement
5/12
কিন্তু এবার দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বার্নিয়া ও তাঁর সহকর্মীরা গুপ্তচর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের পরিকল্পনা সাজান। সেটির ভিত্তিতে একের পর এক অপারেশন চালায় মোসাদ।
advertisement
6/12
ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে তার সমর্থিত অন্যান্য শক্তিগুলোর সঙ্গে সরাসরি এবং পরোক্ষ সংঘাতে বার্নিয়া সুনাম অর্জন করেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মোসাদ ‘বিপার অপারেশন’ চালায়। যে অপারেশনে হিজবুল্লাহর সদস্যদের হাতে হাজার হাজার পেজার এবং শত শত ওয়াকিটকি বিস্ফোরিত হয়েছিল। এই অপারেশন বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।
advertisement
7/12
২০২১ সালে মোসাদের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্নিয়া গোয়েন্দা সংস্থাটিতে ‘বায়োমেট্রিক বিপ্লব’ ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেন। এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে রূপান্তর করেছিলেন তিনি।
advertisement
8/12
ইজরায়েলের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘বার্নিয়া মোসাদকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তিনি মোসাদের কাজের ধারা পাল্টে দিয়েছেন এবং স্মার্ট নজরদারি ক্যামেরা ও চেহারা শনাক্তকরণের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। এটা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। মোসাদ এখনো একটি রক্ষণশীল সংস্থা এবং সেখানে পরিবর্তন আনতে বার্নিয়াকে অনেক অভ্যন্তরীণ লড়াই করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি জিতেছেন এবং আমরা ইরানে তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
advertisement
9/12
৬০ বছর বয়সী বার্নিয়া ব্যতিক্রমী সব অপারেশন চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। এরপর তিনি ইরানে হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নেন। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন আক্রমণ ও দক্ষিণ ইজরায়েলে হত্যাকাণ্ড এবং এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি ইরানে হামলার বিষয়ে ভাবতে থাকেন।
advertisement
10/12
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের চুক্তি থেকে যখন বেরিয়ে আসেন, তখন ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। আর এটাই ইরানে ইজরায়েলের হামলার একটা সুযোগ তৈরি হয়।
advertisement
11/12
২০২৪ সালের জুলাই মাসে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডও বার্নিয়া ও মোসাদের কৃতিত্ব। এরপর হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা এবং এখন ইরানিদের নিজস্ব মাটিতে একের পর এক সিনিয়র ইরানি সামরিক ব্যক্তিদের গুপ্তহত্যা গুলি করা সম্ভব হয়েছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ও মোসাদের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নির্ভুল বিমান হামলার মাধ্যমে।
advertisement
12/12
সরকার যদি মেয়াদ না বাড়ায়, তাহলে বার্নিয়ার দায়িত্ব ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। যদি তিনি রাজনীতিতে নিজেকে যুক্ত করতে চান, তাহলে অবসরের পর নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপর একজন জনপ্রিয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ আছে তাঁর। কারণ, তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে, কিন্তু জাতীয় রাজনীতির শীর্ষে পৌঁছানোর আকাঙ্ক্ষা নেই।