Israel Iron Dome: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Israel Iron Dome: আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম।
advertisement
1/9

তেল আভিভ: ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে।
advertisement
2/9
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।
advertisement
3/9
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
advertisement
4/9
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
advertisement
5/9
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
advertisement
6/9
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
advertisement
7/9
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
advertisement
8/9
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
advertisement
9/9
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।