Iran News: ইরানের হাতে ৬টি পরমাণু বোমা? আমেরিকার ঘুম ওড়াতে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে! চরম হুঁশিয়ারি, কাকে টার্গেট করছে ইরান জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Iran News: যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন?
advertisement
1/10

বিশ্ব রাজনীতিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইজরায়েল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে—ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে।
advertisement
2/10
কিন্তু জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা (আইএইএ) বা আমেরিকার নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি যা এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অপরদিকে, ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
advertisement
3/10
কিন্তু ইরান কি এবার সত্যিই পরমাণু বোমা তৈরি করতে চলেছে? তেহরান ৯০% ইউরেনিয়াম ব্লিটজের হুমকি দিয়েছে যদি পশ্চিম বিশ্ব স্যাংশন ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেয়। ইরান হুমকি দিয়েছে যে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি ৯০% অস্ত্র-গ্রেডে বাড়াবে এবং নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি থেকে বেরিয়ে যাবে।
advertisement
4/10
প্রশ্ন হল, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে।
advertisement
5/10
২০০৩ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি ঐতিহাসিক ফতোয়া জারি করেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয় : ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মজুদ কিংবা ব্যবহার ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।’ এই ধর্মীয় সিদ্ধান্তটি শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থানও, যেখানে নিরীহ মানুষের হত্যাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
advertisement
6/10
ইরান মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরুদ্ধে চরম অন্যায়। হিরোশিমা-নাগাসাকির দৃষ্টান্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়।
advertisement
7/10
অনেকের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেই একটি দেশ নিরাপদ থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলেও ২০০১ সালে আমেরিকার চাপের মুখে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। এমনকি রাশিয়া, যাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগতভাবে চাপে পড়েছে।
advertisement
8/10
ইজরায়েলও, অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’-এ বড় ধরনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই বাস্তবতা ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে—পারমাণবিক অস্ত্র নয়, কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই তারা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন এবং কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে।
advertisement
9/10
যদিও ইরান ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে—এমন দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরানের কাছে বর্তমানে ৬০ শতাংশের বেশি বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা আরও পরিশোধিত হলে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা সম্ভব।
advertisement
10/10
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশেষ করে আমেরিকা বারবারই ইরানকে দমনের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তার 'ম্যাক্সিমাম প্রেসার' কৌশলের অংশ হিসেবে ইরানের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে দেশটির জ্বালানি তেল রফতানির পথ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি থামায়নি, বরং আরও জোরদার করেছে।