ভারতের ধাক্কায় এ কী হাল পাকিস্তানের? সর্ষের তেল ৫০০ টাকা! আটা ৫৬০ টাকা! না খেয়ে মানুষ...হাহাকার!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর করুণ অবস্থা পাকিস্তানের! ১০ মে’র পর থেকেই পাকিস্তানে হুহু করে দাম বেড়েছে প্রতিটি জিনিসের। জানেন কী অবস্থা এখন সেই দেশের?
advertisement
1/9

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর করুণ অবস্থা পাকিস্তানের! এরই মধ্যে, ভারতের কাছে ভয়ঙ্করভাবে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির ব্যস্ত আছেন ‘মিথ্যে বিজয় উৎসব’ পালনে—দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে।
advertisement
2/9
৬-৭ মে’র রাতে, সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত একযোগে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের একাধিক সেনাঘাঁটি সহ বহু শহরে আক্রমণ চালায়।
advertisement
3/9
কিন্তু ভারত আকাশেই তাদের সমস্ত অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়। এরপর ভারত ফের পাকিস্তানের ১১টি সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে পাকিস্তানের ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান। এমনিতেই ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান, তার উপর এই ধ্বংস—ফলে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মুদ্রাস্ফীতির বিভীষিকা।
advertisement
4/9
১০ মে’র পর থেকেই পাকিস্তানে হুহু করে দাম বেড়েছে প্রতিটি জিনিসের। আটার কেজি ১২০ টাকা, দুধের লিটার ১৫০ টাকা, সরষের তেলের লিটার ৫০০ টাকা, আর ঘি-এর কেজি ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বহু জায়গায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
advertisement
5/9
পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যখন অন্নসংস্থানে হিমশিম খাচ্ছেন, ঠিক তখনই সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের কাছে পরাজিত হয়েও ‘ফিল্ড মার্শাল’ খেতাব পেয়ে আনন্দে উৎসবে মেতেছেন। অথচ পাকিস্তানের বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। আট, চিনি, ডাল, চাল কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে দোকানে।
advertisement
6/9
পাকিস্তানের অনেক দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন—আটা, ডাল, চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ঝেলমে একাধিক দোকানে গত কয়েকদিন ধরে এই জিনিসগুলি নেই বলেই জানাচ্ছে স্থানীয়রা। ঘি, চিনি, রান্নার তেলের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাবে মানুষ দিশেহারা। অথচ এই সময়েও আসিম মুনির মেতে রয়েছেন একের পর এক জনসভায়।
advertisement
7/9
দামবৃদ্ধির জেরে পাকিস্তানে দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবরও সামনে এসেছে। কোথাও কোথাও হিংসার ঘটনাও ঘটছে। পাকিস্তানে ৫ কেজি আটার প্যাকেটের দাম পৌঁছেছে ৫৬০ টাকার বেশি।
advertisement
8/9
ভাল মানের চালের দাম প্রতি কেজি ২৭৫ টাকা, ছোলার ডালের কেজি ৩৮০ টাকা, ছোলা বেসনের কেজি ১৯৫ টাকা। শুধু আটার দাম নয়—ডাল, চিনি, ঘি-র পাশাপাশি আপেলের দামও এখন কেজি ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। একটি ডিমের দাম ৩০ টাকা। এক প্যাকেট ৬টি ডিম কিনতে খরচ ১৪৫ টাকা। উপরন্তু, বিদ্যুৎ নেই, জলের হাহাকার। ফল-মূল, সবজির দামও আকাশছোঁয়া।
advertisement
9/9
এমন অবস্থা হয়েছে যে, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষের কোমর ভেঙে গিয়েছে। মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে পাকিস্তানে। নেই খাওয়ার আটাও, চায়ের জন্য চিনি পর্যন্ত নেই। আর সেই সময়ে আসিম মুনির ও শাহবাজ শরিফ ব্যস্ত ভারতীয় ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ প্রাপ্ত অপমান লুকিয়ে মিথ্যে জয়গাথা প্রচারে। তাঁদের যেন কিছুই যায় আসে না, দেশের মানুষের দুর্দশায়।