India China Indonesia: চিনের উঠোনের সবচেয়ে ‘পাওয়ারফুল প্লেয়ার’- ব্রাহ্মোস মিসাইলের প্রথম খরিদার, সাউথ চায়না সিতে ভারতের স্পেশাল পার্টনার
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
India Philippines China Relation: চিন কতদূর খেলবে, ভারতের সঙ্গে রয়েছে ফিলিপিন্স..,দু দেশের সম্পর্কে নতুন মোচড়
advertisement
1/9

India-Philippines Relation: ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা সম্পর্কও ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শক্তি কতটা তা অনুমান করা যায় যে, ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমে ফিলিপিন্সের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। ম্যানিলা অন্যান্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা পণ্য কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে চার দিনের সফরে ভারতে এসেছেন ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি ফার্ডিনান্ড মার্কোস। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিলিপিন্স ভারতের একটি প্রধান কৌশলগত অংশীদার। দক্ষিণ চিন সাগরে এখতিয়ার নিয়ে চিনের সঙ্গে ফিলিপিন্সের ক্রমাগত বিরোধ রয়েছে।
advertisement
2/9
চিন- দক্ষিণ চিন সাগরকে তার শক্তিশালী জায়গা বলে মনে করে৷ পুরো অঞ্চলটি দাবি করে ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ভারত ম্যানিলাকে সমর্থন করে আসছে। ভারত এবং ফিলিপিন্সের নৌবাহিনীও দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের শক্তির প্রতিফলন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, দুই দেশ কেবল তাদের প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সহযোগিতাই প্রসারিত করেনি, বরং বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বকে নতুন মাত্রা দেওয়ার জন্যও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।
advertisement
3/9
ভারত এবং ফিলিপাইন্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষভাবে খবরে রয়েছে। ২০২২ সালে, ভারত ফিলিপাইন্সারে সঙ্গে ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রথম বড় রফতানি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মূল্য প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার, যার আওতায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি ফিলিপিন্সের তিনটি ব্যাটারি সহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করছে। এটি ভারতের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নীতি এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা রফতানি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
advertisement
4/9
ম্যানিলায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুসারে, মার্কোসের আগে ফিলিপিন্সের চারজন রাষ্ট্রপতি ভারত সফর করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ ই. মার্কোস, ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রপতি ফিদেল রামোস, ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অ্যারোইও এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতের্তে।
advertisement
5/9
এখন মার্কোস (জুনিয়র) নতুন দিল্লিতে পৌঁছেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে, ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আর. ১৯৯১ সালে ভেঙ্কটরমন, ২০০৬ সালে রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম এবং ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ফিলিপিন্সের সফর করেন। সম্প্রতি, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ফিলিপিন্স সফর করেন।
advertisement
6/9
ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও আরও দৃঢ় হচ্ছে। ফিলিপিন্স ভারতের 'অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি'র একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ, অটোমোবাইল এবং কৃষি খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
7/9
ডিজিটাল সেক্টর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও একটি চুক্তি হয়েছে। এর পাশাপাশি, ভারত ও ফিলিপাইনের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত সম্পর্কও আরও গভীর হচ্ছে। উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী ফিলিপাইনে যায়, বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য। এছাড়াও, যোগ দিবসের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাস পারস্পরিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করছে।
advertisement
8/9
কৌশলগত অংশীদারিত্বভারত এবং ফিলিপাইন তাদের সম্পর্ককে ২০২৩ সালে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রূপ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের অভিন্ন স্বার্থের কথা বিবেচনা করে উভয় দেশ বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা আরও জোরদার করছে।
advertisement
9/9
ভারত-ফিলিপিন্স সম্পর্ক এখন ঐতিহ্যবাহী সহযোগিতার বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কৌশলগত, প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গভীরতা অর্জন করছে। পরিবর্তিত বৈশ্বিক সমীকরণের মধ্যে, এই অংশীদারিত্ব কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বরং ভারতের পূর্ব নীতি এবং ফিলিপাইনের বিদেশ নীতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।