India Bangladesh Relations: 'ডাইরেক্ট অ্যাকশন'! ভারতের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর 'ষড়যন্ত্র' বাংলাদেশের? ঢাকায় যা ঘটল, পিছনে কি পাকিস্তান?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
India Bangladesh Relations: শনিবার মালদহে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দিয়েছিল বিএসএফ।
advertisement
1/7

শনিবার গভীর রাতে সরগরম বাংলাদেশের রাজধানীতে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভারত বিরোধী নানা স্লোগান উঠল সেখান থেকে। 'দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, বিএসএফের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'সীমান্তে হামলা হলে জবাব দেবে বাংলাদেশ', এই ধরনেরই স্লোগান উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
advertisement
2/7
শনিবার মালদহে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দিয়েছিল বিএসএফ। বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি জখম হন বলেও দাবি করা হয়েছে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে। এই আবহে বিএসএফের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে পড়ুয়ারা মিছিল বের করেন।
advertisement
3/7
শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে 'আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারের অধীনে কয়েকজন পড়ুয়া। এরপর ক্যাম্পাস ঘুরে এসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই একটি সংক্ষিপ্ত সভা করেন তাঁরা। তারও আগে ঢাকার বাংলা মোটর এলাকায় মশাল মিছিল করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
advertisement
4/7
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি এলাকায় বিএসএফের বেড়া নির্মাণের চেষ্টায় আপত্তি তুলেছিল বিজিবি। এদিকে সীমান্তে একাধিক জায়গায় অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে গিয়ে আবার বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালাতে হয়েছে। এই সব নিয়ে বাংলাদেশে একটি বিএসএফ বিরোধী মনোভাব তৈরি করার চেষ্টা চলছে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই।
advertisement
5/7
হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য থেকে শুরু করে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন ভারতের বিরুদ্ধে। সেই তালিকাতেই এবার নবতম সংযোজন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শনিবার দুপুরে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি মন্তব্য করেন, 'সীমান্তে বাংলাদেশের একটি লাশ পড়লে ভারতের দুটি পড়বে।'
advertisement
6/7
নুরের অভিযোগ, এর আগে নাকি শেখ হাসিনা সরকার বিএসএফকে অনেক 'সুযোগ' দিয়েছিল। এই আবহে ইউনুস সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষদের যাতে সামরিক ট্রেনিং দেওয়া হয়। তিনি বলেন, 'আমাদের স্পষ্ট বার্তা, আমরা বেঁচে থাকতে, এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ এই দেশের ১ ইঞ্চি জমিও ভারতকে দখল করতে দেবে না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলে দিতে চাই আপনারা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যে অশুভ খেলা শুরু করেছেন, সেটা বন্ধ করুন। অন্যথায় আপনাদের জন্য সেটা ভাল হবে না।'
advertisement
7/7
যদিও মালদহের ঘটনা নিয়ে বিএসএফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, 'ভারতীয় কৃষকদের পুরোপুরি পিছু হটানো হয়েছে, তবে বিকেল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০-৭৫ মিটারের মধ্যে কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এ অঞ্চলের বিএসএফ ও বিজিবি ইউনিটের কমান্ড্যান্টরা সমন্বয় জোরদারে কাজ করছেন। সীমান্তের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে।'