Hafiz Saeed News: ভারতের ১ নম্বর শত্রু হাফিজ সঈদও খতম? পড়ছে শেষ নিঃশ্বাস! আবু কাতালের সঙ্গেই ছিলেন, পাকিস্তানে জোর চর্চা শুরু, কী ঘটেছে জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Hafiz Saeed News: হাফিজ সঈদ পাকিস্তানি সেনার কোর কমান্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরছিল। সেই সময় তার ডানহাত আবু কাতালও তার সঙ্গে ছিল।
advertisement
1/8

পাকিস্তান থেকে বড় খবর আসছে। লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সঈদের গুলি লাগার খবর পাওয়া গেছে। জানা যাচ্ছে, সে পাকিস্তানের ঝেলাম থেকে যখন তার আস্তানায় ফিরছিল, তখনই তার উপর গুলির বৃষ্টি হয়। এই হামলায় তার ডানহাত আবু কাতালের মৃত্যু হয়েছে। আর হাফিজের অবস্থা সংকটজনক বলে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
advertisement
2/8
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হাফিজ সঈদ পাকিস্তানি সেনার কোর কমান্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরছিল। সেই সময় তার ডানহাত আবু কাতালও তার সঙ্গে ছিল। তখনই তার গাড়িতে গুলির বৃষ্টি হয়। এই হামলায় কাতাল মারা যায়, আর সঈদ গুরুতরভাবে আহত হয়। তাকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
3/8
হাফিজ সঈদ লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জামাত-উদ-দাওয়া (JuD)-এর প্রতিষ্ঠাতা। ভারতে অনেক বড় সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড সঈদ। ২০০৮ সালের মুমবাই হামলার প্রধান অভিযুক্তও হাফিজ সঈদ। ওই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
advertisement
4/8
হাফিজ সঈদের জন্ম ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরগোধা জেলায়। সে পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (UET), লাহোর থেকে পড়াশোনা করেছিল। তারপর পাকিস্তান থেকে সে সৌদি আরব চলে যায়, সেখানেই কট্টর ইসলামিক মতাদর্শে আসক্ত হয় হাফিজ। ১৯৮০ সাল নাগাদ সে আফগানিস্তানে জিহাদিদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নেয়।
advertisement
5/8
ভারতে কোন কোন ঘটনায় সে জড়িত ছিল: ২০০১: সংসদ হামলায় যুক্ত, ২০০৬: মুম্বই লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ (২০৯ জনের মৃত্যু), ২০০৮: মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা (১৬৬ জনের মৃত্যু), ২০১৬: উরি হামলা (১৯ ভারতীয় সেনা শহিদ), ২০১৯: পুলওয়ামা হামলা (৪০ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ)
advertisement
6/8
১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় হাফিজ সঈদ লস্কর-ই-তইবা প্রতিষ্ঠা করে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সমর্থন ছিল লস্করের সঙ্গে। এই সংগঠন ভারত বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত এবং কাশ্মীরে অনেকগুলি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়। ২০০২ সালে ভারত এবং আমেরিকা লস্করকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে, যার পর হাফিজ সঈদ জামাত-উদ-দাওয়া (JuD) নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। যদিও, এই সংগঠনও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বলেই প্রকাশ্যে আসে।
advertisement
7/8
জাতিসংঘ হাফিজ সঈদকে বিশ্বের সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে এবং আমেরিকা তার উপর ১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৩ কোটি টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান সরকারও তার উপর কিছু লোকদেখানো কার্যকলাপ করেছে, কিন্তু সবসময় তাকে বাঁচানোরই চেষ্টা করেছে।
advertisement
8/8
২০১৯ সালে, পাকিস্তানের FATF-এর গ্রে লিস্টে নাম আসার পর, পাকিস্তান হাফিজ সঈদকে টেরর ফান্ডিং-এর মামলায় গ্রেফতার করে এবং ১০ বছরের সাজা দেয়। যদিও, এটি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক চাপের ফল ছিল। কারণ পাকিস্তানই তাকে সুরক্ষা প্রদান করে এসেছে।