advertisement
1/6

‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ ৷ উরি হামলার পর এই কথাটি এখন সকলের কাছেই অত্যন্ত পরিচিত ৷ পুলওয়ামাতে ৪২ জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনার পর সার্জিকাল স্ট্রাইকের দাবিতে আবারও গর্জে উঠেছে গোটা দেশ ৷ সার্জিকাল স্ট্রাইক কথাটির মানে হল, শত্রুপক্ষের ঘরে ঢুকে সকলকে হামলা চালানো ৷ এই ধরণের হামলার ক্ষেত্রে সাধারণ কোনও বড়সড় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়না ৷ তবে, মাঝেমধ্যেই এই সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথা শোনা যায় ৷ তবে, গোটা বিশ্বের এই পাঁচটি সার্জিকাল স্ট্রাইক বদলে দিয়েছে ইতিহাস ৷
advertisement
2/6
সালটা ছিল ২০১৫ ৷ ৪ জুন মণিপুরের চান্দেলে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়েছিল NSCN জঙ্গি গোষ্ঠী ৷ শহিদ হয়েছিলেন ১৮ জন সেনা ৷ সেই হামলার বদলা নিতেই ঠিক ৬ দিন পর অর্থাৎ ১০ জুন সার্জিকাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনারা ৷ মায়ানমার সীমান্তে ঢুকে ৪০ মিনিট একটানা হামলা চালায় ভারতীয় সেনা ৷ ধ্বংস করে NSCN-র জঙ্গি ঘাঁটি ৷
advertisement
3/6
৯/১১-এ আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা চালায় আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠী ৷ সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান ছিল ওসামা বিন লাদেন ৷ লাদেনের নির্দেশেই চলে হামলা ৷ হামলার পরই আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি চুলচেরা তল্লাশি শুরু করে লাদানের খোঁজে ৷ অবশেষে, খোঁজ মেলে ৷ পাকিস্তানের এবটাবাদে লুকিয়ে ছিল লাদেন ৷ সেখানেই অভিযান চালায় আমেরিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কমান্ডার সিল ৷ গভীর রাতে হেলিকপ্টারে চেপে এবটাবাদে ঢোকে তারা ৷ গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তারা লাদেনকে ৷
advertisement
4/6
১৯৭৬ সালে ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ৷ ১০০ জন ইহুদি যাত্রীসহ একটি এয়ার ফ্রান্সের বিমান হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হয় উগান্ডার এন্তেব্বে বিমানবন্দরে ৷ তাদেরকে উদ্ধার করতে ময়দানে নামে ইজরায়েলের বিশেষ কমান্ডো দল ৷ এই বিশেষ অপারেশনটির নাম অপারেশন থান্ডারবোল্ট ৷ ২০ মিনিট অপারেশন চালায় ইজরায়েলের বিশেষ কমান্ডো দল ৷ এই হামলায় সাত অপহরণকারী, ২০ জন উগান্ডা সৈনিককে মেরেছিল ইজরায়েলের কমান্ডোরা ৷ পাশাপাশি ১জন ইজরায়েলি সেনা নিহত হয়েছিলেন ৷
advertisement
5/6
Bay of Pigs Invasion ৷ ১৯৬০ সালের তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডি ডি আইজেনহাওসার গোপনে এক পরিকল্পনা করেন কিউবা দখলের উদ্দেশে ৷ পরে সেই পরিকল্পনাটি সিআইকে অনুমোদন করেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ৷ এরপর ১৯৬২ সালের ৭ এপ্রিল সিআইএ প্রায় ১৪০০ নির্বাসিত কিউবানদের নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যান ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম কিউবার দ্য বে অব পিগস রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি ৷ প্রায় ১০০ জন কিউবা নিহত হয়েছিলেন এবং ১২০০ জনকে বন্দি করা হয় ৷
advertisement
6/6
Operation Eagle Claw ৷ তবে, এটি ইরানি মরুভূমি বিপর্যয় নামেও পরিচিত ৷ তেহরানের আমেরিকান দূতাবাস থেকে ১৯৭৯ সালে ৫৩ জন মার্কিন বাসিন্দাকে অপহরণ করে ইরানিরা ৷ মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য গোপনে পরিকল্পনা করেন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ অবশেষে, ১৯৮০ সালের ২৪ এপ্রিল গভীর রাতে আর্মি রেঞ্জার্স ও ডেল্টা ফোর্সের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ৷ সেই সময়ই ওই দুই দলের সদস্যরা মরুঝড়ের মধ্যে পড়ে ৷ বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে ব্যর্থ হন তারা ৷ (Flag of Iran)