ভারতকে তেল কিনতে হবে পাকিস্তানের থেকে! কেন ট্রাম্পের ‘টার্গেট’ এখন ভারত...আর পার্টনার পাকিস্তান
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
পাকিস্তানকে খুশি করার জন্যই কি ভারতের উপরে শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প! ট্রাম্প ১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে ভারতের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হল ভারতকে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করতে বাধ্য করা, যার পিছনেও লুকিয়ে রয়েছে আমেরিকার স্বার্থে।
advertisement
1/9

বেশ কয়েকদিন ধরেই আভাস দিচ্ছিলেন৷ বলছিলেন, কথা হচ্ছে, আলোচনা চলছে৷ অতঃপর এল ট্রাম্পের বহু প্রতীক্ষিত ‘শুল্কবাণ’৷ ভারতের সমস্ত পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করলেন তিনি৷ তবে এখানেই শেষ নয়৷ এদিন ট্রাম্প কার্যত ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের একাধিক কাজে তিনি কার্যত ‘নাখুশ’৷
advertisement
2/9
শুধু ভারতে্র উপরে শুল্ক চাপানোই নয়৷ পাকিস্তানের সঙ্গেও ‘দুর্দান্ত’ এক চুক্তি করেছে আমেরিকা৷ পাকিস্তানের কাছে পয়সা নেই৷ অথচ রয়েছে বিপুল তেলের ভাণ্ডার৷ টাকা দিয়ে সাহায্য করে সেই তৈল ভাণ্ডার উত্তোলনের কাজ করবে এবার আমেরিকা৷ তাই নিয়েই দু’দেশের মধ্যে হয়েছে চুক্তি৷
advertisement
3/9
এদিন তা নিয়েই কটাক্ষ করে ভারতের উদ্দেশ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘একদিন এমন হয়ত হবে, পাকিস্তানের থেকেই তেল কিনতে হবে ভারতকে৷’’
advertisement
4/9
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে এদিন পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদ একটি নতুন তেল সংস্থা তৈরির প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি পাকিস্তানের সাথে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তেল রিজার্ভ উত্তোলন চুক্তির অধীনে দুই দেশ যৌথভাবে পাকিস্তানের বিশাল তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার কাজে লাগাবে।
advertisement
5/9
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে এদিন পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদ একটি নতুন তেল সংস্থা তৈরির প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি পাকিস্তানের সাথে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তেল রিজার্ভ উত্তোলন চুক্তির অধীনে দুই দেশ যৌথভাবে পাকিস্তানের বিশাল তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার কাজে লাগাবে।
advertisement
6/9
পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র তেল চুক্তি কী?বুধবার ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা করেছেন যে, আমেরিকা এবং পাকিস্তান যৌথভাবে পাকিস্তানের 'বিশাল তেলের মজুদ' বের করে আনবে। ২০২৪ সালে আবিষ্কৃত অফশোর তেল ও গ্যাসের মজুদ, যা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মজুদ বলে মনে করা হয়, এখন ট্রাম্পের নজরে। তিনি স্পষ্ট মনে করেন - 'পাকিস্তানের কাছে ৬-৮ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে - তেল, গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং তিনি আমেরিকার জন্য এটি দখল করতে চলেছেন।' এই চুক্তিতে, একটি আমেরিকান তেল কোম্পানি এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেবে। শীঘ্রই কোম্পানির নাম প্রকাশ করা হবে।
advertisement
7/9
পাকিস্তান কী পাবে? সীমিত প্রযুক্তিগত ও আর্থিক অক্ষমতার কারণে পাকিস্তান তেল উত্তোলন করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা তাকে সাহায্য করবে। পাকিস্তানের তেলের ৮৫% এবং গ্যাসের ২৯% চাহিদার জন্য আমদানির উপর নির্ভরশীল, কিন্তু আমেরিকার সাহায্যে পাকিস্তান তার তৈল খনি থেকে আয় করতে পারবে এবার। আমেরিকা পাকিস্তানের বিশাল সম্পদে (যার মূল্য ৬-৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঢোকার অনুমতি পাবে এভাবে, যা বিশ্ব জ্বালানি বাজারে তাঁর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়াও, এটি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ দখলের পাকিস্তানের তৈল খনি দখলও আমেরিকার কৌশলের অংশ, যেখানে তাঁরা বিশ্বব্যাপী খনিজ ও জ্বালানি সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ চায়।
advertisement
8/9
পাকিস্তানকে খুশি করার জন্যই কি ভারতের উপরে শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প! ট্রাম্প ১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে ভারতের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হল ভারতকে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করতে বাধ্য করা, যার পিছনেও লুকিয়ে রয়েছে আমেরিকার স্বার্থে। এর আগেও ব্রিকস সম্মেলন ঘিরে ভারত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পকে৷ তবে এর পাশাপাশি, ট্রাম্পের এই ভাবে ভারতের উপরে শুল্ক আরোপ করার পিছনে পাকিস্তানকে ‘তুষ্ট’ করার প্রবণতাও লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আসলে এটা ট্রাম্পের একটা কূটনৈতিক চাল, এর শিকড় ছড়িয়ে অনেক গভীরে৷
advertisement
9/9
ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য কী?ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি স্পষ্টতই 'আমেরিকা ফার্স্ট'-এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত রয়েছে৷ এই ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চাইছে ট্রাম্প৷ পাকিস্তানের সঙ্গে তৈল চুক্তি তৈরি করে আমেরিকাকে লাভবান করার চেষ্টা করছে ট্রাম্প। পাশাপাশি, আমেরিকার ‘শত্রু’ ইরান এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়েও ভারতের উপরে ক্ষুব্ধ তিনি৷