Bangladesh News: রাত থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ! আজ বড় দিন, তার আগেই ইউনুস থেকে সেনা অভ্যুত্থান খোলাখুলি সব বললেন শেখ হাসিনা
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
এদিন মহম্মদ ইউনুসকে চরমপন্থীদের ‘মুখপাত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসিনা৷ তিনি অভিযোগ করেন যে, ইউনুস তাঁর মন্ত্রিসভায় উগ্রপন্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যার ফলে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
advertisement
1/7

নয়াদিল্লি: ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সে দেশের ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিনক্ষণ ঘোষণা আজ৷ যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বন্ধের পরিস্থিতি ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ আজ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন।
advertisement
2/7
আজকের দিনটি ঘিরে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগ। চলছে সেনাবাহিনীর টহল৷ ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গোপালগঞ্জে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত পাঁচটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
advertisement
3/7
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা৷ তাঁর বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র চলছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘একদা শান্তিপূর্ণ ভাবে চলা বিক্ষোভ অগাস্টে শেষের দিকে হঠাৎ করেই অশান্ত, হিংস্র আকার ধারণ করে৷ সেটা তখন আর সরকারি চাকরিতে কোটার আন্দোলনে সীমাবদ্ধ ছিল না৷ তবে, অবশ্য বিষয়টি যে একটা পরিপূর্ণ চক্রান্ত, তা পরিষ্কার হয় অনেক পরে৷ যখন ইউনুস হিংসার ঘটনার সাথে যুক্ত সবার সুরক্ষা কবচ নিশ্চিত করে এবং কারণ অনুসন্ধানের তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়৷ এটা পরিষ্কার হয়ে যায় আমার সরকার ফেলতেই একটা বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল৷’’
advertisement
4/7
অগাস্টের শুরুতে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ উগ্রপন্থী আন্দোলনকারীদের একটি সহিংস জনতার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। এটি সিভিল সার্ভিস চাকরির কোটা নিয়ে প্রাথমিক ছাত্র বিক্ষোভের থেকে অনেক দূরে ছিল। অবশ্যই, ষড়যন্ত্রের সম্পূর্ণ মাত্রা অনেক পরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন ইউনূস গত গ্রীষ্মের সহিংসতার সমস্ত অপরাধীদের দায়মুক্তি দেন এবং কারণ তদন্তের জন্য আমরা যে তদন্ত গঠন করেছিলাম তা ভেঙে দেন, তখন এটা স্পষ্ট যে আমার সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
advertisement
5/7
এই প্রশ্নের উত্তরে হাসিনা জানিয়েছেন, এমন কোনও ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না এমনকী, কোনও রকমের বৈদেশিক ‘চাপ’ সম্পর্কেও তাঁর ধারণা নেই৷ আবার তিনি তা উড়িয়েও দিচ্ছেন না৷ হাসিনা বলেন, ‘‘সেই সময় বাংলাদেশ সেনার সামনে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল একটা নির্বাচিত সরকারকে ধরে রাখা, এবং রক্তপাত আর যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা৷ আমরা শুধুমাত্র চেয়েছিলাম বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা যাতে সম্পূর্ণ না ভেঙে পড়ে৷ আমার পরিবার, আমার স্টাফেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম৷ এবার এইসবের পিছনে কোনও বহিারগত শক্তি ছিল কি না, তা আমার জানানেই৷’’
advertisement
6/7
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘কোনও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমি তখনই ওয়াকিবহাল ছিলাম না৷ আমি আমার দেশের মানুষের নিরাপত্তা সম্পর্কে চিন্তিত ছিলাম৷ ৫ অগাস্টের ঘটনার পর থেকে আমি ভাবতে শুরু করি হয়ত, এই অভ্যুত্থান পূর্ব পরিকল্পিত ছিল৷ যে দ্রুততার সঙ্গে ইউনুস ক্ষমতায় আসেন, যে ভাবে হিংসা উদ্রেককারীদের সুরক্ষা কবচ দেন, সমস্ত বিচারবিভাগীয় তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দেন, তাতে বোঝা গিয়েছিল এসবই পূর্বপরিকল্পিত৷ মনে হচ্ছিল, ইউনুস ক্ষমতা দখলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, অথবা যাঁরা তাঁকে ওখানে বসিয়েছে, তাঁরা পরিকল্পনা করছিল৷
advertisement
7/7
এদিন মহম্মদ ইউনুসকে গণতন্ত্রের নয় চরমপন্থীদের ‘মুখপাত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসিনা৷ তিনি অভিযোগ করেন যে, ইউনুস তাঁর মন্ত্রিসভায় উগ্রপন্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যার ফলে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।