World Refugee Day : বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২১! মায়ানমারে ফেরা-না ফেরার দোলাচলে আজও বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
এই মুহূর্তে পৃথিবীর নানা দেশে শরণার্থীর (Refugee) সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এরমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের এই আশ্রয়ে রয়েছেন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী (Rohingya Refugee)।
advertisement
1/7

২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘের ঘোষণায় ২০০১ সাল হতে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিনটি। এই দেশের মাটিতেই দীর্ঘদিন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে দিন-রাত কাটাচ্ছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
advertisement
2/7
মায়ানমারে (Myanmar) সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এই সকল শরণার্থীদের দেশে ফেরা আজও বিশ বাও জলে। দীর্ঘ চার বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দুয়ার না খোলায় বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের রাস্তা এখনও বন্ধই।
advertisement
3/7
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই শরণার্থী ক্যাম্প বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে অবস্থিত। ২০১৭ সালের শেষের দিকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের দ্বিপক্ষীয় একটি চুক্তি হলেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে ছিল নানা জটিলতা।
advertisement
4/7
নাগরিকত্ব মর্যাদাসহ কয়েকটি মৌলিক দাবি পূরণ না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো থমকে যায় সেই সময়। এরপরে গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর আরও কঠিন হয়ে পড়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন।
advertisement
5/7
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর'র মতে, যুদ্ধ-জাতিগত সংঘাতসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর নানা দেশে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এরমধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের এই আশ্রয়ে রয়েছেন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
advertisement
6/7
নিজ দেশ মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন রাজ্য) থেকে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। বাংলাদেশ সরকার মানবিকতার খাতিরে তাঁদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু আশ্রয় দিলেও প্রচণ্ড আর্থিক চাপে নুয়ে পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
advertisement
7/7
এদিকে নানা কারণে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। করোনার কারণে রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাড়ছে বিভিন্ন অপকর্ম ও অপরাধ প্রবণতা। অন্যদিকে, প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় অনিশ্চিত এক জীবনের আলো-আঁধারিতে দিন কাটছে রোহিঙ্গাদের। আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের অস্তিত্বে উদাসীন মানুষগুলো কী পারবে তাঁদের ঠিকানায় ফিরে যেতে? উত্তর দেবে সময়।