ঋতুস্রাবের সময় অপবিত্র মেয়েরা! এই সময় গাছে রাত কাটাতে গিয়ে প্রাণ যাচ্ছে তাঁদের
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
advertisement
1/5

এই গ্রামের মহিলাদের পিরিয়ডস হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের প্রান্তে জঙ্গলের ধারে জীর্ণ ‘গাউকোর’ বা ঋতুকালীন ঘরে। এটাই গোন্ড ও মারিয়া উপজাতির রীতি। না মানলে সমাজচ্যুত হতে হবে মহিলার পরিবারকে। ঋতুর প্রথম চার দিন নারীকে ‘অপবিত্র’ মনে করেন এই উপজাতির মানুষ। photo source collected
advertisement
2/5
সেই সময়ে কোনও মহিলার গ্রামে স্থান নেই। গ্রামের পুকুরও তিনি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে কথাও বলবেন না কেউ। ঠাঁই হবে গ্রাম থেকে দূরে গাউকোরে। সে সব ঘর প্রায় ভগ্নস্তূপ। জানলাহীন, দরজার কপাট নেই। গাছের পাতা, ছেঁড়া কাপড় দিয়ে কোনও রকমে আড়াল করা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে হয়। photo source collected
advertisement
3/5
২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলি জেলার এটাপল্লিটোলা গ্রামে এই রকমই এক গাউকোরে পড়ে ছিল এক মহিলার মৃত দেহ। জ্বরে রক্তচাপ বেড়ে মস্তিষ্কের ধমনী ফেটে গিয়েছিল তাঁর। যখন অসুস্থ বোধ করছিলেন, ধারেকাছে কেউ ছিল না। এরও বছর খানেক আগে ঘোর বর্ষার মধ্যে মহারাষ্ট্রের ভমরাগড় জেলায় গাউকোরে ছিল বছর তেরোর এক কিশোরী। প্রবল রক্তপাত হচ্ছিল তার। নিস্তেজ হতে-হতে ক্রমে থেমে যায় হৃদ্স্পন্দন। photo source collected
advertisement
4/5
২০১৫ সালের নভেম্বরে পাদাটোলার এক ভাঙাচোরা গাউকোর থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ভাল্লুক! সাপের কামড়ে, নড়বড়ে দেওয়াল ধসে পড়ে, ফাটা চালের উপর গাছ ভেঙে পড়েও গাউকোরে মারা গিয়েছেন মহিলারা।২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের উপজাতি-অধ্যুষিত গড়ছিরৌলি জেলার ২২৩টি গাউকোরের অবস্থা ঘুরে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গাউকোরগুলির নরকতুল্য অবস্থা তখনই সামনে আসে। ২০১১ থেকে ২০১৩-র মধ্যে ওই জেলায় তারা বিভিন্ন গাউকোরে ১৫ জন বিভিন্ন বয়সের নারীর মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেছিল। photo source collected
advertisement
5/5
ঋতুকালীন সময়ে মহিলারা ‘অপবিত্র’— এই ধারণা থেকেই কেরলের শবরীমালা মন্দিরে নির্দিষ্ট বয়সের মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও নারীর কাছে সেই মন্দিরের পথ সুগম হয়নি। ভারতে ঋতুকালীন সময়ে অযৌক্তিক নানা নিয়মকে কেন্দ্র করে তৈরি তথ্যচিত্র ‘পিরিয়ড. এন্ড অব সেনটেন্স’ সম্প্রতি অস্কার পেয়েছে। তার পরেও প্রান্তবাসী জনজাতির মেয়েদের মাসের এই কয়েকটা দিনে আরও প্রান্তবাসী করে দেওয়ার ঐতিহ্য অটুট। অভিযোগ, এ নিয়ে প্রশাসনও চুপ। photo source collected