‘‘প্যায়ার হো তো অ্যায়সা’’- মেরি এবং ওনলারের প্রেম সেলুলয়েডকেও মানাবে হার
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
advertisement
1/9

মেরিকম ভারতের এই মেয়ে নিজের কৃতিত্বে দেশের নাম বিশ্বমঞ্চে একাধিকবার উজ্জ্বল করেছেন ৷ প্রচলিত প্রবাদ প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলা থাকেন ৷ তেমনিই প্রতিটা সফল মহিলার পিছনেও একজন পুরুষ থাকেন ৷ মেরির ক্ষেত্রে সেটা তাঁর স্বামী ওনলার কম ৷ Photo- File Photo
advertisement
2/9
মেরির বায়োপিকে তাঁর জীবনের নানা দিক তাঁর সংগ্রাম তাঁর প্রেম সব নিয়েই কথা হয়েছে ৷ তবে তাতে পুরো আর কোথায় কথা হল ৷ মিতভাষী ও অন্তর্মুখী মেরি জানিয়েছেন কীভাবে কত পথ পেরিয়ে জীবনসঙ্গীকে বেছে নিয়েছেন তিনি ৷ Photo- File Photo
advertisement
3/9
মেরি জানিয়েছেন শুরুটা ২০০০ সালে ৷ যখন নিজের ঘর বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে দিল্লিতে ছিলেন তিনি ৷ না ভালো করে হিন্দি জানতেন না ভালো করে ইংরাজি ৷ ফলে কারোর সঙ্গে মন খুলে কথাও বলতে পারতেন না ৷ একদিন তাঁর কাছে খবর গেল দু‘জন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন ৷ সেই দু‘জনের একজন ওনলার অন্যজন তাঁর এক বন্ধু ৷ এই দেখা হওয়ার পরই যেন মেরির অনেক দিনের অভিশাপ কাটানো শেষ হয় ৷ নিজের এলাকার মানুষ যিনি কম ভাষায় কথা বলতে পারেন ৷ মেরি মন খুলে তাঁদের সঙ্গে গল্প করেন ৷ Photo- File Photo
advertisement
4/9
এরপর থেকে রবিবার রবিবার দেখা শুরু করেন মেরি ও ওনলার ৷ ধীরে ধীরে মেরির জীবনে রবিবারটা গুরুত্বপূর্ণ হতে শুরু করে ৷ এরমধ্যে ওনলার মেরির জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন যখন মেরি একদিন ট্রেনে সফরের সময় তাঁর পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন ৷ তারপরেই ছিল মেরির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ৷ যখন মেরি নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন ৷ এরপর ওনলার মেরিকে নিয়ে মণিপুরে যান ৷ সেখানে তিনি তাঁকে নতুন করে পাসপোর্ট করিয়ে দেন ৷ তারপর তাঁকে দিল্লি ফেরত আনেন ৷ সেইসময়ে মেরির মতে ওনলারকে তাঁর মনে হত বড় দাদার মতো যিনি যেকোনও বিপদে তাঁকে উদ্ধার করতে পারেন ৷ ২০০১ সালে মেরি প্রথম আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বাইরে গিয়েছিলেন তখন তাঁকে দারুণ সাহায্য করেছিলেন ওনলার ৷ রূপো জিতে ফেরার পর বিদেশ সফরের গল্প যেন শেষ হত না দু‘জনের ৷ Photo- File Photo
advertisement
5/9
এই সময়ে ওনলার দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্কের সঙ্গে সদ্য সদ্য ব্রেক আপ করেছিলেন ৷ পাশাপাশি তাঁর মা মারা গিয়েছিলেন এই সময়েই ৷ ভেঙে পড়া ওনলার চাইছিলেন মণিপুরে ফিরে যেতে ৷ কিন্তু মেরিকম ও ওনলারের বাবা তাঁকে বোঝান নিজের আইনি পড়া দিল্লিতে যেন শেষ করেন ওনলার ৷ এভাবেই ধীরে ধীরে দু‘জনের সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে ৷ ২০০৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে মেরির বাড়িতে তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ আসতে শুরু করে ৷ মেরি ওনলারকে একথা জানালে তিনি রেগে যান ৷ মেরি বুঝতে পারেন ওনলার তাঁর সঙ্গে সম্পর্কটির থেকে শুধু বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু প্রত্যাশা করেন ৷ মনে করেন ৷ এরপর একদিন ওনলার সরাসরি মেরিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ মেরি মনে মনে এটা ভাবলেও ওনলার যে এত তা়ড়াতা়ড়ি বিয়ের প্রস্তাব দেবেন তা যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মেরি ৷ Photo- File Photo
advertisement
6/9
মেরি ভাবেন তাঁর কেরিয়ার এখন সবে শুরু হচ্ছে মাত্র ২০ বছর বয়স এর মধ্যেই বিয়ে করে শেষ হয়ে যাবে না তো কেরিয়ার ৷ এছাড়াও এরপর শুরু হয় পারিবারিক গন্ডগোল৷ মেরির বাড়ির পছন্দ ছিল না ওনলারকে আবার ওনলারের বাড়ির সায় ছিল না মেরিকে বাড়ির বউ করার ৷ এরমধ্যেই মেরির বাবা ওনলারকে দারুণ অপমান করেন ৷ বিক্ষুব্ধ মেরি নিজের সমস্ত জিনিস গুছিয়ে ইম্ফল চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন ৷ তিনি ভাবেন এবার তিনি পরিবারকে ছেড়ে ওনলারের সঙ্গে বিয়ে করবেন ৷ মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নরম হয় মেরির বাবার মন ৷ ওনলারও চাইছিলেন বিয়েটা হোক দুই পরিবারের সহমতেই ৷ চায়ের এক আসরে দুই পরিবারই এই বিয়ের প্রস্তাবটা মেনে নেয় ৷Photo- File Photo
advertisement
7/9
মেরিদের স্থানীয় রীতি মেনেই মেয়ের পরিবারের সামনে ফুটন্ত চা দেন ওনলার পরিবার ৷ বিয়েতে সম্মতি মানে ওই চা খাওয়া ৷ তিন তিন বার এই পদ্ধতি করা হয় ৷ হবু পাত্রীকে তিনবার ওই চা খেতে হয় ৷ মেরির মনে আজও সেই দিনগুলি উজ্জ্বল ৷ Photo- File Photo
advertisement
8/9
সেই দিনের সেই বিবাহের বন্ধন ও বন্ধুত্বের বন্ধন আজ এত বছর পেরিয়ে আরও মজবুত হয়েছে৷ ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেরি ৷ নিজে তো কঠিন পরিশ্রম করেনই ৷ তার সঙ্গে ওনলারের সর্বক্ষণের সমর্থণ মেরির পাঞ্চকে আরও জোরালো করে তোলে ৷ Photo- File Photo
advertisement
9/9
৩৫ -র মেরি তিন সন্তানের মা ৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশ্বসেরা ৷ প্রেমের শক্ত বন্ধনই তাঁর এই সাফল্যের সিক্রেট রেসিপি ৷ তাই নিজের আত্মজীবনি আনব্রেকেবেলে মেরি অকপটে তুলে ধরেছেন নিজের প্রেম পর্ব ৷ Photo- File Photo