আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই কয়েকটি বিষয় ভুললে চলবে না
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে আদতে কী কী করা প্রয়োজন, জেনে নিন
advertisement
1/6

যখনই পার্সোনাল ফিনান্সের প্রসঙ্গ ওঠে, সাধারণ ভাবে আমাদের সবার মাথায় ঘুরপাক খায় দু'টি বিষয়- মাসে ঠিক কতটা টাকার অঙ্ক বিনিয়োগ করতে হবে এবং সেই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে সব চেয়ে বেশি কত ফেরত পাওয়া যেতে পারে! এই দুই বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি নিঃসন্দেহেই! কিন্তু আর্থিক উপদেষ্টারা সাফ বলছেন যে শুধু এই বিষয়গুলোতেই চোখ রাখলে চলবে না। আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে আদতে কী কী করা প্রয়োজন, জানাচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
2/6
নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা - ধরুন, কেউ একটা বাড়ি করার কথা ভাবছেন। এক্ষেত্রে বাড়িটা কোন এলাকায় হবে, কেমন হবে, সেই সব কিছু নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। না হলে মাসে মাসে টাকা জমিয়েও হাল পাওয়া যাবে না। কিন্তু সব কিছু নির্দিষ্ট করা থাকলে কত টাকা লাগতে পারে, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং তখন লক্ষ্যপূরণ সহজ হবে।
advertisement
3/6
বাজেট ঠিক করে নেওয়া - বাজেট যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন বাকি প্ল্যান করাটাও অনেক বেশি সুসাধ্য হয়ে উঠবে। যেমন এই বাড়ির কথাই ধরা যাক, ধরে নেওয়া যাক তা করতে জনৈক ব্যক্তির ৭০ লক্ষ টাকা লাগবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ, মানে ১৪ লক্ষ ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। এই হিসেবটা পরিষ্কার থাকলেই মাসে কতটা করে টাকা জমাতে হবে, সেটা চোখের সামনে এসে যাবে এবং সেই মতো এগোনো সম্ভব হবে।
advertisement
4/6
লক্ষ্যমাত্রা পূরণের যোগ্য হতে হবে - এমন কোনও লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলে চলবে না, যা পূর্ণ করা বেশ সমস্যার। ধরে নেওয়া যাক, কারও প্রতি মাসে উপার্জন ১ লক্ষ টাকা এবং সঞ্চয় ৩০ হাজার টাকা। এবার সেই ব্যক্তি যদি ভাবেন যে পরের মাস থেকে উপার্জনের অর্ধেকটা সঞ্চয় করবেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে না। কেন না, সেক্ষেত্রে তাঁকে অনেক বিষয় কাটছাঁট করতে হবে যা সমস্যা তৈরি করবে।
advertisement
5/6
লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হতে হবে - শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি- উপার্জনের বাইরে গিয়ে কোনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। যদি সব উপার্জন ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই বেরিয়ে যায়, তাহলে জীবনযাপনে সমস্যা দেখা দেবে।
advertisement
6/6
লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সময় স্থির করতে হবে - কতটা সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ করা যাবে, সেই হিসেবটাও মাথায় থাকা দরকার। যদি সেই বাড়ির উদাহরণ দিতে হয়, তাহলে বলা যায় যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমির দাম থেকে নির্মাণের উপকরণ- সব কিছুরই দাম বাড়বে। সেই মতো মোট অঙ্ক নির্ধারণ করতে না পারলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না।