Real Rehman Dakait: ১৫ বছরে মাকে খুন...পর্দার চেয়েও বেশি নৃশংস ছিলেন আসল রহমান ডাকাত! কার চরিত্রে সাড়া ফেলেছেন অক্ষয় খান্না? গ্যাংস্টারের কাহিনি শুনলে শিউরে উঠবেন
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
Real Rehman Dakait:অনেক অল্প বয়সেই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রহমান৷ মাত্র ১৩ বছর বয়সে লয়ারিতে পটকা ফাটাতে বাধা দেওয়ায় তিনি এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে আহত করেন বলেই শোনা যায়৷
advertisement
1/13

গানের ভাষা বোঝা দায়৷ তবু সবার মনে এবং ফোনে অক্ষয় খান্নার ‘ধুরন্ধর’ এন্ট্রি৷ ঠান্ডা চাউনি, পাকিস্তানের কুখ্যাত গ্যাংস্টারের আদব কায়দায় বুঁদ সকলে৷ ‘ধুরন্ধরের মুক্তির পর থেকে দেশজুড়ে চর্চায় একজনই অভিনেতা অক্ষয়৷ কিন্তু জানেন কী বাস্তবে ঠিক কেমন ছিলেন এই রহমান ডাকাত?
advertisement
2/13
রহমান ডাকাতের চরিত্রে তাঁর সাডা় জাগানো অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক থেকে সমালোচক৷ রহমান ডাকাতকে নির্মম, কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবেই পর্দায় দেখিয়েছেন পরিচালক আদিত্য ধর৷ কিন্তু বাস্তবের রহমান নাকি ছিলেন পর্দার রহমানের চেয়েও বেশি ক্রুর, নিষ্ঠুর, আরও জটিল এক চরিত্র৷
advertisement
3/13
পাকিস্তানের করাচির লয়ারি এলাকায় ১৯৭৬ সালে জন্ম রহমানের৷ আসল নাম ছিল আবদুল রহমান৷ অপরাধের মহল্লাতেই জন্ম রহমানের৷ করাচির লয়ারি ছিল একসময় দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধ, গ্যাং-ওয়ার এবং অপরাধী–পুলিশ আঁতাতের জন্য কুখ্যাত। পাকিস্থানের এই প্রাচীন শহরের অলিগলিতে অপরাধের গন্ধ৷ গ্যাংস্টারদের বাস৷
advertisement
4/13
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ছিলেন দাদ মোহাম্মদ ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজার সন্তান। আগে থেকেই রহমানের পরিবার আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে ছিল৷ দাদ মোহাম্মদ ও তাঁর ভাইয়েরা মাদক ব্যবসা চালাতেন এবং বাবু ডাকাত (আসল নাম ইকবাল) ও হাজি লালুর নেতৃত্বাধীন গ্যাংগুলোর সঙ্গে তাঁদের রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব চলত।
advertisement
5/13
মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চলত তোলাবাজি, আর দখলযুদ্ধ ছিল অনিবার্য। লয়ারির তৎকালীন এসপি ফয়্যাজ খান বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একই ব্যবসায় জড়িত একাধিক গ্যাংয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও এলাকা দখলের সংঘাত ছিল। এসব দ্বন্দ্ব প্রায়ই রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিত। এমনই এক সংঘর্ষে রহমান বেলুচের কাকা তাজ মোহাম্মদকে প্রতিদ্বন্দ্বী বাবু ডাকাত গ্যাং হত্যা করে।”
advertisement
6/13
অনেক অল্প বয়সেই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রহমান৷ মাত্র ১৩ বছর বয়সে লয়ারিতে পটকা ফাটাতে বাধা দেওয়ায় তিনি এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে আহত করেন বলেই শোনা যায়৷ দু’বছর পর মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে তিনি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেন।
advertisement
7/13
রহমানের নৃশংস অধ্যায়ের এ ছিল কেবল শুরু৷ ১৯৯৫ সালে আসে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায়৷ পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর কয়েক মাস পর, নিজের বাড়িতেই গুলি করে নিজের মা খাদিজাকে খুন করেন রহমান৷ তখন তার বয়স মাত্র ১৫৷
advertisement
8/13
পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মা নাকি “পুলিশের সোর্স হয়ে গিয়েছিলেন”। তবে বিশ্বাস করা হয়, তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে তাঁর মা এক প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং সদস্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন—একটি দিক যা ধুরন্ধর ছবিতেও আড়াল করা হয়নি।
advertisement
9/13
১৯৯৫ সালে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকার পর করাচি জেল থেকে আদালতে নেওয়ার সময় নাটকীয়ভাবে পালিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে তিনি বালুচিস্তানে পালিয়ে গিয়ে নতুন করে নিজের অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে শুরু করেন।
advertisement
10/13
২০০০ সালের শুরুর দিকেই রহমান ডাকাত লয়ারির অন্যতম শক্তিশালী গ্যাংলর্ডে পরিণত হন। ২০০৬ সালের মধ্যে তিনি বিপুল সম্পত্তি, অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব অর্জন করেন। তিনবার বিয়ে করেন এবং তাঁর ১৩টি সন্তান ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচি ও বালুচিস্তানের পাশাপাশি ইরানেও তাঁর সম্পত্তি ছিল বলে শোনা যায়। রহমানের কাছে ক্ষমতা কখনওই শুধু অন্ধকার জগতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয় ছিল না।
advertisement
11/13
রহমানের উত্থান লেখা হয়েছিল রক্তে। শুরুতে হাজি লালুর সঙ্গে মিলে তিনি মাদক ও জুয়ার র‍্যাকেট চালালেও, শিগগিরই সেই জোট ভেঙে যায় এবং লয়ারি ডুবে যায় নজিরবিহীন সহিংসতায়। এই গ্যাং যুদ্ধে ৩,৫০০-রও বেশি মানুষ নিহত হয় বলেই মনে করা হয়। ২০০০ সালের শুরুতেই রেহমান প্রায় সব প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে নিজেকে লয়ারির অবিসংবাদিত ‘রাজা’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
advertisement
12/13
এই সময়েই রহমানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বদলে যায়। শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ডে রাজত্ব করাই নয়, তিনি নিজেকে ‘সর্দার আবদুল রহমান বেলুচ’ হিসেবে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরেন এবং পিপলস আমান কমিটি গঠন করেন। লয়ারি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা—এমকিউএম ও পিপলস পার্টি, উভয়েরই শক্ত ঘাঁটি। রহমান চাইছিলেন কেবল প্রভাব নয়, বৈধতাও। আর তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গে হিংস্রতার মাত্রাও বেড়ে যায়।
advertisement
13/13
২০০৬ সালে লয়ারির গ্যাং নেটওয়ার্ক ভাঙতে চৌধুরী আসলামের নেতৃত্বে গঠিত হয় লয়ারি টাস্ক ফোর্স। ধুরন্ধর ছবিতে এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত—একজন নির্মম পুলিশ অফিসার। সে বছরই টাস্ক ফোর্স রেহমান ডাকাতকে গ্রেফতার করেছিল বলে জানা যায়, যদিও সেই গ্রেফতার কখনওই আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি। পরবর্তী অধ্যায় আরও বিতর্কিত৷ শোনা যায় চৌধুরী আসলাম নাকি আসিফ আলি জারদারির ফোন পান৷ যিনি পরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। রহমানের বর্ণময় জীবনের ইতি হয় তারও বেশ কয়েকবছর পরের একটি এনকাউন্টারের মাধ্যমে৷ তবে এই এনকাউন্টার নিয়েও একাধিক বিতর্ক রয়েছে৷ পর্দায় ধুরন্ধর দ্বিতীয় পর্বেই নাকি আসবে এই গল্প৷