মনোজ কুমারের স্ত্রী-র পরিচয় জানেন কি? অভিনেতার সুপারস্টার হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে তাঁর সবথেকে বড় অবদান, শুনে নিন তাঁদের প্রেমের গল্প
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Manoj Kumar Family: ২০১৩ সালে নিজেদের প্রেমকাহিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন মনোজ কুমার এবং তাঁর স্ত্রী শশী গোস্বামী। দৈনিক জাগরণ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মনোজ কুমার বলেন যে, কলেজে পড়ার দিনগুলিতে পুরনো দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে পড়াশোনা করতে যেতেন তিনি। আর সেখানেই শশীকে প্রথম দেখেন।
advertisement
1/7

বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা দিলীপ কুমারের ভক্ত ছিলেন অন্যান্য তারকারাও। সেরকমই তাঁর ভক্ত ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ কুমারও। দেশাত্মবোধক ছবিতে অভিনয়ের কারণে সারা বিশ্ব তাঁকে ‘ভারত কুমার’ বলেই চেনে।
advertisement
2/7
১৯৩৭-এর ২৪ জুলাই অবিভক্ত পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মনোজ কুমারের জন্ম। পরিবার তাঁর নাম দিয়েছিল হরিকৃষ্ণ গোস্বামী। ভারত-পাক ভাগের পর অবশ্য তাঁর পরিবার চলে এসেছিল ভারত। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে থাকতে শুরু করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজে পড়াশোনা। এরপর ফিল্মি দুনিয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাঁর। দিলীপ কুমারের ‘শবনম’ দেখার পর অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা জেগেছিল। এরপর ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ ছবির হাত ধরে রুপোলি জগতে পদার্পণ করেন মনোজ কুমার। ১৯৬০ সালে ‘কাঁচ কি গুড়িয়া’-য় অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান। ৪৫টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯২ সালে পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১৫ সালে জিতেছিলেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও। ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন মনোজ কুমার। এহেন বড় নক্ষত্র-পতনে হিন্দি সিনে দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
advertisement
3/7
স্ত্রী-পুত্র: ২০১৩ সালে নিজেদের প্রেমকাহিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন মনোজ কুমার এবং তাঁর স্ত্রী শশী গোস্বামী। দৈনিক জাগরণ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মনোজ কুমার বলেন যে, কলেজে পড়ার দিনগুলিতে পুরনো দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে পড়াশোনা করতে যেতেন তিনি। আর সেখানেই শশীকে প্রথম দেখেন। প্রথম দেড় বছরই দূর থেকেই চোখাচোখি হত। কারণ সামনাসামনি কথা বলার সাহস ছিল না। মনোজ কুমারের বক্তব্য, শশীর মতো মেয়েকে তিনি আগে কখনওই দেখেননি। শশীর মধ্যে একটা জাদু ছিল, যেটা শুধুমাত্র তিনিই অনুভব করেছিলেন।
advertisement
4/7
ঝুলবারান্দার প্রেম: মনোজ কুমার জানান যে, কিছু বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ‘উড়নখাটোলা’ ছবি দেখতে দিল্লির ওডিওন সিনেমায় গিয়েছিলেন তিনি এবং শশী। এরপর বারবার সাক্ষাৎ হতে থাকে। সম্পর্ক নিয়ে অবশ্য অভিনেতার পরিবারের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু শশীর দাদা এবং মা এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন। সেই কারণে কলেজের ছাদ কিংবা বাড়ির ঝুলবারান্দা থেকেই একে অপরকে দেখতেন তাঁরা। যাতে কেউ তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে টের না পান। শশী বলেন যে, তাঁরা দু’জনেই ছবি দেখতে ভালবাসতেন। কিন্তু ছবির ধরনের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ একরকম ছিল না। কিন্তু তাঁরা একে অপরের আনন্দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল। তাই একসঙ্গে একে অপরের প্রিয় শো অথবা ছবি একসঙ্গেই দেখতেন তাঁরা।
advertisement
5/7
স্ত্রীর জন্যই সুপারস্টার: মনোজ কুমারের বক্তব্য, বিয়ের পরেই জীবনে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। ব্লকবাস্টার হয় তাঁর ছবি হরিয়ালি অওর রাস্তা। এই ছবির কারণেই সুপারস্টার হয়ে ওঠেন অভিনেতা। মজা করে শশী বলেছিলেন যে, “আমি মনোজ কুমারের জীবনে আসার পরই তিনি সুপারস্টার হয়েছিলেন, ফলে তাঁর সাফল্যের কৃতিত্বটা আমারই বলা যেতে পারে।”
advertisement
6/7
দুই সন্তান: মনোজ কুমারের দুই সন্তান - বিশাল গোস্বামী এবং কুণাল গোস্বামী। বিশাল নিজের বাবার মতোই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ভাগ্য পরীক্ষা করতে এসেছিলেন। অভিনেতা হিসেবে নয়, বরং মিউজিক, ভিজ্যুয়াল ও প্রযোজক হিসেবে। সঙ্গীত বিভাগ সামলেছেন এবং প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ‘ক্লার্ক’ ছবিতে প্রযোজক এবং ‘জয় হিন্দ’ ছবির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিলেন বিশাল। আর কুণাল গোস্বামী ক্রান্তি ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।
advertisement
7/7
দুই পুত্রই ফ্লপ: কুণালকে দেখতে একেবারে নায়কোচিত। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে সেভাবে কিছু করতে পারেননি। এরপর ১৯৮৩ সালে শ্রীদেবীর ‘কলাকার’ ছবিতে অভিনয় করেন। ওই ছবির ‘নীলে নীলে অম্বর’ গান ব্যাপক হিট হয়েছিল। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘দো গুলাব’, ‘পাপ’ ও ‘ঘুঙ্গরু’ ছবিতে। যা সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। একের পর এক ফ্লপের কারণে রুপোলি দুনিয়া থেকে সরে গিয়ে দিল্লিতে শুরু করেন নিজের ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা।