আমির খানের চোটের জেরেই মুক্তিতে দেরি! এমনকী হিট গানে বাদ দিতে হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের ক্যামিও; তারপরেই বদলে গিয়েছিল এই ছবির ভাগ্য
- Published by:Tias Banerjee
- trending desk
Last Updated:
প্রথমে দীপাবলির দিন অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু কিছু কারণে মুক্তির দিন চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই ছবির অজানা কিছু গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
1/7

আজ থেকে প্রায় সাতাশ বছর আগে অর্থাৎ সেই ’। এই কমেডি-ড্রামা ছিল একেবারে তারকাখচিত। আর দুর্দান্ত এই কাস্টের কারণে প্রচুর প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল এই ছবির থেকে। তবে এই ছবি মুক্তির সফরটা কিন্তু মসৃণ ছিল না।
advertisement
2/7
প্রথমে দীপাবলির দিন অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু কিছু কারণে মুক্তির দিন চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই ইশক ছবির অজানা কিছু গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
3/7
আমিরের চোটের জেরে বিলম্ব: মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়ার অন্যতম বড় কারণ হল আমির খানের চোট। সেই সময় মেলা ছবিতে কাজ করতে গিয়ে হাতে আর পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে ‘মিস্টার লোওয়া লোওয়া’ গানের শ্যুটিং করতে পারেননি তিনি। আর এই জনপ্রিয় গানটিতে ‘ইশক’ ছবির সকল মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ আমির খান, জুহি চাওলা, অজয় দেবগন এবং কাজলকে দেখা গিয়েছিল। তাই আমির খান যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেটার উপরই গুরুত্ব দিয়েছিলেন প্রযোজক গোবর্ধন তনওয়ানি এবং পরিচালক ইন্দ্র কুমার।
advertisement
4/7
রইল না অমিতাভ বচ্চনের ক্যামিও: ‘মিস্টার লোওয়া লোওয়া’ গানে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের ক্যামিও থাকার কথা ছিল। এমনকী সুদেশ ভোঁসলেও অমিতাভের কিংবদন্তি গলায় কিছু অংশ রেকর্ড করে ফেলেছিলেন। কিন্তু শিডিউল সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এবং ক্রিয়েটিভ অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে অমিতাভের ক্যামিও বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
advertisement
5/7
‘মিস্টার লোওয়া লোওয়া’ গানের জনপ্রিয়তা: ১৯৯৭ সালের সবথেকে স্মরণীয় গান হয়ে উঠেছিল ‘মিস্টার লোওয়া লোওয়া’। দুর্দান্ত বিট, কোয়ার্কি গানের কথা এবং সুদেশ ভোঁসলের গলা- সব মিলিয়ে দর্শকদের মনে অচিরেই স্থান করে নিয়েছিল এই গানটি। আর এই গানের এনার্জি যেন ছবির কমেডি ধারার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
advertisement
6/7
ব্লকবাস্টারের তকমা ‘ইশক’ ছবির মাথায়: ১৯৯৭ সালের ২৮ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ‘ইশক’। দর্শকদের মনে দারুণ ভাবে স্থান করে নিয়েছিল ছবিটি। দমফাটা হাসি আর কমেডি, দুর্দমনীয় রোম্যান্স এবং দুর্ধর্ষ ড্রামা - সব মিলিয়ে তুমুল সাফল্য পেয়েছিল ‘ইশক’। এখানেই শেষ নয়, একদিকে আমির খান এবং অজয় দেবগনের কমেডিক টাইমিং, অন্যদিকে কাজল এবং জুহির সৌন্দর্যও এই ছবির সাফল্যের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। এই ছবির সাউন্ডট্র্যাক কম্পোজ করেছিলেন অনু মালিক।
advertisement
7/7
হাসি আর আনন্দ: ২৭ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইশক’ বলিউডের স্বর্ণযুগের পরিচায়ক। মুক্তিতে বিলম্ব এবং চ্যালেঞ্জ থেকে শুরু করে বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য - এটাই এই ছবির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বলাই বাহুল্য যে, অমিতাভ বচ্চনের ক্যামিও বাদ যাওয়ার পরেও ছবির চূড়ান্ত ভার্সন দারুণ সফল বলেই প্রমাণিত হয়েছিল।