Ranojoy Bishnu : আমি মরে গেলে বাড়ির লোকেরা বাঁচবে না! গাইডের পাল্লায় পড়ে কাশ্মীর-ট্রেকিংয়ে মৃত্যুমুখে রণজয়
- Published by:Teesta Barman
- news18 bangla
Last Updated:
Ranojoy Bishnu : ‘ঝনক’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ে কাশ্মীরে গিয়েছেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। ভূস্বর্গে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন তিনি। নিউজ18 বাংলাকে সেই ভয়ানক ঘটনা জানালেন খোদ অভিনেতা।
advertisement
1/12

মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এলেন রণজয় বিষ্ণু। ‘ঝনক’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ে কাশ্মীরে গিয়েছেন অভিনেতা। ভূস্বর্গে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন তিনি। নিউজ18 বাংলাকে সেই ভয়ানক ঘটনা জানালেন খোদ অভিনেতা।
advertisement
2/12
শ্যুটের মাঝে তিন দিনের গ্যাপ পেয়ে তিন-চার জন বন্ধু মিলে ট্রেকে যান। শ্রীনগর থেকে ৬ ঘণ্টা দূরে এবং ২০ কিমি দূরে আরশিয়ান ও ফাম্বার উপত্যকায় ট্রেক করেন তাঁরা। উপত্যকার সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেতা।
advertisement
3/12
নিউজ18 বাংলাকে সেই ট্রিপের কয়েকটি এক্সক্লুসিভ ছবি দিয়েছেন রণজয়। খুব কম জিনিস নিয়ে ট্রেক করেন তাঁরা। ওখানেই স্টোভ জ্বেলে রান্না করা হয়। বাঙ্কারে থাকতে হয়। জীবনে প্রথম বার ট্রেক করতে গিয়েছিলেন রণজয়।
advertisement
4/12
কিন্তু প্রথম বারই এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি! রণজয়ের কথায়, ‘‘মৃত্যুকে বড় কাছ থেকে দেখে এলাম। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’ কী ঘটেছিল সেখানে?
advertisement
5/12
ফাম্বার উপত্যকা থেকে ফেরার দিন, অর্থাৎ তৃতীয় দিন মহা বিপদে পড়েন অভিনেতা। যে গাইডের সঙ্গে ট্রেক করেন, তাঁর পরামর্শেই খাদে পড়ার উপক্রম হয়। ট্রেকটি করতে আসলে চারদিন লাগে। কিন্তু গাইড সেটিকে তিনদিনে নামিয়ে আনেন।
advertisement
6/12
রণজের কথায়, ‘‘ফেরার দিন সকাল ৮টা থেকে হাঁটা শুরু করি। ৮ কিমির বেশি হেঁটেছি। অপূর্ব লাগছিল। প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম চারজনে। মাঝে সিলচন পয়েন্টে পৌঁছই। তখন বাজে বিকেল সাড়ে তিনটে। সামনে দেখি, বিশাল খাড়া ঢাল। ২০ তলা বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকলে যেরকম লাগে।’’
advertisement
7/12
‘‘প্রথমবার ট্রেক করছি, ওভাবে নামা সম্ভবই নয়। তাও আমরা হাঁটাশুরু করি। গাইডের হাত ধরে ধরে নীচে নেমে আসি। সেখানে খানিক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। আমরা ওখান থেকে ফিরে আসতে পারতাম, জীবনের ঝুঁকি নিতে হত না।’’
advertisement
8/12
‘‘কিন্তু গাইড নিজের সুবিধার কারণে আমাদের ওরকম বিপদে ফেলে দেয়। তার পর রাস্তাটা ভয়ঙ্কর সরু হয়ে যায়। পাহাড়ের সঙ্গে গা ঘেষে ঘেষে হাঁটতে থাকি। মাঝে বহুবার আমার পা ফস্কে গিয়েছে, হাত ফস্কে গিয়েছে। নমোট ১৫ কিমি ওভাবে হাঁটা! অসম্ভব ছিল!’’
advertisement
9/12
‘‘আমার কোমরে সমস্যা আছে। সব কিছুই জানত ওই গাইড। তার পরেও এটা করে। আমি তাঁকে বলছিলাম যে, আমার বাড়িতে ৬টা লোক রয়েছে, তাঁদের চালাতে হয় আমায়। আমি আজ মরে গেলে, তাঁরাও আর বাঁচবে না।’’ অদ্ভুত লোক।
advertisement
10/12
এমনই সময়ে আমাদের বাঁচাতে আসে আর একটি ছেলে। সে আরিফ। আর তাঁর ঘোড়া করেই আমাদের মালপত্র যাচ্ছিল। তিনি এসে আমায় ধরে ধরে নীচে নামায়। অন্ধকারের মধ্যে হেঁটে হেঁটে রাত সাড়ে ৯টায় হোটেলে পৌঁছই। তাঁকে আমি পরদিন লাঞ্চ করতে বলি। টাকা দিয়ে ছোট করতে পারিনি তাঁকে।’’
advertisement
11/12
‘‘এই গোটা সময়ে না খাবার খেয়েছি, না জল। আমার চরম শত্রুরও যেন এমন অভিজ্ঞতা না হয়। পথে জ্ঞান হারিয়েছি বারবার। শরীর এত দুর্বল হয়ে গিয়েছিল যে ভাবা যায় না।’’
advertisement
12/12
‘‘মৃত্যুকে এত কাছ থেকে কখনও দেখিনি, বারবার মনে হচ্ছিল, যেন আর বাঁচব না। গোটা জায়গাটা মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। ভাবছিলাম, পুলিশ বোধহয় আমার বডি পাবে এখানে। তবে এই ঘটনার পর মনে হয়েছিল, পৃথিবীর সমস্ত অসাধ্য সাধন করে ফেলতে পারি।’’