বাড়ি থেকে মানেনি সম্পর্ক, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ অভিনেত্রী ও তাঁর প্রেমিককে; বলিউডি ছবিকেও হার মানাবে তাঁদের প্রেমকাহিনি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Bollywood Actress Struggle after Marriage: টেলিদুনিয়ার অন্যতম মিষ্টি জুটি তনাজ এবং বখতিয়ার ইরানি। এমনকী ভক্তদের জন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তাঁরা। আসলে তনাজ আর বখতিয়ার জুটির মিষ্টত্ব সকলকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু এক হওয়ার আগে তাঁদের প্রচুর বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
advertisement
1/6

টেলিদুনিয়ার অন্যতম মিষ্টি জুটি তনাজ এবং বখতিয়ার ইরানি। এমনকী ভক্তদের জন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তাঁরা। আসলে তনাজ আর বখতিয়ার জুটির মিষ্টত্ব সকলকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু এক হওয়ার আগে তাঁদের প্রচুর বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আর তাঁদের এই লড়াইয়ের কাহিনি বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা।
advertisement
2/6
অমৃতা রাও এবং আরজে অনমোল উপস্থাপিত শো ‘কাপল অফ থিংস’-এর সাম্প্রতিক এপিসোডে নিজেদের প্রেমের গল্প ভাগ করে নিলেন তনাজ আর বখতিয়ার। যা বলিউডের কোনও ছবির তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। এমনটাই মনে করেন তাঁরা। ওই দম্পতির বক্তব্য, বিয়ের এক বছর আগে তাঁরা লিভ টুগেদার করেছিলেন। এমনকী তনাজ অতীতের একটি স্মরণীয় ঘটনাও ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান যে, সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাঁদের পরিবার। অভিনেত্রীর জন্মদিনেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।
advertisement
3/6
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ অভিনেত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, “আমরা বিয়ের আগে এক বছর ডেট করেছিলাম। মা-বাবা একেবারেই মেনে নেননি। আমাদের বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে আমরা লিভ-ইন করতে শুরু করি। বিষয়টা একেবারে বলিউডি ছবির মতোই ছিল। ওঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে আমাকেও। আমার জন্মদিনে আবার ‘৩৬ চায়না টাউন’-এর গান রিলিজ করেছিল। সকলে আমায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। আর আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে ইডলি ও সম্বর খাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি আমার জীবনটাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়েছিলাম। এবার কী হতে চলেছে, সেটা নিয়ে আমার কোনও ধারণাই ছিল না।”
advertisement
4/6
বখতিয়ার বলেন, “ওর পরিবার শহরের বাইরে যাচ্ছিল। আর ওরা কোথাও একটা বেরোচ্ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, নীচে অপেক্ষা করতে। ওর পরিবার বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলাম।” এরপর তনাজ বলে চলেন যে, “আমি বখতিয়ারকে বলেছিলাম যে, তুমি একটু বেরিয়ে যাও। বাড়ির বাইরে গিয়ে দাঁড়াও। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আপাতত একটু বাইরে যাও। পরে আমরা হাতে-পায়ে ধরেছিলাম, ঝামেলাও হয়েছিল। অনেক কিছু ঘটেছিল। এদিকে ও কাঁদছিল। অসহায় লাগছিল। আমিও কী করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।”
advertisement
5/6
বখতিয়ার এরপর যোগ করেন যে, যদি একঘণ্টায় তনাজ না নেমে আসেন, তাহলে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। বখতিয়ারের বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হতেই তনাজ তাঁর হাত ধরে ফেলেন এবং তিনি বলেন, পরিবার না মানলেও তিনি বখতিয়ারের পাশে থাকবেন। সেই মুহূর্তে বখতিয়ারও বুঝতে পারেননি যে, তনাজকেও বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তবে বখতিয়ারের একটা থাকার জায়গা ছিল।
advertisement
6/6
ফলে একসঙ্গেই থাকতে শুরু করেন যুগলে। তনাজের দাবি, “দু’জনের মা-বাবারা আশীর্বাদ না করলে কিছুতেই বিয়ে করব না।” এরপর অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তনাজ আর বখতিয়ার। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৮ সালে তাঁদের জীবনে আসে পুত্র জিউস। এরপর ২০১১ সালে তনাজ-বখতিয়ারের ঘর আলো করে জন্মায় তাঁদের কন্যা জারা।