Air India Plane Crash: ‘মনগড়া গল্প সাজাচ্ছেন বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী’, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির দাবিতে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া ! তড়িঘড়ি পোস্ট মুছে ক্ষমা প্রার্থনা অভিনেত্রীর
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Suchitra Krishnamoorthi on Air India Plane Crash: ওই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন বিমানের আরোহী-সহ বহু মানুষ। তবে ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বিমানের একজনমাত্র যাত্রীই। তাঁর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ।
advertisement
1/6

সম্প্রতি আহমেদাবাদে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন গোটা দেশের মানুষ। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। ওই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন বিমানের আরোহী-সহ বহু মানুষ। তবে ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বিমানের একজনমাত্র যাত্রীই। তাঁর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ।
advertisement
2/6
চলতি সপ্তাহে সেই বিশ্বাস কুমার রমেশকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন অভিনেত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। আসলে তিনি দাবি করেছেন যে, আহমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত থাকা ব্যক্তি ঘটনা নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। শুধু তা-ই নয়, সুচিত্রা বিশ্বাস কুমার রমেশের দাবির সত্যতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যার জেরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। যদিও পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে ফেলে জনসমক্ষে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
advertisement
3/6
নিজের হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে সুচিত্রা লিখেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘর্টনায় জীবিত থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে করা আমার শেষ ট্যুইটটি তুলে নিলাম। মনে হচ্ছে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়েছে, এর কারণ ঈশ্বরই জানেন। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এর দিন কয়েক আগেই অবশ্য সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি নিজের এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বে ট্যুইটার)-এ একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার বিষয়ে মনগড়া গল্প বানাচ্ছেন রমেশ। তিনি আরও লিখেছেন যে, যদি এটা সত্য হয়, তাহলে কেবল গুরুতর শাস্তিই নয়, বরং ওঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত। যদিও পরে অবশ্য এই পোস্ট মুছে ফেলেছেন সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি।
advertisement
4/6
তবে এই পোস্ট দেওয়ামাত্রই নেটিজেনরা এই অভিনেত্রী তথা গায়িকাকে একহাত নেন। এমনকী তাঁর অভিযোগকে ভিত্তিহীন সোশ্যাল মিডিয়ার জল্পনা বলেও আখ্যা দেন তাঁরা। বিশ্বাস কুমার রমেশের পাশে দাঁড়িয়ে নেটিজেনরা দাবি করেন যে, আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল অফিসিয়াল ভাবে বিশ্বাসের পরিচয় এবং বেঁচে যাওয়ার বিষয়টা যাচাই করেছে। যদিও সুচিত্রা পরে ক্ষমা চাইলেও তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। বহু নেটাগরিকই কমেন্ট সেকশনে ভুল তথ্য প্রচার করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
5/6
সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, দিন কয়েক আগেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন বিশ্বাস। যদিও বিশ্বাসের সঙ্গে ওই উড়ানেই ছিলেন তাঁর ভাই অজয়। যদিও ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ভাই অজয়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করতে দেখা গিয়েছে বিশ্বাসকে।
advertisement
6/6
প্রসঙ্গত, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি আদতে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন অভিনেত্রী, গায়িকা এবং লেখিকা। বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বিপরীতে কভি হাঁ কভি না ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে এসেছিলেন। পরে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর জনপ্রিয় মিউজিক অ্যালবাম ‘ডোলে ডোলে’। সুচিত্রা গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন চিত্র পরিচালক শেখর কাপুরের সঙ্গে। কাবেরী নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে এই তারকা দম্পতির।