Saif Ali Khan Health Update: কত দিনে সম্পূর্ণ রূপে সেরে উঠে কাজে ফিরতে পারবেন সইফ আলি খান? স্পাইনাল ফ্লুইড লিক আসলে কী? এর চিকিৎসাই বা কী? শুনে নিন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Spinal Fluid Leak-How Risky It Could Be In Saif Ali Khan’s Recovery Process | এক চিকিৎসক ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন যে, অভিনেতার মেরুদণ্ডে ছুরির আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তার জেরে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। আর সেই ছুরি সইফের শরীর থেকে বার করে আনার জন্য যা যা করণীয়, সব করা হয়েছে।
advertisement
1/11

নিজের বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছিলেন অভিনেতা সইফ খান। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এক অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ঢুকে পড়েছিল অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে। সেখানে সইফের উপর এলোপাথাড়ি কোপ চালিয়ে দেয় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর মেরুদণ্ড এবং ঘাড় থেকে ছুরি বার করার জন্য অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
advertisement
2/11
চিকিৎসকেরা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, অস্ত্রোপচার হয়েছে সইফের। এরপর তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক চিকিৎসক ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন যে, অভিনেতার মেরুদণ্ডে ছুরির আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তার জেরে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। আর সেই ছুরি সইফের শরীর থেকে বার করে আনার জন্য যা যা করণীয়, সব করা হয়েছে।
advertisement
3/11
সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড লিক: স্পাইনাল কর্ডের কর্ডগুলি রক্ষা করার জন্য তা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (সিএসএফ) দ্বারা আবৃত থাকে। এই ফ্লুইডের উপর থাকে একটি প্লাস্টিক লেয়ার। যার নাম ডিউরোমিটার। যখন কোনও আঘাত লাগে, যেমন- সইফ আলি খানের ক্ষেত্রে কোপানো, তখন ডিউরাল টিয়ার হতে পারে। যেখানে ডিউরা বা শক্ত সুরক্ষামূলক মেমব্রেন ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আর এই টিয়ারের কারণে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বা সিএফএফ লিক করে। যা আসলে ফ্লুইডের মতো ডিসচার্জ।
advertisement
4/11
মুলুন্দ এবং কল্যাণ ফর্টিস হাসপাতালের নিউরো এবং স্পাইন সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জয়েশ সরধারা News18-এর কাছে বলেন যে, এই লিক বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ স্পাইনাল কর্ড বা মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থাকে মেনিনজাইটিস বলা হয়। যা প্রাণঘাতী বলে প্রমাণ হতে পারে। মেনিনজাইটিস ছাড়াও সিএসএফ লিকের কারণে অ্যাকারনয়ডাইটিস হতে পারে। যার জেরে মাথাব্যথা, খিঁচুনি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে। মাইনর লিক বা অল্পস্বল্প লিকের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন ওষুধ খেলেই হয়ে যাবে। যদিও সিএসএফ লিক বেশি পরিমাণে হলে টিয়ার সিল করা জরুরি। এই প্রক্রিয়াকে ডিউরাপ্লাস্টি অথবা ডিউরাল ক্লোজার বলা হয়। আর তার জন্য সিএসএফ লিকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
advertisement
5/11
কীভাবে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড মস্তিষ্ক আর মেরুদণ্ডকে রক্ষা করে? এই ফ্লুইড অনেকটা নরম বালিশের মতো কাজ করে। যা কোনও রকম বাম্প অথবা আঘাত থেকে আমাদের মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে রক্ষা করে। আবার এটা মস্তিষ্ককে ফ্লোটিং সাপোর্টও প্রদান করে। এর ফলে মস্তিষ্কের ওজন লাঘব হয় এবং তা খুলির উপর চেপে বসে না।
advertisement
6/11
শুধু সাপোর্টই নয়, এটা পুষ্টি সরবরাহ করে মস্তিষ্কে। সেই সঙ্গে সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রদান করে বর্জ্য অপসারণেও সাহায্য করে। অর্থাৎ মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে সাফ রেখে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও অনেকটাই সহায়ক। বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালের স্পাইন সার্জন ডা. নবীন এস তহসিলদার ব্যাখ্যা করে বলেন যে, সিএসএফ লিকেজের জন্য কিছু উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল গুরুতর মাথা যন্ত্রণা (দাঁড়িয়ে থাকলে তীব্রতা বাড়ে), মাথা ঘোরানো, অবসন্ন ভাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যায় এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
advertisement
7/11
এই ফ্লুইড আবার মস্তিষ্কের ভিতর চাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আর মস্তিষ্ক যাতে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য ভারসাম্যও তৈরি করে। সহজ কথায় বলতে গেলে, সিএসএফ মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে রক্ষা করে। শুধু তা-ই নয়, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং ভারসাম্যও রক্ষা করে।
advertisement
8/11
অস্ত্রোপচারের পর কেমন করে যত্ন নিতে হয়? সিএসএফ-এর চিকিৎসা এর গভীরতা এবং স্থানের উপর নির্ভর করে। ডা. তহসিলদারের মতে, বহু ক্ষেত্রেই রক্ষণশীল কিছু উপায় অবলম্বন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল বেড রেস্ট, হাইড্রেশন বাড়ানো (বিশেষ করে ক্যাফিন সেবন) এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা। এগুলিই সহায়ক হতে পারে।
advertisement
9/11
এর পাশাপাশি সিএসএফ লিকের চিকিৎসার আরও নানা বিকল্প রয়েছে, বিশেষ করে স্বল্প চোট কিংবা ট্রমার ক্ষেত্রে। এর অন্যতম উদাহর হল এপিডিউরাল ব্লাড প্যাচ। এই প্রসঙ্গে ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের স্পাইন সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. তরুণ সুরি বলেন যে, এক্ষেত্রে লিকের নিকটবর্তী অংশে এপিড্যুরাল স্পেসের মধ্যে রোগীর নিজের রক্তেরই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেই রক্ত একটা ক্লট তৈরি করে লিকের জায়গাটি বুজিয়ে বা সিল করে দেয়।
advertisement
10/11
যদিও সইফ আলি খানের ক্ষেত্রে ক্ষতর গভীরতা কতটা, সেটা জানা যায়নি। হয়তো সেক্ষেত্রে সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশনই চিকিৎসার সেরা উপায় ছিল। ডা. সুরি আরও বলেন যে, ড্যুরা সেলাই করা, ড্যুরাল গ্রাফ্টস প্রয়োগ অথবা সিল্যান্টের ব্যবহারের মতো কৌশল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
advertisement
11/11
News18-এর কাছে চিকিৎসকেরা বলেন যে, অস্ত্রোপচারে হস্তক্ষেপের পরিমাণের উপর রোগীর সুস্থতা নির্ভর করে। ফের যাতে আঘাত না লাগে কিংবা লিক না হয়, তার জন্য ২ থেকে ৪ সপ্তাহ ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদে কয়েক সপ্তাহ পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, সঠিক চিকিৎসা হলে বেশিরভাগ রোগীই সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হয়ে যান।