Shruti Das Honeymoon : শ্রুতিকে বিরক্ত করেন স্বর্ণেন্দু? হানিমুনে গিয়ে প্রেমের চিঠির অক্ষরে নবদম্পতির গোপন কথা ফাঁস!

‘মিনি হানিমুন’-এ মাখোমাখো প্রেমে মজে শ্রুতি দাস ও স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। নবদম্পতি বলে কথা। ইনস্টাগ্রাম জুড়ে প্রেমের জোয়ার। ‘জাস্ট ম্যারেড’-এর তকমা নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন জুটিতে দু’টিতে।

কিন্তু কোথায় গেলেন? সে কথা খোলসা করতে রাজি নন শ্রুতি। নিউজ18 বাংলাকে পর্দার ‘রাঙা বউ’ জানালেন, আগামিকাল, সোমবার শহরে ফিরবেন, তারপর সকলকে জানাবেন হানিমুন সারতে কোথায় গিয়েছিলেন তাঁরা।

তার আগে অনুরাগীরা নায়িকার প্রোফাইলে তাঁদের সফরের ঝলক দেখতে পেয়েছেন। নিউজ18 বাংলাকে শ্রুতি আগেই জানিয়েছিলেন, এবারই তাঁর প্রথম বিমানে চড়া। স্বামীর সঙ্গে আকাশে উড়লেন নায়িকা।

ছবি ও ভিডিও দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, পাহাড় ও নদীর কোলে প্রেম করছেন তাঁরা। হানিমুনে গিয়েই নিজের বউকে উপহার দিয়েছেন পরিচালক। হৃদয়ের আকারের একটি পেনডেন্ট। সঙ্গে প্রেমের চিঠি।

চিঠিতে লেখা, ‘আমার বেবিকে, আম নিখুঁত নই, তোমায় খুব বিরক্ত করি। অনেক কিছু ভুলে যাই। বোকা কথা বলি। আরও কত কী! তাও তুমি এমন কাউকে কোনওদিন খুঁজে পাবে না, যে তোমাকে আমার থেকে বেশি ভালবাসবে। চিরকাল ভালবাসব তোমায়।’

এই চিঠি প্রসঙ্গে নিউজ18 বাংলার তরফে শ্রুতিকে প্রশ্ন করা হল, তাঁকে কীভাবে বিরক্ত করে স্বর্ণেন্দু? কী কী ভুলে যান? নায়িকা জানালেন, পরিচালকের ভুলে যাওয়ার তালিকা অনেক লম্বা। আর বিরক্ত করার গল্পগুলি তিনি ব্যক্তিগত রাখতে চান।

ঠিক এক সপ্তাহ আগে রেজিস্ট্রির পাশাপাশি সিঁদুরদান, মালাবদল করেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শ্রুতি ও স্বর্ণেন্দু। দীর্ঘদিনের প্রেম পরিণতি পেল এভাবে৷ গত ৯ জুলাই অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানে চুপিসারে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন পরিচালক ও নায়িকা৷

সাদা রঙের লাল পাড় বসানো শাড়ি, মাথায় টায়রা-টিকলি, নাক ভর্তি সিঁদুর, গলায় লাল গোলাপের মালা পরে নজর কেড়েছিলেন শ্রুতি৷ পাশেই সাদা রঙের ধুতি-পাঞ্জাবি ও লাল গোলাপের মালা পরে ঝলমলে পরিচালক৷

অভিনেত্রীর প্রথম ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’ পরিচালনা করতেন স্বর্ণেন্দু। তখন থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। শোনা গিয়েছিল, প্রথম দিকে নাকি শ্রুতির মা এই সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু শ্রুতির কথায় জানা গেল, শাশুড়ি ও জামাইয়ের জম্পেশ বন্ধুত্ব আছে।

এর আগেই নিউজ18 বাংলাকে শ্রুতি বলেন, ‘‘আমার মায়ের সমর্থন না থাকলে এই বিয়েটাই হয়তো হত না।’’ আর মায়ের সঙ্গে ১৪ বছরের বড় স্বামীর বন্ধুত্ব নিয়ে খুবই গর্বিত নায়িকা। আর এই বয়সের ফারাক নিয়ে এত জলঘোলা হওয়ায় বেশ বিরক্ত নায়িকা। সে কথা বারবার নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন শ্রুতি।

তবে ঘটা করে বিয়ে করার প্রসঙ্গে শ্রুতি বলেন, তাঁর ঘট ভর্তি হলেই ঘটা করে বিয়ে করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘সামর্থ্য মতো যা পেরেছি, সেভাবেই বিয়ে করেছি। হাতে সময় আছে। পরে ভেবে দেখব।’’

চুপিসারে বিয়ে নিয়েই অনুরাগীদের যে পরিমাণ উত্তেজনা, তারপর যদি আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়, শ্রুতির জন্য সারা শহর তবে লাল রঙে ভরে উঠবে। নায়িকা ও পরিচালকের সুখী সংসারের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।