Sholay Film Payment: শোলে ছবিতে অভিনয়ের জন্য ধর্মেন্দ্র পান দেড় লক্ষ টাকা! অমিতাভ অনেকটাই কম, কত জানেন? জয়া তার থেকেও কম, শুনলে হাসি পাবে

সর্বেকালে সেরার ছবিগুলির মধ্য শোলে ছবিটি অন্যতম৷ বলিউডের এই ছবিটি সব সময়ের জন্যই হিট৷ ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী ও জয়া বচ্চন অভিনীত এই ছবি নিয়ে আজও সকলের মনে রয়েছে সমান উৎসাহ৷ সেই ছবিতে কার পকেটে ঢুকেছে কত টাকা? জানলে আপনিও অবাক হবেন৷

মোট ৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছিল রমেশ সিপ্পির শোলে৷ ১৯৭৫-এর অ্যাকশন-ড্রামা ছবিটি নিয়ে আজও চর্চা হয়৷ শোলে রিলিজের পরপর একেবারে হলমুখো হয়নি দর্শক৷ কিন্তু ৪-৫ সপ্তাহ পর থেকে ধীরেধীরে শুরু হয় ছবিটি নিয়ে উৎসাহ৷ তারপরের ঘটনা পুরো ইতিহাস৷

সেই সময় অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয়তা ছিল কিছুটা কম৷ ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারের থেকে সেই সময় তিনি ছিলেন কম দামি অভিনেতা৷ হেমা মালিনীও সেই সময় পুরোদস্তুর স্টার৷ জয়া বচ্চনের খ্যাতি ছিল অনেকটাই কম৷ ফলে সেই ভাবে হয়েছিল তাঁদের পেমেন্ট!

জঞ্জির ছবি মুক্তির পর জাভেদ-সেলিম দু’জনেই শোলের স্ক্রিপ্ট নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন মনমোহন দেশাই, প্রকাশ মেহরার সঙ্গে৷ কিন্তু তাঁরা রাজি হননি৷ এরপর রমেশ সিপ্পি ও গিপি সিপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা৷ সেখানে থেকে শুরু হয় শোলে তৈরির কর্মকাণ্ড৷

এরপর একে একে বেছে নেওয়া হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের৷ ছবি মুক্তি পর, শেষে অমিতাভের মৃত্যুর দৃশ্যটি কেউ মানতে পারেননি৷ একসময় ভেবেও নেওয়া হয় যে এই দৃশ্যটি পাল্টে ফেলা হবে৷ কিন্তু তারপর বক্সঅফিসের ভোল পাল্টাতে থাকে৷ সুপার-ডুপার হিট হয় ছবিটি৷

কোন অভিনেতা কত টাকা পেয়েছিলেন এই ছবির জন্য? শোনা যায় ধর্মেন্দ্র পান দেড় লক্ষ টাকা৷ তিনিই ছিলেন এই ছবির সবথেকে বেশি টাকার স্টার৷ এরপর সঞ্জীব কুমার পান ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা৷ অমিতাভ এই ছবির দ্বিতীয় লিড হয়েও সঞ্জীব কুমারের থেকেও কম টাকা পান৷ হেমা মালিনী পান ৭৫ হাজার টাকা এবং জয়া বচ্চন পান মাত্র ৩৫হাজার টাকা৷

কত পান অমিতাভ বচ্চন? সেই সময় তিনি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকা৷ তবে টাকার হিসেবে বিচার নয়, এই ছবি থেকে যতটা জনপ্রিয়তা পান অমিতাভ, তা পরবর্তীতে তাঁর স্টারডম অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়৷