SaReGaMaPa-Winner Asmita Kar: 'যুগ্ম' শব্দে মুখ খুললেন সারেগামাপা-জয়ী! 'প্রথম' অস্মিতা এতদিনে বললেন 'মনের' কথা

গত কয়েক মাস যাবৎ গানে গানে সারেগামাপা-র মঞ্চ মাতিয়ে তুলেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বেশ কিছু শিল্পী। রিয়েলিটি শো-গুলির মধ্যে অন্যতম এই শো-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। কলকাতা ছাড়িয়ে গ্রাম-গ্রামান্তর সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বহু প্রতিভা প্রতি সিজনে আসেন এই মঞ্চে। ধাপে ধাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় গ্র্যান্ড ফিনালেতে।

এবারে প্রথম স্থানে দু’জন। অস্মিতা ও পদ্মপলাশ। একেবারে শুরুর দিন থেকেই নানা চমকে ভরে তুলেছিলেন তাঁরা। নানা ঘরানার গানে মাতিয়েছেন মঞ্চ। তবু চারিদিকে বহু বিতর্ক ও গুঞ্জন উঠেছে রেজাল্ট নিয়ে। কে সেরা, কে বেশি উপযুক্ত, কার জায়গা পাওয়ার কথা এসব নিয়ে। অনুষ্ঠান শেষে মুখ খুললেন অস্মিতা কর।

নিউটাউনের মেয়ে অস্মিতা। শুরুর দিন চমকপ্রদ পারফরমেন্স উপহার দিয়েছেন এই মেয়ে। জয়ের পরে অস্মিতার কথায় স্বস্তির ছায়া। বলেন, "দীর্ঘ আট মাস একসঙ্গে সকলে কাটিয়েছি। ভাল মুহূর্ত এসেছে এই সময়টায়। অনেকক্ষেত্রেই এমন হয় যে টানা পথ হেঁটে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এরপর একটা আনন্দের মুহূর্ত এসে সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। রেজাল্টটা একটা বড় স্বস্তির জায়গা।”

তবে একইসঙ্গে অস্মিতা বলেন, "এই সিজনে এমন একটা ফল যে হবে, তা সত্যিই ভাবেননি অস্মিতা।" বললেন, “শুধুই নিজের বেস্টটা দিতে চেয়েছি। গানটা যাতে সবসময় গাইতে পারি। দর্শক থেকে বিচারক সকলেই ভরসা রেখেছেন, তাই আমি কৃতজ্ঞ।”

যুগ্মভাবে প্রথম হওয়া প্রসঙ্গে অস্মিতার মত, “‘যুগ্ম’ শব্দটা যে খারাপ একেবারে লাগে না তা নয় (হাসি)। তবে একটা কথা বলতেই হবে এ বিষয়ে এই পুরস্কারটাই আমার কাছে ভীষণভাবে আকস্মিক। কখনও আশাই করিনি এ সম্মান আমার ঝুলিতে আসবে। আবার এটাও ঠিক যে সেরার সেরা হতেই হবে এটা ভেবেও অংশগ্রহণ করিনি। পারফরমেন্স নিয়ে সবসময়ই চিন্তা ছিল তাঁর। চ্যাম্পিয়নের জায়গায় রানার আপ-এর তালিকায় নাম থাকলেও অবাক হতাম না।'

"আবার এটাও ঠিক যে সেরার সেরা হতেই হবে এটা ভেবেও অংশগ্রহণ করিনি। পারফরমেন্স নিয়ে সবসময়ই চিন্তা ছিল তাঁর। চ্যাম্পিয়নের জায়গায় রানার আপ-এর তালিকায় নাম থাকলেও অবাক হতাম না।'

ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্রীয় সংগীতেই মূলত তাঁর তালিম। অডিশনে শ্রেয়া ঘোষালের ‘মোহে রং দো লাল’ গেয়ে বিচারকের মন জয় করে নিয়েছিলেন অস্মিতা। এরপর গোটা জার্নি জুড়ে সব ধরণের গান গেয়েছেন তিনি। লোকসংগীত থেকে কীর্তন, আধুনিক সব গান গাইতে পারাটাও একটা অন্য সন্তুষ্টি অস্মিতার কাছে।

নিজের ট্যালেন্ট তুলে ধরার জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজন একটা ভাল প্ল্যাটফর্মের। কিন্তু সত্যিই কি এই ধরনের শো-এ অংশগ্রহণ করে কোনও লাভ হয় প্রতিযোগীদের? অস্মিতার বক্তব্য, ‘নিজেদেরও তো কিছু দায়িত্ব থাকে, একটা প্রতিযোগিতার পর নিজেকে অনেকটা সময় দিতে হয়। আরও বেশি করে প্র্যাকটিস করতে হয়। পুরস্কারই শেষ কথা নয়।’